গুনাহের এনটেঙ্গেলমেন্ট ও অন্যান্য সত্য
বিজ্ঞান এখন মহাজগতের জটিল ও গভীর সব বাস্তবতার কিছু কিছু জানে। তবে এই সামন্যকিছু জানতে পারায় সে বাস্তবতার গভীর গভীরতর সত্য সম্পর্কপ আরো ব্যপকভাবে জানার জন্য বিজ্ঞান এখন অনেক বেশি সিরিয়াস।
মজার ব্যপার যে, বিজ্ঞান এসব যা-কিছু পরিস্কারভাবে জানছে তা-সব চলে আসছে কোরআনের পক্ষে।
মহাজাগতিক প্রতিসাম্য, মহাজাগতিক প্রতিসাড়া, ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া, সাধারণ নিয়মাবলি একটি করে ( কম করে হলেও) ব্যতিক্রম নিয়ে বিদ্যমান ইত্যাদি হলো বিজ্ঞানের ঐসব নতুন জ্ঞান।
আপনি আমি যা-কিছু করছি তার প্রতি সাড়া মহাজগতের কোন এক অস্তিত্বের সাথে সূত্রাবদ্ধ। অন্যায় অপকর্ম দূর্ণীতি ক্ষমতার ব্যবহার/অপব্যবহার সৎকর্ম দুস্কর্ম যা-ই আমরা করছি না কেন তার প্রতিচ্ছবি প্রতিচিত্র তৈরি হয়ে যাচ্ছেই। তৈরি হচ্ছে এমন অস্তিত্বের গায়ে যার খোঁজ আমরা করতে পারিনা। বহু আলোকবর্ষ দূরে ঐসব অস্তিত্ব। অতদূর যেয়ে ওর গায়ে ছেপে ওঠা পাপের প্রতিচিত্র মুছে ফেলতে আমি কখনোই পারবোনা। আমার ভালো কাজের প্রতিচিত্রও আমার শত্রু পারবেনা মুছে ফেলতে। শুধু আল্লাহর কাছে অন্যায় অপরাধ অপকর্ম দূর্ণীতি দুস্কর্ম ইত্যাদির জন্য ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি করে ভালোকাজ করলেই ঐ রেকর্ডগুলো মুছে যায়।
আজ যিনি নির্ভয়ে পাপ করে যাচ্ছেন তিনি বিশ্বাস করে বসে আছেন তার কর্মের খবর কেউ রাখেনা। না। খবর রাখার মহাজাগতিক ব্যবস্হাটাই সুন্দরমত রাখা হয়েছে৷ পাপকাজ যা যা করা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও বেশি করে মঙ্গলকর্ম করা ছাড়া ঐ রেকর্ডও মুছবেনা, ঐটার প্রতিফল থেকেও বাঁচা যাবেনা।
সুতরাং চিন্তা করুন, এভাবেই চালিয়ে যাবেন, নাকি সংশোধিত কর্মনীতি অবলম্বন করবেন!! এই সত্যটা অন্যদেরকে জানিয়ে দেয়াও একটি সৎকর্ম নয় কি?