“কোরআনে” যার কোন নিয়ম নাই – তা পালন করতে,পূর্বতনদের আচরণ এবং নিয়ম’ই ফলো করি আমরা।সেই নিয়ম না-মানলে যে দোজখে যাবো তা’ কিন্তু নয়।
বিরাশী বার কোরআনে সালাত কায়েমের কথা বলা আছে,কিন্তু নামাজ পড়ার কথা একবারও বলা হয়নি।
কোরআনে আছে-রুকুকারী, সিজদাকারী, সালাতকারী, তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী।
আর- এ গুলোকে একত্রিত করেই,আমরা আমাদের নামাজ পড়ার প্রক্রিয়াটি চালাই।।
কোরআন সালাতকে সার্বক্ষনিক প্রতিষ্ঠার ইংগিত দেয়, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কায়েম নয়। যেমন সূরা মাআরিজ ২৩ নং আয়াত —–
الَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ
বাংলা অনুবাদঃ যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক থাকে।
অর্থাৎ– “সালাত” কায়েম করা মানে হচ্ছে
শয়নে – স্বপনে – জাগরণে,প্রতিমুহূর্তে উপলব্ধি করা যে – কেউ একজন আমার সাথে লেপ্টে রয়েছে ছায়ার মতো, যার নির্দেশনা মোতাবেক আমাকে সকল কর্ম সম্পাদন করতে হবে। এর বাহিরে চলার কোন সুযোগ নেই।
এ থেকে বুঝা যায় – “সালাত” অর্থ আল্লাহর বিধানের প্ৰতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শনপূর্বক – তদানুযায়ী সৎকর্ম সম্পাদন করা যা’ সদা সর্বদা ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে কায়েম বা জারী রাখতে হয় – এটাই সালাত কায়েম।
কিন্তু- নিজেকে বিরাট কারো কাছে সমর্পণ করার আনন্দ পাওয়া যায় নামাজে। মনে হয় – নামাজে দাঁড়িয়ে নিজেকে জবাই করে’ রক্ত দিয়ে তাঁর পা’ ধুয়ে দেই।
মূলত- নামাজ পড়লে আল্লাহ্র সাথে অভিমান করা যায়। না-পাওয়ার সান্ত্বনা মেলে ঝগড়া করা যায়। নামাজে তাঁর কাছে’ প্রাণভরে ভেউ ভেউ করে কাঁদা যায়। চোখ দিয়ে নির্মল পবিত্র অশ্রুধারা নির্গত হলে, অনেক কষ্ট ধুয়ে মুছে যায়। কিন্তু’ না-পড়লে নিজের মনের কাছে চোরের মতো লাগে।
নামাজ ‘ না-পড়লে মনে হয়, কিছু যেন একটা করার ছিল, অথচ ‘ বাকি রয়ে গেল??
মনের মধ্যে রাজ্যের বিষণ্ণতা এবং ব্যথা নিয়ে’ একবার শুধু- নামাজে দাঁড়িয়ে দেখ, কে যেন মাথার উপরে শীতল আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে !
জীবনের দুর্বিষহ ভার আর বাষ্পাকুল পৃথিবীর এই শ্বাসরোধী চন্দ্রাতপতলে শুধু নামাজে দাঁড়িয়ে দেখ-জীবনটা’ কতো নির্মল আনন্দে ভরে ওঠে।
নামাজ পড়লে, মনের শূন্যতা চলে যায়,বিরাট কারও উপরে- জীবনের দুর্বিষহ ভার ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
এখনো কি বলবে,আমি নামাজ বিরোধী ?