ইসলাম বলে কি আর আমরা করি কি?
তারা শেখালো, নামায জান্নাতের চাবি।
আল্লাহ জানালেন, বিশ্বাস ও বিশ্বাসের দাবি বাস্তবায়ন জান্নাতের চাবি।।
তারা শেখালো, মসজিদে দান করো, মাদ্রাসা বানাও।
আল্লাহ জানালেন, অসহায়, নিকটাত্মীয়ে ব্যায় করে, তাদের অধিকার পৌছে দাও। জড় নয়, সৃষ্টির জন্য ব্যায় করো।
তারা শেখালো, ২.৫℅ উদ্ধৃত সম্পদের উপরে, বছরে একবার যাকাত।
আল্লাহ জানালেন,
তোমার তো উদ্ধৃত সম্পদই থাকার কথা না, বাকিটা তো অন্যর সম্পদ। সেটা তোমার কাছে থাকে কিভাবে!!
তারা শেখালো, কোরান নফল, পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নাই।
আল্লাহ জানালেন,
কোরান পাঠে কোন পূন্য নেই। তবে,
কোরানই ফরয, আবশ্যক। এটা বেচে থাকার জীবিকা, জীবনের আলো।এই আলো দিয়ে আল্লাহ পথ দেখান।
তারা শেখালো, বোঝ কিংবা না বোঝ, নামায টা যেন মিস না যায়।
আল্লাহ জানালেন,
যে কাজ নিজের জীবনে করো না, সেটা বলা/ দাবি করা, স্রষ্টার প্রচন্ড রাগের উদ্রেক করে। পৃথিবীর নিকৃষ্ট সৃষ্টি, যারা বিবেক বুদ্ধি কে কাজে লাগায় না।
তারা শেখালো, একবার মুসলিম হয়ে জন্মেছো, কালেমা পড়েছো, একদিন না একদিন জান্নাতে যাবেই।
আল্লাহ জানালেন,
জাহান্নাম চিরস্থায়ী। সেখানে একবার প্রবেশ করবে, আর বের হবার রাস্তা নাই।
তারা শেখালো, দাড়ি, টুপি, টাকনু, গিড়া।
আর, আল্লাহ শেখালেন, বাহির নয়, মনের জগত সাজাও।
তারা শেখালো, আমার মা, বোনেরা প্রতি মাসে একবার অপবিত্র হয়।
আল্লাহ শেখালেন,
নারীরা পৃথিবীতে স্রষ্টার প্রতিনিধি আসার মাধ্যম। তারা, প্রতিমাসে একবার স্রষ্টা প্রদত্ত কষ্টকর অবস্থার সম্মুখীন হয়। তাই, তাদের সম্মান দিও।
যা শিখেছিলাম আর আল্লাহ যা তার কিতাবে বলেছেন, তার মাঝে যে বিস্তর ব্যাবধান!! ব্যাবধান এতটাই বেশি যে, অধিকাংশই ভয়ে আর আলো দেখতেই চায় না।
অন্ধকারে আলোর ঝলকানি যে চোখ ঝলসে দিতে চায়!!!