আল্লাহ বলেন ঈমান আনায়ন ও সৎকর্ম জান্নাতের চাবীঃ
☑️ ১) যাহারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে তাহাদেরকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে জান্নাত-যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত। যখনই তাহাদেরকে ফলমূল খাইতে দেওয়া হইবে তখনই তাহারা বলিবে, ‘আমাদেরকে পূর্বে জীবিকা রূপে যাহা দেওয়া হইত ইহা তো তাহাই; তাহাদেরকে অনুরূপ ফলই দেওয়া হইবে এবং সেখানে তাহাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রহিয়াছে, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ২৫
☑️ ২) নিশ্চয়ই যাহারা ঈমান আনিয়াছে, যাহারা ইয়াহূদী হইয়াছে এবং খ্রিস্টান ও সাবিঈন-যাহারাই আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাহাদের জন্য পুরস্কার আছে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট। তাহাদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না।
সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ৬২
☑️ ৩) আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ৮২
☑️ ৪) নিশ্চয়ই যাহারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তাহাদের পুরস্কার তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাহাদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। সূরা নম্বরঃ ২ নম্বরঃ ২৭৭
☑️ ৫) আর যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং সৎকাজ করিয়াছে তিনি তাহাদের প্রতিফল পুরাপুরি ভাবে প্রদান করিবেন। আল্লাহ্ জালিমদের পছন্দ করেন না।
সূরা নম্বরঃ ৩, আয়াত নম্বরঃ ৫৭
☑️ ৬) যাহারা ঈমান আনে ও ভাল কাজ করে তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে, সেখানে তাহাদের জন্য পবিত্র স্ত্রী থাকিবে এবং তাহাদেরকে চিরস্নিগ্ধ ছায়ায় দাখিল করিব। সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ৫৭
☑️ ৭) আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে ; আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য, কে আল্লাহ্ অপেক্ষা কথায় অধিক সত্যবাদী? সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ১২২
☑️ ৮) পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে কেহ সৎকাজ করিলে ও মু’মিন হইলে তাহারা জান্নাতে দাখিল হইবে এবং তাহাদের প্রতি অণু পরিমাণও জুলুম করা হইবে না। সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ১২৪
☑️ ৯) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তিনি তাহাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার দান করিবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দিবেন। কিন্তু যাহারা হেয় জ্ঞান করে ও অহংকার করে তাহাদেরকে তিনি মর্মন্তুদ শাস্তি দান করিবেন এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাহাদের জন্য তাহারা কোন অভিভাবক ও সহায় পাইবে না। সূরা নম্বরঃ ৪, নম্বরঃ ১৭৩
☑️ ১০) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন, তাহাদের জন্য ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার আছে। সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ৯
☑️১১) মু’মিনগণ, ইয়াহূদীগণ, সাবীগণ ও খ্রিস্টানগণের মধ্যে কেহ আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনিলে এবং সৎকাজ করিলে তাহাদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিত হইবে না। সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ৬৯
☑️ ১২) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহারা পূর্বে যাহা ভক্ষণ করিয়াছে তজ্জন্য তাহাদের কোন গুনাহ্ নাই; যদি তাহারা সাবধান হয় এবং ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদের ভালবাসেন। সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ৯৩
☑️ ১৩) আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে উহারাই জান্নাতবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। সূরা নম্বরঃ ৭, আয়াত নম্বরঃ ৪২
☑️ ১৪) ‘যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, পরম আনন্দ এবং শুভ পরিণাম তাহাদেরই।’ সূরা ১৩, আয়াত ২৯
☑️ ১৫) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদেরকে দাখিল করা হইবে জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে, সেখানে তাহাদের অভিবাদন হইবে ‘সালাম’।
সূরা নম্বরঃ ১৪, আয়াত নম্বরঃ ২৩
☑️ ১৬) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে-আমি তো তাহার শ্রমফল নষ্ট করি না-সে উত্তম রূপে কার্য সম্পাদন করে। সূরা নম্বরঃ ১৮, আয়াত নম্বরঃ ৩০
☑️ ‘১৭) তবে যে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাহার জন্য প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তাহার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলিব।’ সূরা নম্বরঃ ১৮, আয়াত নম্বরঃ ৮৮
☑️ ১৮) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের আপ্যায়নের জন্য আছে ফিরদাওসের উদ্যান, সূরা নম্বরঃ ১৮, আয়াত নম্বরঃ ১০৭
☑️ ১৯) বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। সুতরাং যে তাহার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তাহার প্রতিপালকের ‘ইবাদতে কাহাকেও শরীক না করে। সূরা নম্বরঃ ১৮, আয়াত ১১০
☑️ ২০) কিন্তু উহারা নহে-যাহারা তওবা করিয়াছে, ঈমান আনিয়াছে ও সৎকর্ম করিয়াছে। উহারা তো জান্নাতে প্রবেশ করিবে। উহাদের প্রতি কোন জুলুম করা হইবে না।
সূরা নম্বরঃ ১৯, আয়াত নম্বরঃ ৬০
☑️ ২১) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে দয়াময় অবশ্যই তাহাদের জন্য সৃষ্টি করিবেন ভালবাসা। সূরা নম্বরঃ ১৯, আয়াত নম্বরঃ ৯৬
☑️ ২২) এবং আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তাহার প্রতি, যে তওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচলিত থাকে। সূরা নম্বরঃ ২০,নম্বরঃ ৮২
☑️ ২৩) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ অবশ্যই তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহাই করেন। সূরা নম্বরঃ ২২, আয়াত নম্বরঃ ১৪
☑️ ২৪) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহাদেরকে অলঙ্কৃত করা হইবে স্বর্ণ-কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা এবং সেখানে তাহাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হইবে রেশমের। সূরা নম্বরঃ ২২, আয়াত নম্বরঃ ২৩
☑️২৫) সুতরাং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা; সূরা নম্বরঃ ২২, আয়াত নম্বরঃ ৫০
☑️ ২৬) সেই দিন আল্লাহ্রই আধিপত্য; তিনিই তাহাদের বিচার করিবেন। সুতরাং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহারা অবস্থান করিবে সুখদ কাননে। সূরা নম্বরঃ ২২, আয়াত নম্বরঃ ৫৬
☑️ ২৭) তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করিবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করিয়াছিলেন তাহাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাহাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করিবেন তাহাদের দীনকে যাহা তিনি তাহাদের জন্য পছন্দ করিয়াছেন এবং তাহাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাহাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করিবেন। তাহারা আমার ‘ইবাদত করিবে, আমার কোন শরীক করিবে না, অতঃপর যাহারা অকৃতজ্ঞ হইবে তাহারা তো সত্যত্যাগী।সূরা নম্বরঃ ২৪, আয়াত নম্বরঃ ৫৫
☑️ ২৮) তাহারা নয়, যাহারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ উহাদের পাপ পরিবর্তন করিয়া দিবেন পুণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা নম্বরঃ ২৫, আয়াত নম্বরঃ ৭০
☑️ ২৯) যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়। সূরা নম্বরঃ ২৫, আয়াত নম্বরঃ ৭১
☑️ ৩০) কিন্তু উহারা ব্যতীত, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ্ কে অধিক স্মরণ করে ও অত্যাচারিত হইবার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানিবে কোন্ স্থলে উহারা প্রত্যাবর্তন করিবে।সূরাঃ২৬ নম্বরঃ ২২৭
☑️ ৩১) তবে যে ব্যক্তি তওবা করিয়াছিল এবং ঈমান আনিয়াছিল ও সৎকর্ম করিয়াছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। সূরা নম্বরঃ ২৮, আয়াত নম্বরঃ ৬৭
☑️ ৩২) এবং যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছিল তাহারা বলিল, ধিক তোমাদেরকে! যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আল্লাহ্র পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ব্যতীত ইহা কেহ পাইবে না।’সূরা নম্বরঃ ২৮, আয়াত ৮০
☑️ ৩৩) এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি নিশ্চয়ই তাহাদের হইতে তাহাদের মন্দ কর্মগুলি মিটাইয়া দিব এবং আমি অবশ্যই তাহাদেরকে প্রতিদান দিব, তাহারা যে উত্তম কর্ম করিত তাহার। সূরা নম্বরঃ ২৯, আয়াত নম্বরঃ ৭
☑️ ৩৪) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি অবশ্যই তাহাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করিব।সূরা নম্বরঃ ২৯, আয়াত নম্বরঃ ৯
☑️ ৩৫) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি অবশ্যই তাহাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, কত উত্তম প্রতিদান সেই সকল কর্মশীলদের জন্য,
সূরা নম্বরঃ ২৯, আয়াত নম্বরঃ ৫৮
☑️ ৩৬) অতএব যাহারা ঈমান আনিয়াছে ও সৎকর্ম করিয়াছে তাহারা জান্নাতে থাকিবে ; সূরা ৩০, আয়া ১৫
☑️ ৩৭) কারণ যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে নিজ অনুগ্রহে পুরস্কৃত করেন। তিনি কাফিরদেরকে পছন্দ করেন। সূরা ৩০, আয়াত ৪৫
☑️ ৩৮) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে সুখদ কানন ;সূরা নম্বরঃ ৩১, আয়াত নম্বরঃ ৮
☑️ ৩৯) যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে তাহাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাহাদের আপ্যায়নের জন্য তাহাদের স্থায়ী বাসস্থান হইবে জান্নাত। সূরা নম্বরঃ ৩২,আয়াত ১৯
☑️ ৪০) তোমাদের মধ্যে যে কেহ আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি অনুগত হইবে ও সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি পুরস্কার দিব দুইবার এবং তাহার জন্য আমি প্রস্তুত রাখিয়াছি সম্মান জনক রিযিক। সূরা নম্বরঃ ৩৩, আয়াত নম্বরঃ ৩১
☑️ ৪১) তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যাহা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করিয়া দিবে ; তবে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই তাহাদের কর্মের জন্য পাইবে বহুগুণ পুরস্কার; আর তাহারা প্রাসাদে নিরাপদে থাকিবে। সূরাঃ ৩৪,আয়াত নম্বরঃ ৩৭
☑️ ৪২) যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।সূরা ৩৫, আয়াত ৭
☑️ ৪৩) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যাহারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, আমি কি তাহাদেরকে সমান গণ্য করিব? আমি কি মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করিব? সূরা নম্বরঃ ৩৮, আয়াত নম্বরঃ ২৮
☑️ ৪৪) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যাহারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, আমি কি তাহাদেরকে সমান গণ্য করিব? আমি কি মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করিব? সূরা নম্বরঃ ৩৮, আয়াত নম্বরঃ ২৮
☑️ ৪৫) সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যাহারা দুষ্কৃতিপরায়ণ। তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ করিয়া থাক। সূরা নম্বরঃ ৪০,আয়াত নম্বরঃ ৫৮
☑️ ৪৬) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। সূরা নম্বরঃ ৪১, আয়াত ৮
☑️ ৪৭) কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা যে আল্লাহ্র প্রতি মানুষকে আহবান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি তো অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’সূরা নম্বরঃ ৪১, আয়াত নম্বরঃ ৩৩
☑️ ৪৮) তুমি জালিমদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখিবে উহাদের কৃতকর্মের জন্য; আর ইহা আপতিত হইবেই উহাদের উপর। যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহারা থাকিবে জান্নাতের মনোরম স্থানে। তাহারা যাহা কিছু চাহিবে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাই পাইবে। ইহাই তো মহাঅনুগ্রহ। সূরা নম্বরঃ ৪২,আয়াত নম্বরঃ ২২
☑️ ৪৯) এই সুসংবাদই আল্লাহ্ দেন তাঁহার বান্দাদেরকে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি ইহার বিনিময়ে তোমাদের নিকট হইতে আত্নীয়ের সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান চাই না।’ যে উত্তম কাজ করে আমি তাহার জন্য ইহাতে কল্যাণ বর্ধিত করি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।সূরা নম্বরঃ ৪২,আয়াত নম্বরঃ ২৩
☑️ ৫০) দুষ্কৃতিকারীরা কি মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়া উহাদেরকে তাহাদের সমান গণ্য করিব, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে? উহাদের সিদ্ধান্ত কত মন্দ। ন্সূরা নম্বরঃ ৪৫, আয়াত নম্বরঃ ২১
☑️ ৫১) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে দাখিল করিবেন স্বীয় রহমতে। ইহাই মহাসাফল্য। সূরা নম্বরঃ ৪৫, আয়াত নম্বরঃ ৩০
☑️ ৫২) যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। সূরা নম্বরঃ ৪৭, আয়াত নম্বরঃ ২
☑️ ৫৩) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার নিুদেশে নদী প্রবাহিত ; কিন্তু যাহারা কুফরী করে উহারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং জন্তু-জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে ; আর জাহান্নামই উহাদের নিবাস।সূরা নম্বরঃ ৪৭, আয়াত ১২
☑️ ৫৪) স্মরণ কর, যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করিবেন সমাবেশ দিবসে সেদিন হইবে লাভ-লোকসানের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহে বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহার পাপ মোচন করিবেন এবং তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে; যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা হইবে চিরস্থায়ী। ইহাই মহাসাফল্য। সূরা ৬৪, আয়াত ৯
☑️ ৫৫) এক রাসূল, যে তোমাদের নিকট আল্লাহ্র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, যাহারা মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ তাহাদেরকে অন্ধকার হইতে আলোতে আনিবার জন্য। যে কেহ আল্লাহ্হে বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ তাহাকে উত্তম রিযিক দিবেন। সূরা নম্বরঃ ৬৫, আয়াত নম্বরঃ ১১
☑️ ৫৬) কিন্তু যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। সূরা ৮৪, আয়াত ২৫
☑️ ৫৭) অবশ্যই যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে জান্নাত, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, ইহাই মহাসাফল্য। সূরা নম্বরঃ ৮৫, আয়াত নম্বরঃ ১১
☑️ ৫৮) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। সূরাঃ ৯৮, নম্বরঃ ৭
☑️ ৫৯) কিন্তু উহারা নয়, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়। সূরা নম্বরঃ ১০৩, আয়াত নম্বরঃ ৩
৯) এইগুলি আল্লাহ্র আয়াত, যাহা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করিতেছি যথাযথ ভাবে। সুতরাং আল্লাহ্র এবং তাহাঁর আয়তের পরিবর্তে উহারা আর কোন হাদীসে বিশ্বাস করিবে?
تِلْكَ اٰيٰتُ اللّٰهِ نَـتْلُوْهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ ۚ فَبِاَىِّ حَدِيْثٍۢ بَعْدَ اللّٰهِ وَاٰيٰتِهٖ يُؤْمِنُوْنَ
সূরা নম্বরঃ ৪৫, আয়াত নম্বরঃ ৬
১০) বল, ‘আমার সালাত, আমার ‘ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই উদ্দেশ্য।’ (৬ঃ১৬২)
১১,) বল, ‘হে আমার প্রতি-পালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হইতে,
وَقُلْ رَّبِّ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّيٰطِيْنِۙ
সূরা নম্বরঃ ২৩, আয়াত নম্বরঃ ৯৭
১৩) যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও।
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ قَالُوْا بَلْ نَـتَّبِعُ مَآ اَلْفَيْنَا عَلَيْهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَلَوْ كَانَ اٰبَآؤُهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ شَيْـًٔـا وَّلَا يَهْتَدُوْنَ
সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ১৭০
১৫) হে মু’মিনগণ! পণ্ডিত এবং সংসার বিরাগীদের মধ্যে অনেকেই লোকের ধন-সম্পদ অন্যায় ভাবে ভোগ করিয়া থাকে এবং লোককে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে। আর যাহারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং আল্লাহ্র পথে ব্যয় করে না উহাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও।
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَاْكُلُوْنَ اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِؕ وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِىْ سَبِيْلِ اللّٰهِۙ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍۙ
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ৩৪
১৬) যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।
وَاِنْ تُطِعْ اَكْثَرَ مَنْ فِى الْاَرْضِ يُضِلُّوْكَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِؕ اِنْ يَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَاِنْ هُمْ اِلَّا يَخْرُصُوْنَ
সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত নম্বরঃ ১১৬
যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও।
সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ১৭০
৪) **** সেই ছিল এক উম্মত, তাহা অতীত হইয়াছে। তাহারা যাহা অর্জন করিয়াছে তাহা তাহাদের। তোমরা যাহা অর্জন কর তাহা তোমাদের। তাহারা যাহা করিত সে সম্বন্ধে তোমাদের কোন প্রশ্ন করা হইবে না।
সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ১৩৪
**** সেই ছিল এক উম্মত, তাহা অতীত হইয়াছে। তাহারা যাহা অর্জন করিয়াছে তাহা তাহাদের। তোমরা যাহা অর্জন কর তাহা তোমাদের। তাহারা যাহা করিত সে সম্বন্ধে তোমাদের কোন প্রশ্ন করা হইবে না। সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ১৪১