Categories
My text

দ্বীন প্রচারে বিনিময় গ্রহন

…… “”টাকা না নিলে হুজুর খাবে কি!!?

তাবলীহ জামাত একটা বিষয়ে অন্তত দ্বীনের উপর অটুট রয়েছে, আর তা হল তারা দ্বীনের কাজের বিনিময়ে কোন
বিনিময় গ্রহন করে না এমন কি সোয়ালের ভানও করে না।

আল্লাহ বলেনঃ
‘অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথ প্রাপ্ত।
اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا يَسْـــَٔلُكُمْ اَجْرًا وَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ
ইত্তাবিউ মাল্লা ইয়াছালুকুম আঁজরাও ওয়া হুম মুহতাদুন।
(সূরা ইয়ানুস আয়াতঃ২১)

মানুষ মসজিদে ফরজ নামাজগুলি ইমামের পিছনে পড়ে। বাকি নামাজগুলি নিজে নিজে পড়তে হয়। বাকি নামাজ গুলি নিজে নিজে যখন আদায় করে তাতে বুঝা যায় তারা সবাই কিন্তু নামাজ পড়তে জানেন।

পুর্বে সিস্টেমটা এমনই ছিল,যারা আযান দিতে জানে তারা আজান দিবে যারা নামাজ পড়াতে জানে বতারা নামাজ পড়াবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের এমনটাই নির্দেশ ছিল। কিন্তু সিস্টেমটা বদলালো কে? কি তার পিছনে সার্থ জড়িত? ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হল সহী শুদ্ধ না হলে সবার পাপের ভার নিতে হবে।

যদি নিজের নামাজ নিজে পড়তে পারে তবে রোটেশনালি তারা কেন মসজিদে নামাজ পড়াতে পারবে না? তাহলে তো ভাড়া করা ইমাম মুয়াজ্জিনের দরকার হয় না।

কিন্তু কে শোনে কার কথা ধর্ম ব্যবসায়ীরা ৫০ মিটার পর মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করাচ্ছে তাদের ব্যবসাটা চালু রাখার জন্য ধর্মকে প্রসারের জন্য নয়। সাধারন মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে এতে সোয়াবের বন্যা। এসব সত্যকে তুলে ধরলে নাস্তিক, ইহুদী খৃষ্টানের দালাল লকবে ভুষিত করা হয়।

ধর্মান্ধ আবেগী মুসলমানকে এভাবেই মগজ ধুলাই করে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ধর্মের নামে পেশা। যার মধ্যে অন্যতম নামাজের ইমামতি, মোয়াজ্জেম,খাদেম ইত্যাদী।
এজতেমায় যে ইমাম একমাস ব্যাপী নামাজ পড়ায় ওয়াজ করেন তারা কি বিনিময় নেন? এক কথায় বিনিময় নিয়ে যারা নামাজ পড়ান তাদের নামাজ কে পড়িয়ে দেয়, এ প্রশ্ন আসে না কি? সতীদাহ প্রথার মত এ প্রথাও উঠিয়ে দেয়া সময়ের দাবী মাত্র।

যারা দাবী করেন “”টাকা না নিলে হুজুর খাবে কি!!?””
তারা কিয়াস,ইজমা,ইজতিহাত দিয়ে আল্লার বিধানের সাথে কুফরি করে। তারা কোরানের এ আয়াত গুলি অস্বীকার কারী।
দ্বীন প্রচার করে কোন ধরনের কোন মজুরি চেয়ে নেয়ার বিষয়ে কোরআনে স্পষ্ট ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোরানে বর্নিত ১৪ টি আয়াত একত্রে তুলে ধরা হলো।

১) ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আছে। সূরা আশ-শোআরা ২৬, আয়াত নম্বরঃ ১২৭

২) ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সূরা নম্বরঃ ২৬, আয়াত নম্বরঃ ১৪৫

৩) আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সূরা নম্বরঃ ২৬, আয়াত নম্বরঃ ১৬৪

৪) আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না। আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সূরা নম্বরঃ ২৬, আয়াত নম্বরঃ ১৮০

৫) আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না ; আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। (সূরা শোআরা ২৬ঃ ১০৯)

৬) বল, আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তাহার প্রতিপালকের দিকের পথ অবলম্বন করুক।’সূরা ফরকান ২৫, আয়াত নম্বরঃ ৫৭

৭) এবং তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দাবি করিতেছ না। ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ব্যতীত কিছু নয়। সূরা ইউছুব ১২, আয়াত নম্বরঃ ১০৪

৮) বল, ‘আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না এবং যাহারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত নই।’ সূরা ছোয়াদ ৩৮, আয়াতঃ ৮৬

৯) বল, ‘আমি তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না, তাহা তো তোমাদেরই ; আমার পুরস্কার তো আছে আল্লাহ্‌র নিকট এবং তিনি সর্ববিষয় দ্রষ্টা।’ সূরা সাবা ৩৪, আয়াত নম্বরঃ ৪৭

১০) হে আমার সম্প্রদায় ! আমি ইহার পরিবর্তে তোমাদের নিকট পারিশ্রমিক কামনা করি না। আমার পারিশ্রমিক আছে তাঁহারই নিকট, যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা কি তবুও অনুধাবন করিবে না ?
সূরা হুদ ১১, আয়াত নম্বরঃ ৫১

১১) এই সুসংবাদই আল্লাহ্ দেন তাঁহার বান্দাদেরকে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি ইহার বিনিময়ে তোমাদের নিকট হইতে আত্নীয়ের সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান চাই না।’ যে উত্তম কাজ করে আমি তাহার জন্য ইহাতে কল্যাণ বর্ধিত করি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। সূরা আশ-শুরা ৪২, আয়াত নম্বরঃ ২৩

১২) ‘অতঃপর তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইলে লইতে পার, তোমাদের নিকট আমি তো কোন পারিশ্রমিক চাই নাই, আমার পারিশ্রমিক আছে আল্লাহ্‌র নিকট, আমি তো আত্নসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইতে আদিষ্ট হইয়াছি।’
সূরা ইউনুস, আয়াতঃ ৭২

১৩) হে আমার সম্প্রদায় ! ইহার পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধনসম্পদ কামনা করি না। আমার পারিশ্রমিক তো আল্লাহ্‌রই নিকট এবং মু’মিনদেরকে তাড়াইয়া দেওয়া আমার কাজ নয় ; তাহারা নিশ্চিত ভাবে তাহাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভ করিবে। কিন্তু আমি তো দেখিতেছি তোমরা এক অজ্ঞ সম্প্রদায়। (সুরা হুদ১১ঃ২৮)

১৪) উহাদেরকেই আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করিয়াছেন, সুতরাং তুমি তাহাদের পথের অনুসরণ কর। বল, ‘ইহার জন্য আমি তোমাদের নিকট পারিশ্রমিক চাই না, ইহা তো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।’ সূরা আনআম ৬, আয়াত নম্বরঃ ৯০

১৫) আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহারা তাহা গোপন রাখে ও বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে তাহারা নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতীত আর কিছুই পুরে না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাহাদের সঙ্গে কথা বলিবেন না এবং তাহাদেরকে পবিত্র করিবেন না। তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে।সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ১৭৪

তাহলে হারাম কোন কাজকে কি কোন আবেগঘন যুক্তি দিয়ে হালাল করা যেতে পারে?
বিপক্ষে যুক্তি থাকলে রেফারেন্স সহ পেশ করুন।

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Powered by TranslatePress
Verified by MonsterInsights