তাফসীর গ্রন্থঃ
গত হাজার বছরে ইসলামের ইতিহাসের নামে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে।
ঈমাম তাবারি সর্বপ্রথম এইরকম ইসলামের ইতিহাস লিখেছিলেন উচ্চপ্রশংসিত রসূল ও নবী মুহম্মদের মৃত্যুর ২৮০ বছর পরে জনশ্রুতি এবং গুজবের উপরে ভিত্তি করে। তার পরবর্তী সকল ঐতিহাসিকগণ তাকে অন্ধভাবে অনুসরন ও পুনরাবৃত্তি করেছেন কোনরকম বাছ বিচার ছাড়াই।
শিক্ষীত মুসলমানদের অনেকেই বিখ্যাত ও প্রাচীন “তাফসীর এ কবির” এর লেখক ঈমাম রাজীর নাম শুনে থাকবেন। আজকের দিনে আমাদের মোল্লারা এই তাফসীর বহুলাংশে অনুসরন করেন। ৩০০ ভলিউম লেখার পরে এই বিখ্যাত ও বিশেষজ্ঞ ঈমাম স্বীকার করেন – ঈমাম রাজীর উক্তিঃ
“আমার বিচারবুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে করা কোরানের সকল ব্যাখ্যাই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
ঈমাম তাবারির অদ্ভুত স্বীকারোক্তিঃ
বর্ননাকারীদের বর্ননা মতোই আমি লিখে থাকি। উদ্ভট কোন কিছু পাওয়া গেলে , তার জন্য আমি দায়ী নই বা আমাকে দোষ দেয়া যাবে না। আমার লেখায় সকল ভুল ও গুরুতর অসঙ্গতির দাঁয় দায়িত্ব শুধুমাত্র তাদের , যারা এই গল্পগুলো আমাকে বর্ননা করেছেন।
তাবারির “তারিখিল উমাম ওয়াল মুলুক (সকল জাতি ও রাজাদের ইতিহাস)” কে কেউ কেউ “সকল ইতিহাসের মা” বলে থাকেন। এই বইটি তিনি লিখেছিলেন হিঃ ৩য় ও ৪র্থ শতকে , অর্থাৎ রসূল গত হওয়ার ৩০০ বছর পরে। ঈমাম তাবারির মৃত্যু হয় ৩১০ হিঃ। তার লেখার উৎস? কোন লিখিত দলিল নয়। “সে আমাকে এটা বলেছে, যা সে অমুকের কাছে শুনেছে, অমুক আবার তমুকের কাছ থেকে শুনেছে , তমুক অমুকের…….ইত্যাদি ইত্যাদি।” তৎকালীন খলিফার ছত্রছায়ায় ১৩ ভলিউম ইতিহাস ও ৩০ ভলিউম কোরানের ব্যাখ্যা লিখে তিনি সুপার ঈমামে পরিনত হন। তার পরবর্তি আজকের দিন পর্যন্ত সকল ঐতিহাসিকগণ এই সুপার ঈমামের পদাঙ্ক অনুসরন করে চলেছেন।
ইবনে কাসীরের স্বীকারোক্তি
যদি ইবনে জারির তাবারি তার অদ্ভুত প্রতিবেদন না লিখতেন , তাহলে আমি কখনো এটা করতাম না।
ঈমাম আহম্মাদ বিন হাম্বলের যে বক্তব্যের কারনে বেত্রাঘাতের শাস্তি পেতে হয়েছিল।
শাহ আব্দুল আজিজের সমালোচনা
ইবনে খালদুনের লেখা ইতিহাসের প্রথম ৬ পাতা গায়েব করে দেয়া হয়েছে ইসলামের আদি যূগ থেকেই। এই পাতাগুলোতে ইসলামের শুরুর দিকের কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল , যেমন ইয়াজিদের খিলাফত ও কারবালার উপন্যাস। বর্তমান সংস্করনগুলোতে ও টীকা হিসাবে লেখা হয় পাতাগুলো রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে গেছে। (Khilaafat-e-Mu’awiya-o-Yazeed, Mahmood Ahmed Abbasi)
শাহ ওয়ালিউল্লাহর নিন্দা
ঈমাম জালালুদ্দিন সায়ুতির “খলিফাদের ইতিহাস” প্রকৃষ্ট উদাহরন , যেখানে আমাদের ঐতিহাসিকগণ , মুহাদ্দিতিন ও মুফাস্সিরগণ কেমনে “হাতিব আল লেইল”এর খেলা খেলেছেন অর্থাৎ ভাল কি মন্দ তা না জেনেই আমাবস্যার অন্ধকারে জ্বালানি কাঠ খোজার মতো।
ঈমাম রাগীবের প্রতিবাদ
তাবারি , ওয়াকিদি , মাসুদি , সায়ুতি প্রমূখ হাতের কাছে যে প্রতিবেদনি পেয়েছেন তাই কপিপেস্ট।
ডাঃ শাব্বির আহম্মদ বহু প্রাচীন পুস্তকের পাতা ঘেটে ইসলামের সত্য ইতিহাস লেখার চেষ্টা করেছেন। তার সত্য মিথ্যা নির্নয়ের ভিত্তি ছিল আল-কোরান এবং এটাই হওয়া উচিৎ। এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে তারি দুনিয়াব্যাপী পাঠকবৃন্দ বহু দুষ্প্রাপ্য ও গোপনীয় বই ও প্রতিবেদন সরবরাহ করে।
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? (৫৪ঃ১৭)। এ আয়াতটি পড়তে গিয়ে অনুভুতি গুলি জেগে উঠলো।