ইসলাম কি ও কেন?
ইসলাম তো আদৌ কোন ধর্ম নয়, বলেন জীবন পদ্ধতি, আল্লাহর দেয়া জীবন পদ্ধতি, যেটা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, এই আত্ম সমর্পণের সমষ্টিকে ইসলাম বলে, আত্মসমর্পণ এর বিকাশ ঘটে কর্মের মাধ্যমে, কর্মের সমষ্টি হল জীবন পদ্ধতি। তাই আমরা এখন থেকে ধর্ম শব্দটি পরিহার করব। ধর্ম বললে আরো অনেক ধর্ম আছে এটা প্রমাণিত হয়। কিন্তু আল্লাহ বলেছেন ইন্নাদিনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম-এর অর্থ হল নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবন পদ্ধতি হচ্ছে আত্মসমর্পণ করা। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যে জীবন পদ্ধত রচিত হয় তাকে ইসলামী জীবন পদ্ধতি বলে ,আদদ্বীন বলে। এর অর্থ আল্লাহর নিকট মনোনীত ধর্ম ইসলাম নয়।
অর্থ এই হলে বুঝাবে অন্যান্য আরো অনেক ধর্ম আছে তার ভিতরে ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর কাছে মনোনীত ধর্ম, যা প্রচলিত মুসলিমরা অনুসরণ করে।
তখন অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বলে পরিচিত যারা আছে যেমন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ইহুদি বা আরো অনেক, তারা বলবে ইসলাম মুসলিম দের ধর্ম ,তাই ওরা ওটা ওদের কাছে মনোনীত ধর্ম। আমাদের টা আমাদের কাছে । আল্লাহও ভিন্ন ধর্মও ভিন্ন হয়ে যাবে।
এরা যে যে ধর্মের অনুসরণ করে প্রথমদিকে সেটাও ইসলাম ছিল আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ছিল-সেটা এখন বিকৃত হয়ে ধর্মের নাম নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধর্ম হয়ে বিরাজ করছে।
সমস্ত মানবজাতির ধর্ম বা জীবন পদ্ধতি হলো আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা। সৃষ্টির শুরু থেকেই মানবজাতির পৃথিবীতে আগমনে তাদেরকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেই আত্ম সমর্পণ এর নামই হচ্ছে ইসলাম।
ইসলাম আদৌ কোন ধর্ম নয়।
মানবজাতিকে যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় কাজ আল্লাহর পাঠানো বিধান অনুযায়ী সম্পাদন করার নামই হচ্ছে ইসলাম ।
অতএব ইসলাম হল আল্লাহর কাছে পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন পদ্ধতি। ❤️❤️❤️❤️
❤️❤️❤️
দ্বীন ও ধর্ম শব্দ এক নয়। মানুষের ক্ষেত্রে দ্বীন শব্দ ব্যবহার হয় ।
জড় পদার্থের ক্ষেত্রে ধর্ম শব্দ ব্যবহার হয়। তাই ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে। ❤️❤️❤️❤️❤️❤️তাই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছে প্রধান ধর্ম ৫টি ইসলাম ধর্ম খ্রিস্টান ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দু ধর্ম ও ইহুদি ধর্ম।
❤️আমাদের বাংলাদেশে চারটি ধর্মকে প্রধান ধর্ম হিসেবে ধরা হয়েছে সেই ভাবে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে শিশুকাল থেকে-হিন্দু, বৌদ্ধ ,খ্রিস্টান ও ইসলাম। ❤️
আল্লাহ এক ধর্ম বিভিন্ন হতে পারে না। জড়বস্তু যা ধারণ করে সেটাই তার ধর্ম। মানুষ যা ধারণ করে তা পরিবর্তনশীল নির্দিষ্ট নয়, মানুষ তার জীবন পদ্ধতি বা মতাদর্শ পাল্টাতে পারে, বস্তু তার বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম পাল্টাতে পারে না। সৃষ্টি শুরু থেকেই জড়বস্তু তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিদ্যমান তার কোন পরিবর্তন নেই। বিপরীত ক্রমে মানুষ তার দ্বীন বা জীবন পদ্ধতি পাল্টাচ্ছে, পুঁজিবাদ ,গণতন্ত্র, মার্কসবাদ, লেলিনবাদ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আরো কত শত মতবাদ ও মতাদর্শ মানুষ পরিবর্তন করে চলেছে। তাই আল্লাহ আল কোরআনে বলছেন আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্দীন বা জীবন ব্যবস্থা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা(ইসলাম)।
আল কোরআনে দ্বীন শব্দের প্রয়োগ ও ব্যবহার নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করলে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ মানুষ তো চোর বাটপার নয় যে আত্মসমর্পন করবে ?
জীবনাচার ও প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার কলাকৌশল মানুষ তার মেধা বিকাশের মাধ্যমে অর্জন করেছে ।আজকের অবস্থানে আসতে মানুষকে কোটি কোটি বৎসর পার করতে হয়েছে। সকল প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষ প্রকৃতির বুকে টিকে আছে ।
প্রাচীন হোমোসেপিয়ান ও নিয়ানথান প্রজাতীর মানুষের ধর্মচিন্তা করার মতো মেধার উৎকর্ষতা ছিলনা ।
এখনো ভারতের একটা দ্বীপ , ইন্দোন্শিয়ার কয়েকটা দ্বীপ ও আফ্রিকার কয়েকটা উপজাতি জানেই না ধর্ম কি ।
কাজেই , মানুষের জীবনাচার বা জীবন পদ্ধতি মানুষের চর্চার ফলেই সৃস্ট ।
কোন অলৌকিক শক্তির প্রেসক্রিপশন মোতাবেক নয় ।
উত্তরঃ Nasir Uddin Bhuiyan মানুষ অবশ্যই চোর বাটপার,বাংলাদেশ তার উদাহরণ
মানুষের চাহিদা সীমাহীন এটাই চোর বাটপারের লক্ষণ। আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, পৃথিবীর কাজের প্রতিটি হিসাব দিতে হবে মৃত্যুর পরের জীবনে, তারাই কেবল চোট বাটপার না হতে পারে।
❤️ আমাদের সামনেই আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বলেছিলেন সব চাটার দল খেয়ে ফেলল আমি যা আনি সব চেটে খেয়ে ফেলে।
ভুট্টু সাহেব পেয়েছেন হীরার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি
এই উদাহরণগুলো আমাদের ভুললে চলবে না।
প্রশ্নঃ Nasir Uddin Bhuiyan আজকের অবস্থানে আসতে যদি কোটি কোটি বছর সময় লেগে থাকে। তাহলে আজকের মানুষ অতীতের ঘটনাগুলো কেন কি জন্যে সংঘটিত হয়েছে তা বলতে পারতো, কোটি কোটি বছর আগের কথা তো দূরের কথা পাঁচ হাজার বছরের মিশরের পিরামিড কিভাবে তৈরি হয়েছিল কোন প্রক্রিয়ায় সেখানে এখনো মানুষ মমী করে রাখা হয়েছে? তা এখনো আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। অতএব মানুষের জীবন পদ্ধতি কোটি কোটি বছরের চিন্তা গবেষণা ও জীবন যাত্রার প্রণালীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নাই
উত্তরঃ Nasir Uddin Bhuiyan তারা জানেই না ধর্ম কি?
ধর্ম নিয়ে তো আলোচনা হচ্ছে না, তারা না জেনেও ধর্মের অনুসারী হয়ে আছে, চিন্তার ক্ষেত্রে দেখেন যেয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন মত পথ বা দ্বীন বা জীবন পদ্ধতি অনুসরণ করে, কিন্তু দৈহিকভাবে তাদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নির্দিষ্ট নিয়মের অনুসরণ করে ধর্ম মেনে চলেছে। তারা তাদের হাতের কাজ চোখ দিয়ে করে না, পায়খানা করার কাজ মুখ দিয়ে করে না। যে যে অঙ্গের কাজ বা ধর্ম তা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পালন করে চলেছে
প্রশ্নঃ S M Nazrul Islam
পায়খানা , প্রশ্রাব করা, এসব ধর্ম শিখায় নাই ।
প্রকৃতি শিখিয়েছে ।
ইসলাম ধর্ম আসার আগে মানুষ নিশ্চয়ই মুখ দিয়ে পায়খানা ও পায়ু দিয়ে আহার করতোনা !
উত্তরঃ Nasir Uddin Bhuiyan ওই সবগুলো শিখানো লাগে না, পায়ুর গাছ পায়ু করে, মুখের কাজ মুখে করে এইটা বোঝানো হয়েছে, এটা জন্মগতভাবেই পায়ুও মুখের ধর্ম।
চুম্বকের যে ধর্ম আছে,তা চিরন্তন, চুম্বক তা নিজে অর্জন করে নাই তাকে শিখানোও হয় নাই, এবং তা পরিবর্তনশীল নয়। এটাকেই ধর্ম বলে।
জড়বস্তু নির্ধারিত ধর্ম মেনে চলে। যার প্রাণ আছে তার কোন ধর্ম নেই তার আছে জীবন যাত্রার প্রণালী।
তারপরেও মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর জীবন যাত্রার প্রণালী তে কোন পরিবর্তন নাই। তারা একটা নিয়ম-নীতি মেনে চলে এ নিয়ম নীতিকেও ধর্ম বলে। মানুষ ভালো-মন্দ বোঝে, সে তার চিন্তা ও জীবনযাত্রার প্রণালী পরিবর্তন করতে সক্ষম।
সে তার জীবনযাত্রা প্রণালী যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা জীবন পদ্ধতি থেকে রচনা করে চলে তাকে আত্মসমর্পণ বলে বা ইসলামী জীবন পদ্ধতি বলে। আর যদি সেখান থেকে সে না নেয় তাহলে যে জীবনযাপন করার প্রণালী গ্রহন করে এটা তার নিজস্ব সৃষ্টি,। কথায় যাকে আমরা ধর্ম বলি তার নিয়ম-নীতির কোন পরিবর্তন নেই। জীবন যাত্রার প্রণালীর পরিবর্তন আছে এটাকেই জীবন পদ্ধতি বা দ্বীন বলে। এই দ্দ্বীন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা জীবন পদ্ধতি হয়, তাকে ইসলাম বলে।