কেউ নামজ না পড়লে, রোজা না করলে, হজ্জ না করলে, যাকাত না দিলে, কোরবানী না করলে –সে কি কাফের হয়? না,গুনাগার হয়?
তাই ঈমানের ও আমলের সম্পর্কে আগে বুঝা জরুরী। ঈমান ঠিক নাই আমল করে বস্তা ভরলেও লাভ নাই?
কারন ঈমান যার আছে তার জন্য আমল। ঈমান যার নাই তার কোন আমলই নাই। আল্লাহ বলেনঃ ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু আকিমুস সালাত ওয়াতুজ যাকাত।
ঈমান না আনলে তাদের কিসের সালাত কিসের রোজা, কিসের হজ, কিসের কোরবানী ?
আর আমরা কি করছি ? ঈমানের আগেই আমল শুরু করে দিয়েছি।
অথচ ঈনান বিহীন কোন আমল গ্রহনীয় নয়। ঈমানের আগে কোন আমল নাই।
ঈমান মুখে মুখে ধরাবাধা গদে, আল্লাহ,রাসুল, ফেরস্তা,কিতাব, বিচার দিবসেই সীমাবদ্ধ নয় ? তাই যদি হতো সকল শর্তের পুর্বে ঈমানকে জুরে দিতেন না আল্লাহ। ঈমানের চুড়ান্ত হকীকত বুঝা যায় ইবলিশের সাথে আল্লাহর বাক্যলাপ থেকেঃ-
যখন আল্লাহ আদেশ করলেনঃ ইয়া মালাইকা ঊসজুদুলে আদামা। (হে ফেরেস্তাগন আদমকে সিজদাহ কর।)
ওয়াসজুদু ইল্লা ইবলিশ। (একমাত্র ইবলিশ ব্যাতিত সবাই সিজদা দিল।)
ইবলিশ সিজদা না দেয়ার কারনে কি কাফের হয়েছিল বা আল্লাহ তাকে কাফের বলেছেন ? না কখনোই না, কারন সিজদার আদেশ ছিল একটি আমল, সিজদা করা না করা ঈমান নয়। সে আমল করতে অস্বীকার করায় গুনাগার হয়েছে, লানতপ্রাপ্ত হয়নি।
অতঃপর আল্লাহ যখন বললেন আজাজিল কিসে তোমাকে বারন করলো, সিজদা দিতে ? এবার আজাজিল উত্তরে বললঃ আনা খাইরুম মিন হুম। (আমি তার থেকে উত্তম।)
আল্লাহ বললেন কি ভাবে উত্তম?
এবার সে আল্লাহর সর্বময় প্রজ্ঞার প্রতি যে বিশ্বাস পোষন করত তা হারিয়ে বলে বসলোঃ আনা খালাকতাম মিন নার হুয়া খালাকতান মিন তীন। (আমি আগুনের তৈরী আর সে মাটির।)
আল্লাহর প্রতি তার এই ঈমামনের অবস্থানের কারনে আল্লাহ এবার বললেনঃ ওয়া কানা আস্তাকবেরলি মিনাল কাফেরিন। যাহ তুই বের হয়ে যা কাফের অস্বীকারকারী।
এখানে লক্ষনীয় ইবলিশ আমল না করায় কাফের হয় নাই। কিন্তু যখন ঈমানের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে উত্তর দিয়েছিল আমি তার চেয়ে উত্তম, আমি আগুনের আর সে মাটির তৈরী। তখন আল্লাহ বললেন বের হয়ে যা কাফের।
কাফের উপাধী দিয়েছেন আল্লাহর প্রতি তার ঈমানের অভাবে। সুতরাং ঈমান আগে পড়ে আমল। ঈমান বীহিন আমল পন্ডু বাতিল।