Categories
My text

কোরান থেকে বিক্ষিপ্ত আলোচনা

তাহাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যাহাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই, তাহারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে।(২ঃ৭৮)

এরা বিচার দিবসে বলবে……

আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।’

فَاَغْوَيْنٰكُمْ اِنَّا كُنَّا غٰوِيْنَ  ( ৩৭ঃ৩২)

বরং এ আয়াতটি র গুরুত্ত আমরা বুঝি নি।

যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে দয়াময় অবশ্যই তাহাদের জন্য সৃষ্টি করিবেন ভালবাসা। (১৯ঃ৯৬)

ইসলামের জ্ঞান সবাই পাবে না, আল্লাহর ওয়াদাঃ

আল্লাহ্ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ অতিশয় সংকীর্ণ করিয়া দেন ; তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দুঃসাধ্য হইয়া পড়ে। যাহারা বিশ্বাস করে না আল্লাহ্ তাহাদেরকে এইভাবে লাঞ্ছিত করেন।
(৬ঃ১২৫)

যে ব্যক্তি মৃত ছিল, যাহাকে আমি পরে জীবিত করিয়াছি এবং যাহাকে মানুষের মধ্যে চলিবার জন্য আলোক দিয়াছি, সেই ব্যক্তি কি ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে অন্ধকারে রহিয়াছে এবং সেই স্থান হইতে বাহির হইবার নয় ? এইরূপে কাফিরদের দৃষ্টিতে তাহাদের কৃতকর্ম শোভন করিয়া দেওয়া হইয়াছে। (৬ঃ১২২)

আমি তাহাদের নিকট ফিরিশতা প্রেরণ করিলেও এবং মৃতেরা তাহাদের সঙ্গে কথা বলিলেও এবং সকল বস্তুকে তাহাদের সম্মুখে হাযির করিলেও যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তবে তাহারা ঈমান আনিবে না; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশই অজ্ঞ।(৬ঃ১১১)

 আমরা প্রতিদিনের প্রার্থনায় বলে থাকি —-

আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর,(১ঃ৬)

প্রশ্ন আসে সরল পথ কি এবং কোনটি ?

যাহারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে,(২ঃ৩)এবং তোমার প্রতি যাহা নাযিল হইয়াছে ও তোমার পূর্বে যাহা নাযিল হইয়াছে তাহাতে যাহারা ঈমান আনে ও আখিরাতে যাহারা নিশ্চিত বিশ্বাসী,(২ঃ৪) তাহারাই তাহাদের প্রতিপালক-নির্দেশিত পথে রহিয়াছে এবং তাহারাই সফলকাম।(২ঃ৫)

এবার বলা যাক সরল পথ কি ভাবে পাওয়া যায়?

যাহারা মনোযোগ সহকারে (কোরানের)  কথা শুনে এবং উহার মধ্যে যাহা উত্তম তাহা গ্রহণ করে। উহাদেরকে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহারাই বোধশক্তি সম্পন্ন। (৩৯ঃ১৮)

এবার আসি  যাক ঈমান কিসের উপর আনতে হবে ?

তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যাহা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাহার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে; এবং যাহা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হইয়াছে (২ঃ১৩৬)

অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে।(২ঃ১৭৭)

অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ কর তারাই সৃষ্টির সেরা,তারাই সফলকাম এবং তাদের জন্যই জান্নাত নির্ধারিত।

যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। (৯৮ঃ৭) আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে।(২ঃ৮২) ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, পরম আনন্দ এবং শুভ পরিণাম তাহাদেরই।’ ১৩ঃ২৯

কোরান বলে সৎকর্ম কোন গুলি কি কি?

পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্ প্রেমে আত্নীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্য প্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, সালাত কায়েম করিলে ও যাকাত প্রদান করিলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়া তাহা পূর্ণ করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। ২ঃ১৭৭

@ সালাত অবশ্যই সৎকর্মের অংশ। তাহলে সালাত কি এবং কি ভাবে কায়েম করতে হবে ?

নামাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট ফরমেটে বুঝে বা না বুঝে একটা নির্ধারিত সময়ে সালামের মাধ্যমে সমাপ্ত করার নাম। আর সালাত হলো- পঠিত কুরআনের বিধানকে নিজ, পরিবার এবং সমাজ জীবনে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে কুরআনে বর্ননা সুপ্রতিষ্ঠিত পথে (সিরাতুম মুস্তাকিম) অটল থাকার নাম।

সালাত হল কোরান তেলোয়াতের অনুষ্ঠান।  সালাতে যা বলছি বাস্তব জীবনে সালাতের বাহিরেও তার বাস্তব প্রতিফলন ঘঠানোকেই সালাত কায়েম করা বুঝায়। সালাত পুঁজা মন্ডবে কিছু মন্ত্র পাঠ করার মত কোন অনুষ্ঠান নয়।

যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, ৭০ঃ২৩

যাহারা দাঁড়াইয়া, বসিয়া ও শুইয়া আল্লাহ্‌কে স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্ত করে ও বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি ইহা নিরর্থক সৃষ্টি কর নাই, তুমি পবিত্র, তুমি আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা কর। ( ৩ঃ১৯১)

মুসলমানদের সবচেয়ে হাস্যকর আচরণ হলো, তারা দাবী করে যে  কোর’আন-ই একমাত্র ধর্ম গ্রহন্থ যা বিশুদ্ধভাবে রক্ষিত আছে, এবং যা সরাসরি আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশনা রূপে এসেছে। কিন্তু মানে হাদীস নামক মানব রচিত গ্রহন্থকে।

দ্বিতীয়ত কোর’আন দাবী করে এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ। কিন্তু মুসলমানরা নিজেরা তো কোর’আন পড়েই না,এমনকি অন্যদের পড়তে দিতেও নারাজ।

ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ জন্মগত ভাবে যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না।

মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে তার জানা গুলো ডাহা মিথ্যা হলেও তার জানা গুলোকেই একমাত্র সত্য মনে করে  এবং বাকি সব  মিথ্যা মনে করে।

একজন ব্যক্তি যখন হঠাৎ জানতে পারে তার ধর্মীয় বিষয়ে জানা গুলো অনেক কিছুই মিথ্যা  তখন সে উত্তেজিত হয়। সে মেনে নিতে পারে না। যুগে যুগে এ সংঘর্ষ সকল নবী রাসুলদের সাথেও হয়ে আসছে।

যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২ঃ১৭০)

দীর্ঘ দিনের পালিত অভ্যাস, বাপদাদার যে ভাবে এবাদত করতে দেখে আসতেছে, অধিকাংশ লোকে যে ভাবে ধর্ম কার্যাদি সম্পাদন করতে দেখে আসতেছে তা থেকে সড়ে এসে যত সত্য কথায় উপস্থাপন করা হোক না কেন, মানুষ তা গ্রহন করতে রাজি না, যদিও কোরান থেকে দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। আর এমন হবে তা আল্লাহ জানেন বলেই আল্লাহ বলেনঃ

যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে; তাহাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথনির্দেশ, না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব।(২২ঃ৮)

সে বিতণ্ডা করে ঘাড় বাঁকাইয়া লোকদেরকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে ভ্রষ্ট করিবার জন্য। তাহার জন্য লাঞ্ছনা আছে ইহলোকে এবং কিয়ামত দিবসে আমি তাহাকে আস্বাদ করাইব দহন-যন্ত্রণা। (২৩ঃ৯)

তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।
(৩ঃ১০৫)

তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল। ২৩ঃ৫৩)

মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞানতা বশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের(২২ঃ৩)

আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদ ভাবে বিবৃত করিতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করিতে এবং তোমাদের ক্ষমা করিতে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। – (সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ২৬)

তাদের মধ্যে এমন আহম্মক লোক আছে যাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কেতাব সম্বন্ধে কোনোই জ্ঞান নেই, তারা শুধু অবাস্তব ধারণায় বিশ্বাসী। –  [২: বাকারা-৭৮]

অধিকাংশ ঈমান এনে এবাদত করছে ঠিকই কিন্তু উল্টো পথে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ভাবছে আমরা অনেক ভাল আমল করছি।  প্রকৃত সব পন্ডুসার।

যেমন আমরা আস সালামু আলাইকুম বলে সালাম বিনিময় করি অথচ আল্লাহ  বলতে বলেন সালামুন আলাইকুম”

আর যারা আমার আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে, তারা যখন তোমার কাছে আসে, তখন তুমি বলবে, ‘সালামুন আলাইকুম ’। তোমাদের প্রতিপালক তাঁর নিজের উপর লিখে নিয়েছেন দয়া, নিশ্চয় যে তোমাদের মধ্য থেকে না জেনে খারাপ কাজ করে তারপর তাওবা করে এবং শুধরে নেয়, তবে তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৬ঃ৫৪)

যারা মুত্তাকী, তাদের জন্য দুনিয়াতে মঙ্গল, পরকালে জান্নাত তাদের প্রান হরনের সময় মালা-ইকাগণ বলবে “সালামুন আলাইকুম ৷” (১৬ঃ৩১)

সূরা ফাতেহার পর আমিন বলি, এ আমিন শব্দ টা আদৌ কি কোরানে আছে?  নাই।  আমিন অর্থ বিশ্বস্ত।  কে সংযোজন করলো এ অতিরিক্ত শব্দ আল্লাহর কিতাবের সাথে??

এমন আরো অনেক, আল্লাহ বলতে শিখিয়েছেন একভাবে আর আমরা আমরা করে চলছি আরেক ভাবে। যেমন কোরান পাঠের আগে আমরা বলি,  ” আউয়ুযুবিল্লাহে  মিনাশ শায়তানের রাজিম ” অথচ আল্লাহ বলতে শিখিয়েছেন, ” রাব্বি আউয়ুযুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়তান। “

وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَٰتِ ٱلشَّيَٰطِينِ

আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (২৩ঃ৯৭)

আল্লাহ্ বলিলেন, ‘তোমরা দুই ইলাহ্ গ্রহণ করিও না; তিনিই তো একমাত্র ইলাহ্। সুতরাং আমাকেই ভয় কর।'(১৬ঃ৫১)

আল্লাহ মানুষকে  অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। (৯১ঃ৮) সে যেটি ইচ্ছে করতে পারে।

অতএব তুমি যখনই অবসর পাও একান্তে ইবাদত করিও।  ৯৪ঃ৭

তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে, কিন্তু তারা শির্ককারী। (১২ঃ১০৬)

প্রতেক ব্যাক্তিই নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। (৬:১৬৪)

বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮ঃ ১০৩-১০৪)

আল্লাহ্ই প্রাণ হরণ করেন জীবসমূহের তাহাদের মৃত্যুর সময় এবং যাহাদের মৃত্যু আসে নাই তাহাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। অতঃপর তিনি যাহার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তাহার প্রাণ তিনি রাখিয়া দেন এবং অপরগুলি ফিরাইয়া দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (৩৯ঃ৪২)

যাহারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করিয়াছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়াছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ লইয়া উৎফুল্ল। (30:32)

তারা মুসলমান হয়ে আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। বলুন, তোমরা মুসলমান হয়ে আমাকে ধন্য করেছ মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন, যদি তোমরা সত্যনিষ্ঠ হয়ে থাক। (৪৯ঃ১৭)

বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। সুরা জুমার আয়াত  ৯ ও ১০

কবর একটি সাময়িক অবকাশ স্থল মাত্রঃ

তাহারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব এবং কখন তাহাদেরকে পুনরুত্থিত করা হইবে সে বিষয়ে তাহাদের কোন চেতনা নাই।(১৬ঃ২১)

বিচার দিবসে সালাত নিয়ে জবাব দিহী নয়ঃ

তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’ (১৭ঃ১৪)

হে ঈমানদারগণ! অধিকাংশ পীর,দরবেশের অবস্থা এই যে, তারা জনগণের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে এবং তাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে! তাদের জন্য পীড়াদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও যারা স্বর্ণ রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না! (সূরা তওবা: আয়াত ৩৪)

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার হাদীস গ্রহন করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।( 31:6)

যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)

আল্লাহকে রহমান ও রহিম কেন বলা হয়, কারন —– ৪ঃ৩১ ভাবলেই বুঝ এসে যায়।

তোমাদেরকে যাহা নিষেধ করা হইয়াছে তাহার মধ্যে যাহা গুরুতর তাহা হইতে বিরত থাকিলে তোমাদের লঘুতর পাপ গুলি মোচন করিব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে দাখিল করিব।(৪ঃ৩১)

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার হাদীস গ্রহন করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।( 31:6)

যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে। (৬ঃ১১৬)

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্ঢ় কোন ওলী-আউলিয়ার অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।

তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’

اِقْرَاْ كِتٰبَك َؕ كَفٰى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيْبًا ؕ

সূরা নম্বরঃ ১৭, আয়াত নম্বরঃ ১৪

২) ‘আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।’

فَاَغْوَيْنٰكُمْ اِنَّا كُنَّا غٰوِيْنَ

সূরা নম্বরঃ ৩৭, আয়াত নম্বরঃ ৩২

৩) যাহারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।( ৫ঃ১৬)

৪) যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে।(১৭ঃ৩৬)

৫) আল্লাহ ঈমানদারগণকে সতর্ক করে বলেনঃ অবশ্যই আলিম ও দরবেশদের অনেকেই ভূয়া কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের সম্পদ গ্রাস করে থাকে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। (৯ঃ৩৪ অংশ)

৬) ইহারা কুরআনের প্রতি ঈমান আনিবে না এবং অতীতে পূর্ববর্তীদেরও এই আচরণ ছিল।

لَا يُؤْمِنُوْنَ بِهٖ‌ۚ وَقَدْ خَلَتْ سُنَّةُ الْاَوَّلِيْنَ

সূরা নম্বরঃ ১৫, আয়াত নম্বরঃ ১৩

৭) একমাত্র কোরআনকেই অনুসরন করতে হবেঃ

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্য কোন আউলিয়াকে অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।

( ৭ঃ৩)

গুরুত্তপুর্ন কিছু আয়াতঃ

আল্লাহ মানুষকে  অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। (৯১ঃ৮) সে যেটি ইচ্ছে করতে পারে।

এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধান সমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগত সমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০ঃ৩৭)

‘আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।’
(৩৭ঃ৩২)

আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯ঃ৪৯)

যাহারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।
(৫ঃ১৬)

যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে।(১৭ঃ৩৬)

ইহারা কুরআনের প্রতি ঈমান আনিবে না এবং অতীতে পূর্ববর্তীদেরও এই আচরণ ছিল।
(১৫ঃ১৩)

[ পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।( ৫৭ঃ২২)

অন্য অনুবাদঃ
পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগত ভাবে তোমাদের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংঘটিত করিবার পূর্বেই ইহা লিপিবদ্ধ থাকে; আল্লাহর পক্ষে ইহা খুব সহজ।

দূটি অনুবাদ থেকে কি একই মর্ম হৃদয়ে অনুভুত হয়??]

সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে। (৬৯ঃ৪৪- ৪৭)

তোমাদের জিহবা মিথ্যা আরোপ করে বলিয়া আল্লাহ্‌র প্রতি মিথ্যা আরোপ করিবার জন্য তোমরা বলিও না, ‘ইহা হালাল এবং উহা হারাম।’ নিশ্চয়ই যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করিবে তাহারা সফলকাম হইবে না।(১৬ঃ১১৬)

বিচার দিবসে চুড়ান্ত রায় ঘোষনার পর,

‘ ” জাহান্নামীরা বলিবে, ‘আমাদের কী হইল যে, আমরা যে সকল লোককে মন্দ বলিয়া গণ্য করিতাম তাহাদেরকে দেখিতে পাইতেছি না!
‘তবে কি আমরা উহাদেরকে অহেতুক ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র মনে করিতাম, না উহাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটিয়াছে ?’ (৩৮ঃ৬২-৬৩

দুনিয়ার জীবনে বিভ্রন্তিতে তারাই যারা বাপ দাদা পুর্ব পুরুষ এমন করে আসছে বলে অনুসরন করে এবাদত করে থাকে। আল্লাহ কোরানে বলেনঃ

১) বরং উহারা বলে, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।'(৪৩ঃ২২)

২) এইভাবে তোমার পূর্বে কোন জনপদে যখনই আমি কোন সতর্ককারী প্রেরণ করিয়াছি তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিরা বলিত, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।(৪৩ঃ২৩)

৩) সেই সতর্ককারী বলিত, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ দেরকে যে পথে পাইয়াছ, আমি যদি তোমাদের জন্য তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট পথনির্দেশ আনয়ন করি তবুও কি তোমরা তাহাদের পদাংক অনুসরণ করিবে? তাহারা বলিত, ‘তোমরা যাহা সহ প্রেরিত হইয়াছ আমরা তাহা প্রত্যাখ্যান করি।'(৪৩ঃ২৪)

৪)  যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তাহারা বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাহাদের পূর্বপুরুষগণ কিছুই জানিত না এবং সৎপথপ্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি ? (৫ঃ১০৪)

৫) যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও।      ( ২ঃ১৭০)

৬) উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহবান করে, তবুও কি? (৩১ঃ২১)

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Also innovator of history of Islam. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Verified by MonsterInsights