ঘুম ও মৃত্যুর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কোনটি?
অপশন:
ক) ঘুমে রুহ হরন করে আবার ফিরিয়ে দেয়। মৃত্যুতে রুহ আর কখনো ফিরে দেয়া হয় না বিচার দিবসের পুর্বে।
খ) ঘুমে শ্বাস প্রশ্বাস চলে,যেহেতু নফস থাকে, মৃত্যুতে তা বন্ধ থাকে যেহেতু নফস ধংস করে রুহুকে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ) ঘুমে নফস ও দেহ পড়ে থাকে, মৃত্যুতে নফসের মৃত্যু হয়, রুহু রবের নির্দেশে ইল্লিন অথবা সিজ্জিলিনে চলে যায়, দেহ স্বস্থানে পড়ে থাকে। [ Ekramul ]
রুহু নিয়ে আয়াত গুলি লক্ষ্য করুনঃ
১) রুহ *** ফিরিশ্তা এবং রূহ্ আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ পার্থিব পঞ্চাশ হাযার বৎসর।( ৭০ : ৪)
২) রুহ *** অতঃপর উহাদের হইতে সে পর্দা করিল। অতঃপর আমি তাহার নিকট আমার রূহ্কে পাঠাইলাম, সে তাহার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করিল।(১৯:১৭)
৩) রুহ ** তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় রুহ ওহী সহ ফেরেস্তাহ প্রেরণ করেন এই বলিয়া যে, তোমরা সতর্ক কর, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; সুতরাং আমাকে ভয় কর।( ১৬ : ২)
৪) রুহ ** তোমাকে উহারা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ্ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত এবং তোমাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে সামান্যই।’ সূরা নম্বর: আয়াত নম্বর: ৮৫
৫) রুহ **জিব্রাঈল রুহু লইয়া অবতরণ করিয়াছে (২৬:১৯৩)
৬) রুহ *** তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি, তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা ওহী প্রেরণ করেন স্বীয় রুহ , যাহাতে সে সতর্ক করিতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে।(৪০ : ১৫)
৭);রুহ * ফিরিশ্তা এবং রূহ্ আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ পার্থিব পঞ্চাশ হাযার বৎসর।(৭০ : ৪)
৮) রুহ * সেই দিন রূহ্ ও ফিরিশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াইবে ; দয়াময় যাহাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতীত অন্যেরা কথা বলিবে না এবং সে যথার্থ বলিবে।( ৭৮ : ৩৮)
৯) রুহ ** সেই রাত্রিতে ফিরিশতাগণ ও রূহ্ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।( ৯৭ : ৪)