মানুষের মধ্যে একটা শ্রেণি আছে, যারা সবসময় নিজেকেই নিজে সত্য মনে করেন। সবসময় নিজের ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস, জ্ঞানকেই একমাত্র সত্য মনে করেন। নিজের বিশ্বাস, জ্ঞানও যে মিথ্যা হতে পারে, নিজের বিশ্বাসের গণ্ডীর বাহিরেও যে অন্যকিছু সত্য হতে পারে; এটা কখনোই তারা মানতে রাজী নয়।
এমনকি তারা ধর্মচর্চার ক্ষেত্রেও এরকম ভাব পোষণ করে থাকেন। নিজের পরকালীন কোনো বিষয়ের জ্ঞান মিথ্যা হতে পারে, নিজের জানা ধর্ম বিষয়ক দুনিয়াবী অনেক কিচ্ছা-কাহিনী মিথ্যা হতে পারে, ভিত্তিহীন হতে পারে, নিজের জানা ধর্মচর্চার নিয়ম-কানুন ভুল হতে পারে, এটা এরা কষ্মিনকালেও মানতে রাজী নয়। তারা আজীবন তা-ই চর্চা করে যায়, যা তারা জানে সত্য বলে। তারা যে পক্ষান্তরে জাহেলিয়াত চর্চা করছে, সেই বোধ তাদের থাকে না। সামান্য তথ্যগত জ্ঞানের অহংকারে তারা অন্ধ হয়ে যায়।
পারিবারিক জীবনের ক্ষেত্রেও এদের মনোভাব একই রকম। তারা মনে করেন সবসময় নিজেই সত্য, বাকী সবাই মিথ্যা। মিথ্যা বাকী সবার জ্ঞান, ভুল তাদের চিন্তাভাবনা, উপলব্ধি। নিজের মতকেই তারা প্রাধান্য দেয় পরিবারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে। নিজের ধ্যান-ধারণা পরিবারের উপর প্রতিষ্ঠিত করে জোর করে হলেও।
এই শ্রেণীর মানুষগুলো খুবই ভয়ংকর। তারা যে অন্ধ, এটা তারা কখনো বুঝে না, এমনকি বুঝার চেষ্টা পর্যন্ত করে না।
এই মনোভাব নিয়েই তারা চলে যাবে অনন্ত মহাকালে।
“শয়তানেরাই মানুষকে সৎপথ হইতে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তাহারা সৎপথে পরিচালিত হইতেছে।”
وَاِنَّهُمْ لَيَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ السَّبِيْلِ وَيَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ সূরা নম্বরঃ ৪৩, আয়াত নম্বরঃ ৩৭