শয়তান একবার হযরত ঈসা (আঃ)-কে বললো ,”তুমি এই পাহাড় থেকে লাফ দাও, যদি তোমার সৃষ্টিকর্তা সত্য হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন”।
তখন হযরর ঈসা (আঃ) শয়তানকে বললেন, “আমার প্রভু সবার পরীক্ষা নেন, আমি কখনোই আমার প্রভুর পরীক্ষা নিতে যাবো না”।
কিন্তূ আমরা বাঙ্গালীরা উল্টো প্রভুর পরীক্ষা নেই ।
“প্রভুর উপর ভরসা রাখলে বা প্রভুর নাম নিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হব না” এই ডায়লগ দিয়ে অসাবধানতা অবলম্বন করি,চায়ের দোকানে আড্ডাবাজি করি আর ডায়লগ মারি “আল্লাহ ভরসা”।
কিন্তু নিজেকে ঈমানদার প্রমাণের নামে আসলে সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিচ্ছি আমরা।সাবধান হন।
সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিতে যাবেন না। এটা আপনার আমার ভিতরে থাকা শয়তানের প্ররোচনা।
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে বিবেক দিয়েছে। সেই বিবেক আপনাকে বলছে যে,আগুনে ঝাঁপ দিলে মারা যাবেন। কিন্তু আমি যদি বলি, আমি সাচ্চা বান্দা, তাই দৃষ্টিকর্তা আমাকে বাচাঁবেন, অতএব আমি আগুনে ঝাঁপ দিলেও আমার কিছু হবে না। তাহলে প্রকৃত পক্ষে আপনি ইবলিশের দোসর।
কারন , আপনি সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিচ্ছেন।সৃষ্টিকর্তা এ ক্ষেত্রে আপনাকে রক্ষা তো করবেনই না, বরং আত্মহত্যার দায়ে আপনাকে শাস্তি দিবেন।
হযরত নুহ (عليه السلام) কে বন্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়, যার জন্য তিনি জাহাজটি তৈরি করেছিলেন। জাহাজ তৈরি ছাড়াই তো সৃষ্টিকর্তা তাকে রক্ষা করতে পারতেন। করেছেন কি?
হযরত ইউসুফ (عليه السلام) কে খরা ও খাদ্য সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।সতর্ক করার প্রয়োজন ছিল কি? সতর্ক করা ছাড়াই হজরত ইউসুফ কে নিরাপত্তা দিতে পারতেন।
হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه و آله وصحبه وسلم) কে তাঁর জীবন নাশের প্রয়াস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল এবং তিনি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন।সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা করলেই তাকে হিজরত করতে নিষেধ করতে পারতেন।
অতএব,আপনাকে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিতে যাইয়েন না, বরং নিজে সতর্ক হোন ।’