কোরানের চাপা কান্নাঃ
বুখারী নয় — হাদীসের প্রথম সংকলক হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ রহঃ। তিনি একজন তাবেঈ। জন্ম ৫২ হিজরী ৬৭৪ খৃষ্টাব্দ মৃত্যু ১৩১ হিজরী। তিনি আবু হুরায়রা রাঃ এর ছাত্র ছিলেন। তার সংকলিত হাদীস সংখ্যা ১০০ থেকে ১২০ টি। তার হাদীস গ্রন্থের নাম ছিল ” সহিফা হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ”। (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/১০৩)
তার সংকলিত হাদীস গ্রন্থ “আস সহিফাতুস সহিহাহ” এর একটি অরিজিনাল কপি জার্মানীতে সংরক্ষিত আছে। এই কিতাবের বিভিন্ন অংশ পরবর্তী হাদিস সংকলন গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
সাহাবীদের যুগে নবী করিম সাঃ আল্লাহর নির্দেশে সকল হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন। যার কারনে ৪ খলিফা ৩০ বছর ক্ষমতায় থেকেও হাদিস লিখে যাননি।পরবর্তিতে তখনকার রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র কারীরা আহলে বায়াত গনকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জাল হাদিস লিখিয়েছিলো ।
ইমাম আহমাদ (রহ.)এর স্বরচিত কিতাব ‘মুসনাদে আহমাদ’, যার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার হাদিস সংকলিত হয়েছে। তাতে ঐ “আস সহিফাতুস সহিহাহ” কিতাবের পূর্ণটাই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ইমাম বোখারী, মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, সকল ইমামগন তার সহিফা থেকেই মুলত হাদিস লিখেছেন। একটি সত্য হাদিসের আড়ালে শত সহস্রটি মিথ্যা হাদিস ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে কল্পিত, বানোয়াট, অশ্লীল ও কোরানের সাথে সাংঘর্সিক কিছু মিথ্যে কথা নবী করিম সাঃ এর নামে চালিয়ে দিয়েছে।
এ সুযোগ বুঝে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা মুসলমান দের মাঝে মতানৈক্য সৃষ্টি করার জন্য এক সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। এই হাদিস সকলের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য খ্রিস্টানরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে কোরানকে নামে মাত্র রেখে হাদীসের উপর উচ্চতর গবেষনাকে পাঠ্য সূচীর অন্তর্ভুক্ত করে দিল। আর সে সকল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এর দীর্ঘ সময় দায়িত্ত পালন করলেন খৃষ্টানগন।
মুসলমানের মগজে কোরানের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল হাদীস। আড়াল হয়ে গেল কোরআন মুসলমানের জীবন থেকে। কোরান শুধু তেলোয়াত ও সোয়াবের ভান্ডার হিসেবে বন্দী পরে গেল। আর মানুষ শেষ পর্যন্ত সেই সব জাল হাদিসকেই আঁকড়ে ধরে হাদিস নিয়ে যত গবেষণা ও গুরুত্ব দিতে শুরু করলো মুসলমানগন। এতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র সফল হলো।হাদিসের কারনে আজ মুসলমানরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের বদনাম করে যাচ্ছে।
………… এ,কে,এম,একরামুল হক ২০/০৪/২৩