কোরআন -কার উপর নাযিল হয়েছে-কোরআন দ্বারা- প্রমাণ করা যাবে কি?
আলোচনা পর্যালোচনায় প্রথমেই আসে:——
১) ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল আসলে কোথায় মক্কায় না উজবিকিস্থানে?
২) কোরান কি স্বীকার করেছে মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও জীবনীর ইতিহাস, ফাতেমা, আবুবকর, উমর,উসমান, আলী, খাদিজা,হাসান,হোসাইন, হোরাইরার কল্পিত গল্প ও ইতিহাস? মুসলমানরা কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে এ বিশ্বাসের ইতিহাস?
৩) আল্লাহ সত্যমিথ্যা যাচাই করতে বলেছেন কোরআন দিয়ে, আপনি করেন কি দিয়ে?
৮৬ঃ১৩ , ৪ঃ ১০৫, ৫ঃ ৪৯, দেখে নিতে পারেন।
⛔আমি তো তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি আল্লাহ্ তোমাকে যাহা জানাইয়াছেন সেই অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার মীমাংসা কর এবং তুমি বিশ্বাসভঙ্গকারীদের সমর্থনে তর্ক করিও না।(৪:১০৫)
⛔কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তদনুযায়ী তাহাদের বিচার নিষ্পত্তি কর, তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ না কর এবং তাহাদের সম্বন্ধে সতর্ক হও যাহাতে আল্লাহ্ যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন উহারা তাহার কিছু হইতে তোমাকে বিচ্যুত না করে। যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে জানিয়া রাখ যে, তাহাদের কোন কোন পাপের জন্য আল্লাহ্ তাহাদেরকে শাস্তি দিতে চান এবং মানুষের মধ্যে অনেকেই তো সত্যত্যাগী। সূরা নম্বর: ৫ আয়াত নম্বর: ৪৯
৪) আমি আপনাকে সমগ্র মানব জাতীর জন্য সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী রুপে পাঠিয়েছি। ( ৩৪ঃ২৮)
৫) আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি যাতে আপনি মক্কা ও তার আশে পাশের লোকদের সতর্ক করেন। ( ৪২ঃ ৭)
দুটি আয়াত পাশাপাশি রেখে বুঝার চেষ্টা করুন। সিদ্ধান্ত কি দ্বারায়?
আবার কোরআন -কার উপর নাযিল হয়েছে- কোরআন দ্বারা- প্রমাণ করতে বলায় বলা যায়ঃ
কোরআন ধারাবাহিক ভাবে সকল প্রসংশিত নবীর উপরই নাজিল হয়েছে।
🧧যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের(প্রসংশিতর) প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন।(৪৭ঃ২)
🧧উহারা কি তাঁহাকে ব্যতীত বহু হুকুম/বিধানদাতা গ্রহণ করিয়াছে ? বল, ‘তোমরা তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।ইহাই, আমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদের জন্য উপদেশ
এবং ইহাই উপদেশ ছিল আমার পূর্ববর্তীদের জন্য।’
কিন্তু উহাদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না, ফলে উহারা মুখ ফিরাইয়া নেয়।(২১ঃ ২৪)