Categories
My text

ইসলাম কি কোন ধর্ম? না কি দ্বীন ?

ইসলাম কি দ্বীন নাকি ধর্ম এবং শিরকের এর রুপ।

তাদের অধিকাংশই আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে ও তাঁর সঙ্গে শিরকও করে! {১২:১০৬}

তুমি যত প্রবল আগ্রহের সঙ্গেই চাও না কেন, অধিকাংশ মানুষই ঈমান আনবে না…। {১২: ১০৩}

অবশ্যই তাদের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহর কিতাবকে জিহ্বা দিয়ে বিকৃত করে, যাতে করে তোমরা তাকে আল্লাহর কিতাবের অংশ মনে করো। অথচ তা কিতাবের অংশ নয়। তারা বলে: ‘ওটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে।’ অথচ সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। তারা জেনে বুঝে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা বলে। {৩:৭৮}

মহাসত্য হওয়ার পরও তোমার কওম তা অস্বীকার করছে। বলো, আমি তোমাদের উকিল নই। {৬:৬৬}

তুমি তো সতর্ক করতে পারো তাকে, যে আয্ যিকির এর অনুসরণ করে এবং না দেখেও দয়াময় রহমানকে ভয় করে। তাকে সুসংবাদ দাও মাগফিরাতের আর সম্মানজনক পুরস্কারের। {৩৬:১১}

কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কুফুরি করে তারা- আর মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। এরাই সৃষ্টির অধম। {৯৮:৬}

যারা কুফরি করেছে আর বাড়াবাড়ি করেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না, তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না। {৪:১৬৮}

আমরা জিন ও মানুষকে এজন্যেই সৃষ্টি করেছি যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে। {৫১:৫৬}

তাদেরকে এ ছাড়া অন্য কোন হুকুমই দেয়া হয়নি যে- তারা আল্লাহর ‘ইবাদত করবে খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে- তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। {৯৮:৫}

হে ঈমানদার লোকেরা! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ (বা কোনো গোষ্ঠী) তার দীন থেকে ফিরে গেলে অচিরেই আল্লাহ এমন একদল লোককে (দীনের মধ্যে) আনবেন, যাদের তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবে। তারা হবে মুমিনদের প্রতি কোমল, কাফিরদের প্রতি কঠোর। {৫:৫৪}

আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হও এবং তাঁর সাথে কোনো শরিক কর না। যে কেউ আল্লাহর সাথে শরিক করবে, সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল আর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো; কিংবা প্রবল বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরে কোথাও নিক্ষেপ করল। {২২:৩১}

আর তারা বলবে- হে আমাদের রব! আমাদের নেতা ও আমাদের প্রধান/ প্রভাবশালীরা আমাদেরকে গুমরাহ করেছিল। আমাদের প্রভু! তুমি তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দাও, আর তাদের লা’নত করো গুরুতর লা’নত। {৩৩:৬৭, ৬৮}

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন; এবং যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল। {৪:৪৮}

যারা কুফরি করেছে আর বাড়াবাড়ি করেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না, তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না; তাদেরকে কোনও পথও দেখাবেন না। {৪:১৬৮}

তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তী (রসুলদের) প্রতি এই ওহিই করা হয়েছিল যে- ‘তুমি যদি আল্লাহর সাথে শরিক সাব্যস্ত করো, তোমার সব আমল নিষ্ফল হবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ {৩৯:৬৫}

মসজিদসমূহ আল্লাহর, সুতরাং তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকেও ডেকো না। {৭২:১৮}

এ হলো আল্লাহর হিদায়াত, তিনি তাঁর বান্দাদের যাকে চান এর ভিত্তিতে পরিচালিত করেন। তারা যদি শিরক করতো, অবশ্যই নিষ্ফল হয়ে যেতো তাদের সব আমল। এরা ছিলো সেইসব লোক, যাদেরকে আমরা দিয়েছিলাম কিতাব, প্রজ্ঞা ও নবুয়্যত। {৬:৮৮,৮৯}

আল্লাহ্‌র কর্তৃত্বে কোনো শরিক নেই। {১৭:১১১}

যারা আল্লাহর প্রতি ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তুমি তাদের কাউকেও এমন পাবেনা, যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের বিরোধিতাকারীর সাথে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রাখে; বিরোধিতাকারীরা তাদের বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন হলেও। এদের অন্তরে আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেন ঈমান এবং তাদের সাহায্য করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রূহ (অহির জ্ঞান, কুর’আন) দিয়ে। তিনি তাদের দাখিল করবেন জান্নাতে, যার নিচে দিয়ে বহমান থাকবে নদ নদী নহর, চিরকাল থাকবে তারা সেখানে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি রাজি হয়েছে। এরাই আল্লাহর দল। আর জেনে রাখো, আল্লাহর দলই হবে সফল। {৫৮:২২}

এটি এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহ বিশদ বিবরণ সম্বলিত। এটি আরবি ভাষায় (অবতীর্ণ) কুর’আন, যেসব লোক জানে/জ্ঞান চর্চা করে তাদের জন্যে। {৪১:০৩}

এই কল্যাণময় কিতাব (আল কুর’আন) আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যেন মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান লোকেরা গ্রহণ করে উপদেশ। {৩৮:২৯}

যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে এবং তাতে যা উত্তম তা গ্রহণ করে। এরাই সেসব লোক, যাদের আল্লাহ্‌ হিদায়াত করেছেন এবং তারাই বুদ্ধিমান লোক। {৩৯:১৮}

যারা বিবেক বুদ্ধি খাটায় না, আল্লাহ তাদের উপর গুমরাহী চাপিয়ে দেন/ অপবিত্রতা স্থাপন করে দেন/ আযাব চাপিয়ে দেন। {১০:১০০}

ওই লোকের ব্যাপারে তোমার কি মনে হয়, যে তার কামনা বাসনাকে নিজের ইলাহ্ (উপাস্য) বানিয়ে নিয়েছে? তুমি কি তার উকিল হবে? তুমি কি মনে করো যে তাদের অধিকাংশ লোক শুনে এবং বুঝে? আসলে তারা তো হলো পশুর মতো, বরং তার চাইতেও বেশি পথভ্রষ্ট। {২৫:৪৩, ৪৪}

যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ করো না…{১৭:৩৬}

আর তাদের বেশিরভাগ অনুমান/ধারণা (ظَنًّاۗ) ছাড়া অনুসরণ করে (يَتَّبِعُ) না; নিশ্চয়ই সত্যের (ٱلْحَقِّ) ক্ষেত্রে অনুমান/ধারণা (ٱلظَّنَّ) কোনো কাজ করে না…{১০:৩৬}

আর যদি পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের অনুসরণ করো তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে; তারা অনুমান ছাড়া কিছু অনুসরণ করে না এবং তারা শুধুমাত্র ধারণা করে।{৬:১১৬}

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Also innovator of history of Islam. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Verified by MonsterInsights