পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে আনুষ্ঠানিক নামাজ/সালাত কায়েম।
★★★ সালাত সম্পর্কেঃ
(1)সূরাঃ আল-বাকারা [2:43]
আর নামায/সালাত কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত/রুকুকারীদের সাথে অবনত/ রুকু করো।
(★★★)সরল অর্থঃ সালাত/নামাজ কায়েম করো এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো এই ঘোষনাই যথেষ্ঠ। রুকুকারীদের সাথে রুকু করো এই ঘোষনাই প্রমান করে সালাত/নামাজ, যাকাতসহ বিভিন্ন বিধিবিধান একক বা সংঘবদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে পালনীয়।
(2)সূরা আল-বাকারা [2:45]
ধৈর্য্য ও সালাত/নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর,অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।
(3)হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।(2:153)
(★★★)সরল অর্থ: পৃথিবীতে কোন কিছু কায়েম বা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তা নানা প্রকার সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি পালন তথা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সম্পাদিত করতে হয়,যেমন সালাত/নামাজ,সিয়াম/রোজা, হজ্জ ও যাকাত প্রত্যেকটিই সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি বা আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রত্যেক গুরুত্বপুর্ন বিষয়ই প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হলে অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হয়।
(2:45,153) আয়াতের দিকে ধ্যান দিলে বুঝা যায় যে সালাতের সাথে ধৈর্য/সবুরের একটা সম্পর্ক অাছে। এক্ষেত্রে প্রার্থনা কবুল হওয়ার শর্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ধৈর্য/সবুর।অর্থাৎ সবুর ব্যতিত যে সালাত সে সালাত কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ রয়েছেন আয়াতের এই ঘোষনা ধৈর্য/সবুরের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে।
(3)সূরাঃ আল-বাকারা [2:238]
حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ
হা-ফিজূ‘আলাসসালাওয়া-তি ওয়াসসালা-তিল উছতা-ওয়াকূমূলিল্লা-হি কানিতীন।
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে।আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।
Guard strictly your (habit of) prayers, especially the Middle Prayer; and stand before Allah in a devout (frame of mind).
(★★★)সরল অর্থঃ এই আয়াতের দ্বারা সালাত তথা নামাজের প্রতি যত্নবান হতে বলা হয়েছে।কেননা সালাতের প্রতি যত্নবান হতে না পারলে সে সালাত আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবেনা এবং যতক্ষন পর্যন্ত বান্দার সালাত আল্লাহর দরবারে কবুল না হবে ততক্ষন পর্যন্ত সালাতের মাধ্যমে বান্দা সংশোধিত হবেনা।
এক্ষেত্রে সালাতিল ওয়াসতা/মধ্যবর্তী নামাজ/Middle Prayer এর উপর বেশী জোড় দেয়া হয়েছে।দৈনিক ৫ (পাঁচ) ওয়াক্ত সালাত হিসাবে সালাতে অাছরকেই সালাতিল ওয়াসতা বা মধ্যবর্তী সালাত বলা হয়েছে এখানে।{সালাতে আছর}
সালাত/নামাজকে শুধুমাত্র আমলে সালেহ/নেক আমল বা সৎ কর্ম বলা হয় তাহলে সেই নেক আমল সুনির্দিষ্ট সময়ের সাথে গ্রন্থিত করা হলো কেনো। সালাতে ফজরের পর যহর, আছর সালাত পর্যন্ত কি আমলে সালেহ করা যাবে না?
(4)সূরাঃ নিসা [4:101]
যখন তোমরা সফর অবস্থায় ,তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
(★★★)সরল অর্থঃ এই আয়াতে প্রমান হচ্ছে সালাত/নামাজের নিয়মতান্ত্রিক অনুষ্ঠান সফর বা কাফের, মুশরেকদের ঝামেলার কারনেও মওকুপ হবেনা সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সালাতের কিছুটা হ্রাস করা যেতে পারে কিন্তু সালাত অাদায় করতেই হবে।
সালাতের আনুষ্ঠিকতা এই আয়াতের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়।
(5)সূরা নিসা [4:102]
★যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায় যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
★সরল অর্থে এই আয়াতে বলা হয়েছে সালাত/নামাজের আনুষ্ঠানিকতাকে কোন ভাবেই ত্যাগ করা যাবে না এবং তা সফর বা যুদ্ধ ক্ষেত্রেই হোক না কেনো?
(6)সূরাঃ নিসা [4:103]
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও,তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
(★★★)সারমর্মঃ সূরা নিসার 102 নম্বর অায়াতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে সালাত/নামাজ অাদায় একটা সুনির্দিষ্ট সময়ে এবং সুনির্দিষ্ট অনুষ্ঠান বা প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসারে রুকু ও সিজদার মাধ্যমে সমাপ্ত করার কথা সুষ্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।
*প্রথমতঃ একাধিক মুসলীমের সমাবেশে জামাতে নামাজ অাদায় করা উচিত।
*দ্বীতিয়তঃ এখানে সালাতে সফরের ইঙ্গিত রয়েছে।ঈমাম হিসাবে নবী সাঃ পুর্নাঙ্গ সালাত আদায় করেছেন এবং ইমাম নবী মোহাম্মদ সাঃ এর পিছনে মুক্তাদি দুই গ্রুপে কসর সালাত/নামাজ আদায় করেছেন।
সূরা নিসার 103 নম্বরে আয়াতে নামাজের সুনির্দিষ্ট অানুষ্ঠানিকতা অারো বেশী স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।বলা হয়েছে অতঃপর বিপদ মুক্ত হলে নামাজ সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে অাদায় করো।এখানে নামাজের কাজা আদায়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
প্রথমতঃ এই আয়াত গুলির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে মানুষ সংঘবদ্ধ বা একলা যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেনো সালাত/নামাজের সময় হলে অবশ্যই আনুষ্ঠানিক সালাত/নামাজ আদায় করতে হবে তা যদি যুদ্ধ ক্ষেত্রও হয়ে থাকে। তবে জীবন বা নিরাপত্তার হুমকির মোকাবেলা করার কোন ব্যাবস্থা না থাকলে সেক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে।
(7)সূরা অাল নিসা [4:162]
কিন্তু যারা তাদের মধ্যে জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে। আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত দানকারী এবং যারা আল্লাহ ও কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুতঃ এমন লোকদেরকে আমি দান করবো মহাপুণ্য।
(★★★)সরল অর্থঃ এই আয়াতে জ্ঞানী ও ঈমানদার বান্দার বৈশিষ্ট বর্ননা করতে গিয়ে বলা হয়েছে মহাপুন্য হাসিল করতে হলে কিকি করতে হবে।
১)নবী মোহাম্মদ সাঃ অাঃ এর উপর নাযিলকৃত পবিত্র কুরঅানের অাদেশ পালনসহ পুর্ববর্তী সকল নবীদের উপর অবতীর্ন কিতাব সমুহের উপর বিশ্বাস করতে হবে।
২)সালাত/নামাজে অনুবর্তিতা পালনকারী হতে হবে।
৩)সামর্থবানদের আর্থিক ও আত্মিক যাকাত প্রদান করতে হবে।
৪)মহান সৃষ্টিকর্তা অাল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন/ঈমান অানতে হবে।
৫)এবং মহাপ্রলয় কিয়ামত ও শেষ বিচারের দিনের উপর আস্থাশীল বা বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
(8)সূরা মায়িদাহ [5:6]
হে আত্মশুদ্ধির পথে সংগ্রামীগন(আমানু) যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ(প্রস্তুত হও), ধৌত করো স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত এবং মাছেহ করো মাথা এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।
(★★★)সরল অর্থঃ সালাত/নামাজ একটা অনুষ্ঠান নির্ভর অামল/কর্ম তা এই অায়াতে পবিত্রতা ও অজু করার নির্দেশের মাধ্যমে স্পপষ্ট হয়ে উঠেছে।
(9)★সূরাঃ আল-মায়িদাহ [5:12]
আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার নিযুক্ত করেছিলাম। আল্লাহ বলে দিলেনঃ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত দিতে থাক, আমার পয়গম্বরদের প্রতি বিশ্বাস রাখ, তাঁদের সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম পন্থায় ঋন দিতে থাক, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের গোনাহ দুর করে দিব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে উদ্যান সমূহে প্রবিষ্ট করব, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নিঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হয়। অতঃপর ———।
(10)★তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে এবং যাকাত দেয় রুকু অবস্থায়। (5:55)
★যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।(2:151)
(11)★আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।(6:162)
(12)★আর যেসব লোক সুদৃঢ়ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয়ই আমি বিনষ্ট করব না সৎকর্মীদের সওয়াব।(7:170)
(13)★অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের(তাদের মধ্যে যারা ষড়যন্ত্র করে,হত্যা করে) হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(9:5)
(14)★অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধানসমূহে জ্ঞানী লোকদের জন্যে সর্বস্তরে র্বণনা করে থাকি।(9:11)
(15)★নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।(9:18)
★★★আনুষ্ঠনিক সালাত না থাকলে মসজিদ আবাদ করার প্ররয়োজন হতো না।
(16)★যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম।(9:20)
17★নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন।(9:36)
18★তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ার এছাড়া আর কোন কারণ নেই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি অবিশ্বাসী, তারা নামাযে আসে অলসতার সাথে ব্যয় করে সঙ্কুচিত মনে।(9:64)
19★আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।(19:87)
20★আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।(11:114){সালাতে ফজর ও সালাতে মাগরেব}
★উপরের সব আয়াত গুলি মনোযোগের সাথে পাট করলে প্রচলিত আনুষ্ঠানিক সালাতকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।