আল্লাহ সূরা নেসায় বলেন,হে ঈমানদারগণ! তোমরা সালাতের নিকটবর্তীও হইও না।
১) মোহ গ্রস্থ অবস্থায়,; এবং
২) যতক্ষন না বুঝিতে পার সালাতে কি বলিতেছ, (৪:৪৩)
তার মানে সালাতে যা পাঠ করবে তার মর্ম বুঝে সে অনুযায়ী বাস্তব জীবনের সকল কর্ম পরিচালনা করতে হবে। নচেৎ তোমার সালাত আল্লাহর মনোনীত সালাত নয়।
যেমন সালাতে সুরা লাহাব বলে থাকি।কোরানের আবু লাহাব কোন ব্যক্তি নয়। এটি একটি লকব। এর মর্ম অনুধাবন করতে না পারলে আপনার সালাতে দাঁড়িয়ে কোরানের এ আয়াত তেলোয়াত করলেও আপনার সালাত হবে না, কারন সূরা নেসার ৪৩ আয়াত অনুযায়ী ” যতক্ষন না বুঝিতে পার সালাতে কি বলিতেছ”, এই শর্তে। আবু লাহাব কোন ব্যক্তি নয়। ন্যায় ও জ্ঞানের বিরোধী বৈশিষ্টের একটি কাল্পনিক চরিত্র। আবু লাহাব সমাজে ছিল, এখনো আছে,কিয়ামতের পুর্ব পর্যন্ত থাকবে। ন্যায় ও জ্ঞানের বিরোধী শক্তিই আবু লাহাব। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। আবু লাহাব ব্যক্তি হলে সালাতে দাড়িয়ে তার নিন্দা করা হতো না। কারন নিন্দা গীবত গর্হিত অপরাধ। যদি দাবী করেন না, আবু লাহাব রাসুলের চাচা ছিল, সে সব সময় রাসুলের বিরোধীতা করেছে বলে তার করুন মৃত্যু হয়েছে শানে নযুলে আছে। তখন প্রথমে ধারনা রাখতে হবে শানে নযুল কোরানের অংশ নয়। এটি মানুষের রচনা এবং অনুমান ভিত্তিক যা সত্যও হতে পারে মিথ্যাও হতে পারে। দ্বীতিয়তঃ পরনিন্দা মৃতব্যক্তির নিন্দা গর্হিত কাজ। কোরানের এ আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। অথচ কোরানের কোন আয়াত কোন আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিকতা নেই এটি আল্লাহর ওয়াদা। এবার শানে নযুলকে ঠিক রাখবেন না আল্লাহর ওয়াদাকে??
তাই নিজের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই জীবনের মূল সাধনা। যার ধারণ ক্ষমতা যত বেশি, সত্যকে সে তত বেশি comprehensively উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।