আল্লাহ কোরান নাজিল করে যেমন একে হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন—তেমনি কোরানকে বুঝাও তিনিই সহজ করে দিয়েছেন। কোরানকে আরবী নাহু-ছরফের সাহায্যে বুঝতে গেলে শিক্ষিত লোক ছাড়া বুঝতে পারবে না। তাই মহান আল্লাহ যিনি আলিমুল হাকিম —- তিনি কোরানের মেছাল, আমাদের পারিপার্শ্বিক অগনিত আয়াত-নিদর্শন দিয়ে কোরান বুঝার ব্যবস্থা করেছেন।
খলিফা ওমর (রাঃ) এ দীন যেমন বুঝে ছিলেন—তেমনি অক্ষর জ্ঞানহীন হাবশী ক্রীতদাস বেলাল (রাঃ)সহ হাজার হাজার সাহাবী এ দীন বুঝে, দীনকে বিজয়ী করার জন্য তাদের জীবন ও সম্পদ আল্লাহর জন্য কোরবান করে ছিলেন।
কোরান বুঝা অর্থ—হাফেজ, কারী, মোহাদ্দেস, মোফাসসের, ফকিহ, মুজতাহিত হওয়া নয়। কোরানের কেন্দ্রীয় বিষয় অর্থাৎ — সমগ্র সৃষ্টি জগতের মালিক, পালনকর্তা, হুকুম-বিধানদাতা ইলাহ হলেন একমাত্র আল্লাহ এ উপলব্ধি না আসলে কোরান বুঝা যাবে না।
কোরানে দুনিয়ায় মানুষের জীবন-যাপনের জন্য আয়াতে মুহকামাত ( হুকুম,হারাম-হালাল, আদেশ-নিষেধ, ফরজ-ওয়াজিব)বিষয়ক আয়াত আছে। হারামের তালিকা হাতে গোনা কয়েকটি। হালালের তালিকা আল্লাহ দেন নাই — কারন হারামের তালিকার বাইরে সবকিছু মহা জ্ঞানী আল্লাহ হালাল করে দিয়েছেন।
কোরানে কিছু আয়াত আছে–“আয়াতে মুতাশাবিয়া ” বা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন–এগুলো বুঝতে পারলে ভালো, না বুঝতে পারলে অসুবিধা নেই। এগুলোর উপর হেদায়েত নির্ভর
করে না। তবে এগুলো নিয়ে আলোচনা, তর্কবিতর্ক করা ইমানের রোগের লক্ষন।
সমগ্র মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন—
” আমি এ কোরানকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি — অতএব, তা বুঝার জন্য কোনো চিন্তাশীল আছো কি? ” ——সুরা কমরঃ১৭