আমরা মনে করি কোরআনের আয়াত নিয়ে আমাদের আলেম সমাজে তর্ক বিতর্ক। কিন্তু না। নবী মুহাম্মদ জীবিত থাকা কালিন সময়েও তর্ক বিতর্ক হয়েছে এবং সাহাবাদের মধ্যেও বিভিন্য দল তৈরী হয়েছিলো। একেক জনের কাছে একেক ভাবে প্রকাশিত হয়। অনেক পথ, অনেক মত। কোনটা সঠিক একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভাল জানেন।
আমরা আপেক্ষিক ভাবে সঠিক দাবী করি মাত্র।
আকাশের ওপার টাই কি পরকাল??
তাই কি বার বার বলা হয়, সেদিন আকাশ ফেটে চৌচির হয়ে যাবে!!
জান্নাত কে কাছে নিয়ে আসা হবে??
আবার, সেদিন আকাশে দরজার মত হবে। যা দিয়ে দৃশ্যমান এর বিলুপ্তি আর গায়েবের আগমন ঘটবে!!
তাই কি স্রষ্টা বলেন, আকাশ – পৃথিবীর সৃষ্টি সংঘঠন নিয়ে উঠতে, বসতে সর্বাবস্থায় ভাবতে থাকো, গবেষণা করতে থাকো??
তাই, আকাশ কে এক রহস্য ঘেরা পর্দা মনে হয়।
যেমনটা,চোখের পর্দা।
সবই দৃশ্যমান, কিন্তু ছানি পড়ে থাকলে, সবাই দেখলেও আপনি দেখবেন না। নতুন লেন্স লাগিয়ে, তাকে দৃশ্যমান করে নিতে হয়।
আল্লাহ পক্ষ থেকে আসা সেই লেন্স/ বাসায়ের, যা দিয়ে সেই পর্দার ওপরটা দেখা যায়। সেই লেন্স এর নাম ওহী, সেটাই নুর, সেটাই জ্ঞান, সেটাই মহিমান্বিত পাঠ কোরান।
সেই আলো ছাড়া আদৌ কি গায়েব এ আস্থা আনা যায়??? নিজেকেই কি চেনা যায়, স্রষ্টা তো দূর কি বাত!!
তাইতো কবিও বলেছেন
” চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে,
অন্তরে আজ দেখবে যখন আলোক নাহিরে!!”