আমরা তো দূরে থাক ! স্বয়ং রাসুলকেও কোরান হতে দুরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে শয়তানের অনুসারীরা। আল্লাহ্ ওহীর মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন কিভাবে রাসুল কে কুরআন থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল
আমি তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করেছি তা হতে উহার পদস্খলন ঘটাবার চেষ্টা প্রায় চূড়ান্ত করেছিল যাতে তুমি আমার সম্বন্ধে উহার (কুরআনের) বিপরীত মিথ্যা উদ্ভাবন কর; তবেই উহারা অবশ্যই তোমাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত । (বনী ইসরাইল:৭৩)
আল্লাহ নিজে তার রাসুলকে এ থেকে হেফাজত করেছেন।
“আমি তোমাকে অবিচলিত না রাখলে তুমি উহাদের দিকে প্রায় কিছুটা ঝুঁকে পড়তে; ( বনী ইসরাইল: ৭৪)
وَلَوْلَاۤ اَنْ ثَبَّتْنٰكَ لَقَدْ كِدْتَّ تَرْكَنُ اِلَيْهِمْ شَيْــًٔـا قَلِيْلًا
ওয়া লাওলা আন ছাব্বাতনাকা লাকাদ কিততা তারকানু ইলাইহিম শাঈয়ান ক্বালিলা।
ثَبَّتْنَاكَ = আমি অবিচল রাখতাম
, كِدْتَ = তুমি প্রায়,
إِلَيْهِمْ = উহাদের দিকে
এইরূপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাহাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা ইহা করিত না; সুতরাং তুমি তাহাদেরকে ও তাহাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর।(৬:১১২)
অতঃপর উপদেশ দেন সূরা মোহম্মদে:
যাহারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাহাদের সৎপথে চলিবার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাহাদেরকে মুত্তাকী হইবার শক্তি দান করেন।(৪৭:১৭)