কোরআনের আলোকে জান্নাতের ৮টি শ্রেনী:
১) জান্নাতুল ফিরদাউস: যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের আপ্যায়নের জন্য আছে ফিরদাওসের উদ্যান,
( ৮ঃ ১০৭)
২) জান্নাতুন নাঈম: মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ-বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট।
( ৬৮ঃ৩৪)
৩) জান্নাতুল মাওয়া: যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে তাহাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাহাদের আপ্যায়নের জন্য তাহাদের স্থায়ী বাসস্থান হইবে জান্নাত। ( ৩২ঃ ১৯)
৪) জান্নাতুল আদন: উহা স্থায়ী জান্নাত যাহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে; উহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তাহারা যাহা কিছু কামনা করিবে উহাতে তাহাদের জন্য তাহাই থাকিবে। এইভাবেই আল্লাহ্ পুরস্কৃত করেন মুত্তাকীদেরকে,(১৬ঃ ৩১)
৫) দারুস সালাম: তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদের জন্য রহিয়াছে শান্তির আবাস এবং তাহারা যাহা করিত তজ্জন্য তিনিই তাহাদের অভি-ভাবক।( ৬ঃ ১২৭ & ১০ঃ২৫)
৬) দারুল খুলদ: তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘শান্তির সঙ্গে তোমরা উহাতে প্রবেশ কর ; উহা অনন্ত জীবনের দিন।’
( ৫০ঃ ৩৪)
৭) দারুল মাকাম: ‘যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়াছেন যেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’ ( ৩৫ঃ ৩৫)
৮) দারুল কারার: হে আমার সম্প্রদায়! এই পার্থিব জীবন তো অস্থায়ী উপভোগের বস্তু এবং আখিরাতই হইতেছে চিরস্থায়ী আবাস। ( ৪০ঃ ৩৯)
জাহান্নামের যে সাতটি নাম কোরআনে উল্লেখিত:-
১. জাহান্নাম।
২. জাহিম।
৩. সাকার।
৪. ছা’ঈর।
৫. হাবিয়া।
৬. হুতামা।
৭. লাজা।
অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্যে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ বা এলাকা রয়েছে। অপরাধ তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ হবে এক একটি ফটক-যা নিম্নরূপঃ
(১) জাহান্নাম :
তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মুনাফিক পুরুষ ও নারী গণ এবং কাফেররা অনন্ত কাল জাহান্নামের আগুনে বাস করবে। –সূরা তাওবা-৬৮
(২) জাহিম :
যারা অক্ষম হয়েও আমার নিদর্শনাবলীতে ভুল ধরার চেষ্টা করে তারাই জাহিমের অধিবাসী। (সূরা হজ্জ-৫১)
(৩) সাকার :
যারা (আমার আয়াতকে) বলতো ইহাতো মানুষেরই কথা-শীঘ্রই আমি তাকে সাকারায় ফেলবো। (সূরা মুদ্দাসির-২৫, ২৬)
(৪) ছা’ঈর:
তখন তারা বলবে আমরা যদি আল্লাহর বানী মানতাম ও অনুধাবন করতাম তবে আজ আমরা সায়ীরের অধিবাসী হতাম না। –সূরা মুলক-১০
(৫) হাবীয়া :
অর্থাৎ, যার নেক আমলের পাল্লা হালকা হবে তার আবাস হবে হাবিয়া দোজখে। তুমি কি জানো হাবিয়া কি ? উহা উত্তপ্ত আগুন। -সূরা কারিয়া-৮
(৬) হুতামা :
অর্থাৎ, যারা পর নিন্দা করে ও মাল জমা করে তারা হুতামায় নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি জান হুতামা কি ? উহা আল্লাহর জালানো আগুন । সূরা হুমাযাহ-৪
(৭) লাজা :
নিশ্চয়ই লাজা হচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা, উহা চামড়া ও গোস্ত ঝলসাবে। যে ব্যক্তি সত্যকে অমান্য করে আর মালামাল জমা করে তাকে লাজা ডাকবে। -সূরা মায়ারিজ-১৬