অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (ইয়াসিনঃ২১)
এর পর সুরা ইমরানে আল্লাহ বলেনঃ
আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। ( ইমরানঃ১০৪)
এ দুই আয়াতের দৃষ্টিতে দ্বীন প্রচারের কর্মসূচীতে তাবলীগ জামাত নিঃসন্দেহ অন্য যে কোন দল অপেক্ষা উত্তম।
দলটি ৩ঃ১০৪ অনুযায়ী সৎকাজের প্রতি আহবান করার বিষয়ে পরিপুর্ন পালন করলেও, অন্যায় কাজের প্রতি বাঁধা প্রদানে সক্রীয় নন, পাশ কাটিয়ে চলেন। সে ক্ষেত্রে হাদীসকে অনুসরন করে মনে মনে ঘৃণা করাকে বেছে নেন। অবশ্য সেক্ষেত্রে নিন্মোক্ত আয়াত অনুসরন করেঃ
তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং ইহা বিনীতগণ ব্যতীত আর সকলের নিকট নিশ্চিত ভাবে কঠিন।(২ঃ৪৫)
দ্বীতিয়ত দলটি যখন কোরান রেখে ফাযায়েল বা অন্য কিতাবের প্রতি ঈমান ও একিন এনে তৎনুযায়ী উপদেশ গ্রহন করে থাকেন, তখনি প্রকৃত দ্বীনের কর্মসূচীর সাথে মিশ্রন ঘটিয়ে বিচ্যুত হয়ে পড়েন।
কারন আল্লাহ বলেনঃ
তোমার প্রতিপালক হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যে ব্যক্তি সত্য বলিয়া জানে আর যে অন্ধ তাহারা কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেক শক্তি সম্পন্নগণই, সূরা নম্বরঃ ১৩, আয়াত নম্বরঃ ১৯
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্ঢ় কোন ওলী-আউলিয়ার অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (৭ঃ৩)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮ঃ ১০৩-১০৪)
তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজদেরকে বিস্মৃত হও ? অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন কর। তবে কি তোমরা বুঝ না ? সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ৪৪
এ ত্রুটি সমুহ নিরসনের মাধ্যমে তাবলীগ জামাত দ্বীন প্রচারে শ্রেষ্ঠ দল হিসেব নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে আমি বিশ্বাস করি।