কুরআনই হাদিস
(২৩) তুমি কি মানুষকে দেখ না? যাদেরকে আল কিতাবের অংশ দেয়া হয়েছে-যা তাদেরকে আল্লাহর কেতাবটির দিকে আহ্বান জানাচ্ছে-যেন তাদের মধ্যে মীমাংসা করা যায়। কিন্তু তাদের একদল অমান্য করে সবাই তারা অন্য কেতাবের (মিথ্যা হাদিস ও ফেকাহর) দিকে চলে যায়।
(৭৮) মানুষের মধ্যে একদল মানুষ আলকেতাব সম্পর্কে এমনভাবে কথাবলে, যেন সেটাকে তোমরা আলকেতাবের অংশ বলে মনে করো, অথচ তা আলকেতাবের অংশ নয়। তারা বলে, এও (বানোয়াট হাদিস ও ফিকাহ) আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে। কিন্তু আল্লাহর কাছ থেকে তা মোটেই আসেনি। তারা জেনে শুনেই আল্লাহর উপরে মিথ্যা চাপিয়ে যায়।
৩:২৩,৭৮
(৪২) যারা আয়াত গোপন করে, রাসূলের অবাধ্য হয়, তারা সেদিন ইচ্ছা করবে হায়! আমরা যদি মাটিতে মিশে যেতে পারতাম। আল্লাহর সামনে তারা একটি হাদিসও গোপন করতে পারবে না।
৪:৪২
(১৮৫) তারা কি দেখছে না! গগনমন্ডল ও পৃথিবী আর তা থেকে আল্লাহ্ যে সব সৃষ্টি করেছেন, সে সবের মালিকানা, রাজত্ব আর তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। এ যে মোটেই বিচিত্র নয়! এই কুরআনের পর মানুষেরা আর কোন্ হাদিসের উপর ঈমান আনবে? ৭:১৮৫
(১১১) তাদের এই বৃত্তান্তে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। যা তাদের সম্মুখে রয়েছে। এই আল্লাহর হাদিস তো আর কাল্পনিক নয়। আসলে সে সবের সম্পর্কে সাক্ষ্য হিসেবে-আর প্রত্যেকটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ- আর যারা আস্থাবান, তাদের জন্য পথ নির্দেশ ও রাহমাত।১২:১১১
(৭৩) কিছু মানুষেরা কিন্তু তোমাকে বিভ্রান্ত করতে চায়। আমি তোমার কাছে যে ওহী নাজিল করেছি-তা থেকে। যেনো তুমি সেসব বাদ দিয়ে অন্য কোনও (মিথ্যা হাদিস, ফেকাহ, উসুল, বালাগাত, ফয়জান ও ফাজায়েলের) কথা আমার সম্পর্কে বানিয়ে বলো। তবেই তো ওরা তোমাকে বন্ধুরূপে মেনে নিবে।১৭:৭৩
(৬) ওরা যদি (কুরআন আকারে) এই হাদিসের প্রতি আস্থাবান না হয়, তাহলে হয়তো ওদের শোকে তুমি নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বসবে।
১৮:৬
(৯) তোমার কাছে কি মূসার হাদিস এসেছে?
২০:৯
(৩২) যারা নিজেদের দ্বীনে বিভেদ সৃষ্টি করেছে আর নানান মাযহাবে ভাগ হয়ে গেছে, প্রত্যেক মাযহাবই তো নিজেদের কাছে যা রয়েছে (ধর্মের বানোয়াট গ্রন্থ, ফলসফা,ফেকাহ ও হাদিস) তাই নিয়ে আনন্দ করছে।৩০:৩২
(৬) আর একদল মানুষ এমনও রয়েছে, যারা (মানব রচিত) বেকার হাদিস কিনে বেড়ায়, যেনো কিছু না বুঝেই তারা আল্লাহর কুরআন হতে বিভ্রান্ত করতে পারে। আর সেটাকেই তারা হাসি তামাশার ব্যাপার মনে করে। তারাই তো সেই দল, যাদের জন্য বড়ই অপমানজনক সাজা রয়েছে।
৩১:৬
(৩৮) আর যারা আমার আয়াতসমূহকে পরাজিত করার জন্য (বানোয়াট হাদিস ফেকাহ, উসুল ও রেওয়ায়াতের মাধ্যমে) চেষ্টা করেছে, তারাই তো সাজা ভুগতে পাকড়াও হয়ে আসবে।৩৪:৩৮
(২৩) আল্লাহই তো সর্বোত্তম হাদিস নাজিল করেছেন, একটি কিতাব আকারে। যাতে পরস্পর মিল রয়েছে আর যা বার বার পুনরাবৃত্তি করা হয়। যাতে তাদের শরীর কেঁপে উঠে, যারা নিজেদের রবকে সমীহ করে থাকে। তাদের দেহ মন আল্লাহর কুরআনের দিকে আকৃষ্ট হয়। এই তো আল্লাহর হিদায়াত, যে খুশী এর মারফত হিদায়াত হাসিল করুক। আল্লাহ্ থেকে যে গোমরাহ হবে তার জন্যে পথ দেখানোর মতো কেউ যে নেই।
৩৯:২৩
(৬) এ হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ যা তোমাকে সঠিকভাবে পড়ে শোনানো হলো। সুতরাং মানুষেরা আল্লাহ্ ও তাঁর আয়াতসমূহের পরে, আর কোন হাদিসের উপর ঈমান আনবে?৪৫:৬
(৫৯) তাহলে তোমরা কি এই (কুরআন আকারের) হাদিসটির ব্যাপারে অবাক হচ্ছো?৫৩:৫৯
(৮১) তাহলে তোমরা কি এ (কুরআন) কে মামুলী কোনো হাদিস বলে মনে করছো?৫৬:৮১
(৫০) তাহলে কুরআনের পরে মানুষেরা আর কোন্ হাদিসের উপরে ঈমান আনবে?৭৭:৫০
(১৭) আচ্ছা! তুমি কি সৈন্য বাহিনীগুলোর হাদিস কিছু পেয়েছো?৮৫:১৭
(১) তুমি কি ধোকাবাজদের হাদিস জানতে পেরেছো?৮৮:১
(১১) আর নিজ রবের নিয়ামতসমূহের হাদিস আলোচনা করতে থাকবে। ৯৩:১১
উপরের সকল আয়াত পড়ার পরেও যারা হাদিস হাদিস করে বুখারী তিরমিজি কে কোরআনের পরেও দরকার বলে মনে করবেন তাদেরকে আল্লাহ হেদায়াত এর পথে আসার কোন সুযোগ আর জীবনে দেবেন কিনা সন্দেহ আছে
আমি তর্ক করার পক্ষে না, কারো মনে সন্দেহ থাকলে কোরআন বেড় করে আয়াতগুলো বার বার পড়ুন, পড়তেই থাকুন।