ওরা তারাই যারা শুকরের পেটে খাসির কলিজা তালাশ করে, সুন্নত খোঁজে যৌনতার মাঝে,মিঠাই,কদু, খেজুর খাওয়াতে। এবাদতের তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে জায়নামাজে বসে, সুদকে লাভ বলে ঘুষকে হাদীয়া উপাধী দেয়, দোযখের ভয় দেখিয়ে নিষ্পাপ শিশু গুলোকে ঘেটু পুত্রের আসনে শোয়ায়, জুব্বা,টুপি দাড়িতে ইসলামের গভীরতা মাপে। নবুয়তের ২৩ বছর পর উপহার সালাতকে জন্নাতের চাবী বানায়, সালাত বলতে নির্দিষ্ট পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারন করে, যেখানে আল্লাহ বলেন সার্বক্ষনিক ইবাদতে মশগুল থাকতে, ওরা সেটাকে ৮*৫ = ৪০ মিনিটের জন্য আল্লাহর দাস মেনে নেয়। রুকু সিজদায় ব্যায়িত সময়ের জন্য, বাকিটা নিজের নফসের গোলাম। সনাতন ধর্মের মত পুঁজোর সময়টুকু মন্দিরে কাটিয়ে আবার কুকর্মে লিপ্ত হয়, ধর্মের কথা বলতে হাদীস কোরান বলে থাকে। সেখানেও হাদীসের গুরত্ত কোরানের আগে আনে। ওরা কোরানের আয়াত পড়ার চেয়ে হাদীস পড়তে সাচ্ছন্দ বোধ করে, অথচ আল্লাহর বিধান একটাই আর তা হল কোরান। হাদীস কোন শরীয়তের বিধান নয়। হাদীস আল্লাহর দাস মানুষ রচিত মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ ইসলামের ইতিহাস। যা ইসলামকে সমর্থন করার ব্যাখ্যা সমৃদ্ধ ইতিহাস রচনা। ওরা তারাই যারা নিজেকে উম্মতে মহম্মদ সাঃ বলে দাবী করে, প্রকৃত উম্মতে বুখারী বা উম্মতে হুজুর ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা পরিচালনা করে। ওরা জেনে ও বুঝে মুসলমান নয়, আবেগে অন্ধ অনুকরনে মুসলমান। জয়নবের ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাহশের মত। নিজ আবেগের সাথে মিল না হওয়ায় যে আবার পুর্ব ধর্মে ফিরে গেছে। আবু জেহেলও গোপনে ঘন্টার পর ঘন্টা রাতের আঁধারে ঘরের পেছনে দাড়িয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কোরান পড়া শুনতো, সেও স্বাদ পেত কোরানের, আর এরা সেটুকুও স্বাদ পায় না। কারন নিজ ভাষায় বুঝে না। এরা আবু জেহেলের চেয়েও নিকৃষ্ট। আল্লাহ এদের বাল হুম আদল বলে সম্বোধন করেছেন।
সনাতনের আচার অনুষ্ঠানের কপি পেস্ট হল হাদীস। আর এ কাজটি পত্তন করেছে অগ্নি উপাসক পারসিয়ানরা। ইসলামকে সনতন ধর্মের সকল অনুষ্ঠানের পরিমার্জিত রুপ দিয়ে উপস্থাপন করেছে পারস্যবাসীরা। এ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না, পারবে কি না তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই নিজেকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা ছাড়া উপায় নেই।