কবর আযাব, কোরান কি বলে ? লাকি রংপুর ০২
কবর আযাব একটি মিথ্যে ভয় দেখান অজ্ঞ আলেমগন।
১) যেদিন কিয়ামত হইবে সেদিন অপরাধীরা শপথ করিয়া বলিবে যে, তাহারা মুহূর্তকালের বেশি অবস্থান করে নাই। এইভাবেই তাহারা সত্যভ্রষ্ট হইত। ( ৩০ঃ৫৫)
২) কিন্তু যাহাদেরকে জ্ঞান ও ঈমান দেওয়া হইয়াছে তাহারা বলিবে, ‘তোমরা তো আল্লাহ্র বিধানে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করিয়াছ। ইহাই তো পুনরুত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা জানিতে না।’ সূরা নম্বরঃ ৩০, আয়াত নম্বরঃ ৫৬
৩) আর তুমি অন্ধকেও পথে আনিতে পারিবে না উহাদের পথভ্রষ্টতা হইতে। যাহারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে শুধু তাহাদেরকেই তুমি শোনাইতে পারিবে, কারণ তাহারা আÍসমর্পণকারী। ( ৩০ঃ ৫৩)
৪) তাহারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব এবং কখন তাহাদেরকে পুনরুত্থিত করা হইবে সে বিষয়ে তাহাদের কোন চেতনা নাই। সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ২১
৫) কবরে মানুষ শায়িত থাকবে (ইয়াছিন-৫২,ফাতির-২২)
কবরে কোন বিচার নেই, বিচার হবে একদিনই (বাকারা-২৮১)
কিয়ামতের দিনই কেবল মানদন্ড স্থাপন হবে ৷ হিসাব তখনই ৷ এর আগে নয় ৷ সূরা আল আম্বিয়া (الأنبيا)
৬) উহারা বলিবে, ‘হায় ! দুর্ভোগ আমাদের ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল হইতে উঠাইল? দয়াময় আল্লাহ্ ইহারই প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন এবং রসূলগণ সত্যই বলিয়াছিলেন।’
(ইয়াসীন,৩৬ঃ৫২)
৭) যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে তখনই তাহারা কবর হইতে ছুটিয়া আসিবে তাহাদের প্রতিপালকের দিকে(৩৬ঃ৫১)
৮) এবং সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ্ই যাহাকে ইচ্ছা শ্রবণ করান; তুমি শোনাইতে সমর্থ হইবে না যাহারা কবরে রহিয়াছে তাহাদেরকে। (ফাতির,৩৫ঃ২২)
৯) তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যে দিন তোমরা আল্লাহ্র দিকে প্রত্যানীত হইবে। অতঃপর প্রত্যেককে তাহার কর্মের ফল পুরাপুরি প্রদান করা হইবে, আর তাহাদের প্রতি কোন রূপ অন্যায় করা হইবে না। (বাকারা’২ঃ২৮১)
১০) এবং কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করিব ন্যায় বিচারের মানদণ্ড। সুতরাং কাহার ও প্রতি কোন অবিচার করা হইবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয় তবু উহা আমি উপস্থিত করিব ; হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।
( আম্বিয়া,২১ঃ৪৭)
১১) যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে এবং যেই দিন আমি অপরাধীদেরকে দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করিব।
(ত্বোহা,২০ঃ১০২)
১২) আমি ভাল জানি উহারা কি বলিবে, উহাদের মধ্যে যে অপেক্ষাকৃত সৎপথে ছিল সে বলিবে, ‘তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করিয়াছিলে।’ ( ত্বোহা,২০ঃ১০৪)
১৩) উহাদেরকে উপস্থিত করা হয় আগুনের সম্মুখে সকাল ও সন্ধ্যায় এবং যেদিন কিয়ামত ঘটিবে সেদিন বলা হইবে, ফির’আওন-সম্প্রদায়কে নিক্ষেপ কর কঠিন শাস্তিতে।’
(মুমিন,৪০ঃ৪৬)
১৪) উহারা আহবানকারীর দিকে ছুটিয়া আসিবে ভীত-বিহ্বল হইয়া। কাফিররা বলিবে, ‘কঠিন এই দিন।'(ক্বামার,৫৪ঃ৮)
১৫) অতএব তুমি উহাদের উপেক্ষা কর। যেদিন আহবানকারী আহবান করিবে এক ভয়াবহ পরিণামের দিকে,
অপমানে অবনমিত নেত্রে সেদিন উহারা কবর হইতে বাহির হইবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায়,( ক্বামার,৫৪ঃ৬-৭)
১৬) কিন্তু যাহার ‘আমলনামা তাহার বাম হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেওয়াই না হইত আমার আমলনামা, ‘এবং আমি যদি না জানিতাম আমার হিসাব !
‘হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হইত।
(হাক্বকাহ ৬৯ঃ ২৫-২৭)
১৭) আমি তো তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করিলাম; সেই দিন মানুষ তাহার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করিবে এবং কাফির বলিবে, ‘হায়, আমি যদি মাটি হইতাম !’
(সূরা নাবা ৭৮ঃ৪০)
১৮) এবং উপস্থিত করা হইবে আমলনামা এবং উহাতে যাহা লিপিবদ্ধ আছে তাহার কারণে তুমি অপরাধীদেরকে দেখিবে আতংকগ্রস্ত এবং উহারা বলিবে, হায়, দুর্ভাগ্য আমাদের! ইহা কেমন গ্রন্থ! উহা তো ছোট-বড় কিছুই বাদ দেয় না; বরং উহা সমস্ত হিসাব রাখিয়াছে।’ উহারা উহাদের কৃতকর্ম সম্মুখে উপস্থিত পাইবে ; তোমার প্রতিপালক কাহারও প্রতি জুলুম করেন না। (সূরা কাহাফ ১৮ঃ৪৯)
১৮) যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সন্নিকটে উপস্থিত করা হইবে সেদিন উহাদেরকে বলা হইবে, ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই সুখ-সম্ভার পাইয়াছ এবং সেইগুলি উপভোগও করিয়াছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে দেওয়া হই বে অবমাননাকর শাস্তি। কারণ তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিয়াছিলে এবং তোমরা ছিলে সত্যদ্রোহী।’ (সূরা আহক্বাফ ৪৬ঃ২০)
১৯) তাহারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব এবং কখন তাহাদেরকে পুনরুত্থিত করা হইবে সে বিষয়ে তাহাদের কোন চেতনা নাই।
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ২১