কোন কোন জাতি, কি কি কাজের মাধ্যমে জান্নাতে যাবে।
সুরা বাকারার ৬২ নং আয়াতে আল্লাহ তা বলে দিয়েছেন।
নিশ্চয়ই মুসলিম, ইয়াহুদী, খৃষ্টান এবং সাবেঈন সম্প্রদায়, (এদের মধ্যে) যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং ভাল কাজ করে, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট পুরস্কার রয়েছে, তাদের কোন প্রকার ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবেনা।( ২ঃ ৬২)
*সাবিঈ- বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের পূজারী মতান্তরে ফেরেশতাদের উপাসনাকারী।
আয়াতটি বুঝার চেষ্টা করি…….
নিশ্চয়
১-মুসলিম ২-ইয়াহূদী ৩-এবং নাসারা ৪-ও সাবিঈরা*
এখানে আল্লাহ ৪টি জাতির কথা বলছেন।
কি বলেছে…….
(এদের মধ্যে) যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং ভাল কাজ করে,
এবার লেখা টি খেয়াল করে পড়ুন ৪টি জাতির মধ্যে ১নং জাতি হল মুসলিম।
এই মুসলিমদেরকেও ৪ জাতির একসাথে আল্লাহ বলেছেনঃ এদের মধ্যে) যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং ভাল কাজ করে, আমার বুঝলাম (২-ইয়াহূদী ৩-এবং নাসারা ৪-ও সাবেঈন সম্প্রদায়) তাদের ঈমান নাই তাদেরকে আল্লাহ ঈমান আনতে বলেছে তো আয়াতের (১মতে) আল্লাহর নিজেই মুসলিম বলেছেন।
এখানে আল্লাহ নিজেই মুসলিম বললেন আবার তাদেরকেই (মুসলিমকেই) ঈমান আনতে বললেন এটা কিসের ঈমান কেমন ঈমান আনতে বললেন আল্লাহ।
আরবের কাফেররা তাওরাত-ইঞ্জিল বিশ্বাস করত আল্লাহর ওহীর উপর ঈমান রাখত এবং তার সাথে তারা শিরক করত।
আল্লাহ বলেন……..
আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘এগুলো তো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই ’(সুরা যুখরুফ আয়াত-৯)
তাদের বেশীর ভাগই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু তারা শিরক করে। (সুরা : ইউসুফ, আয়াত :১০৬)
কেনো ও কিভাবে শিরক করত???
উত্তরঃ আল্লাহ যে বিধি-বিধান ওহীর মাধ্যমে দিয়েছে, তার সাথে তাদের মনগড়া কিছু রীতি রেওয়াজও বিধান হিসেবে মানতো এই জন্য তাদের দোয়া, তাবিজ, ফাজায়েলে আমল ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহকে যেন সন্তুষ্ট করতে পারে
আল্লাহ বলেন……..
জেনে রাখুন, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের ইবাদত এ জন্যে করি যে, এরা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দেবে।
(সুরা যুমার আয়াত-৩)
“আর তারা আল্লাহ্ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদত করছে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, ‘এরা আল্লাহ্-র নিকট আমাদের সুপারিশকারী’। (কুরআন ১০:১৮)
ঠিক চৌদ্দশ বছর পর এখন আল্লাহর ওহীর বিধি-বিধান বাদ দিয়ে এই সমাজের আলেম-ওলামা, ধর্মব্যবসায়ীদের বিধি-বিধান রীতি-রেওয়াযে মূলত ইসলাম চর্চা হচ্ছে। কুরআন বাদ দিয়ে ফাজায়েলে আমল রাসুল সাঃ এর নামে মিথ্যা,কথিত হাদিস অনুসরণই হচ্ছে ইসলামের মূলনীতি।
আপনি মুসলিম, ইয়াহুদী, খৃষ্টান এবং সাবেঈন সম্প্রদায়, যাই হন , মক্কা মদিনার ইমাম হন, তাতে আল্লাহর কাছে এক পয়সার মূল্য নাই।আল্লাহর কাছে মূল্য হল এক আল্লাহর এবাদত করা এক আল্লাহকেই মেনে নেওয়া।
“জেনে রাখ! তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ করা। আল্লাহ বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের রব।”
[সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]
এই জন্যই আল্লাহ ৪ জাতিকে উদ্দেশ্য করে আয়াত নাযিল করেছেন।
নিশ্চয়ই মুসলিম, ইয়াহুদী, খৃষ্টান এবং সাবেঈন সম্প্রদায়, (এদের মধ্যে) যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং ভাল কাজ করে, এই মুসলিমসহ ৪ জাতি যদি ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে তাদেরকে কি হবে আল্লাহ বলেন……..
তবে তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।
আর সূরা হিজরে ৯৬ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন…..
যারা আল্লাহর সঙ্গে অপর ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে, সুতরাং শিগগিরই ওরা (মুশরিকরা) এর পরিণতি জানতে পারবে।’ (সূরা, হিজর ১৫ঃ৯৬)