নাবা শব্দের অর্থ সংবাদ, নাবিয়্যীন শব্দের অর্থ সংবাদ বহনকারী। সত্য ওহী প্রাপ্ত কোনো রছূল এর আবির্ভাব ঘটার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত, কোন জাতির ধ্বংসের চুড়ান্ত ফয়াসালা হয় না, আর ঐ ফয়সালার সংবাদটাই (নাবা) বহন করে নিয়ে আসে ওহী প্রাপ্ত রাছূলের কাছে, সংবাদ বহনকারী (নাবিয়্যীন) কোন ফেরেস্তা।
ফেরেস্তারা ওহী বহন করে না, তারা বহন করে সংবাদ, সংবাদ শব্দের আরবি নাবা,বর্তমানে সংবাদ আসা বন্ধ আছে,
ওহী বা জ্ঞান এটা ওপর থেকে কেউ বহন করে নিয়ে আসে না, যে কোনো মানুষ যদি সত্য অনুসন্ধানী হয় আল্লাহর সাহায্য কামনা করে তাহলে সে অবশ্যই ওহী প্রাপ্ত বা জ্ঞান প্রাপ্ত হবে,
রছূল শব্দের অর্থ বাহক, যা আল্লাহর বানী বহন করে, তাই কোনো ব্যাক্তীর মাধ্যমে হোক বা কিতাব এর মাধ্যমে হোক আল্লাহর বানী সবার কাছে পৌঁছে যাবে,
আর কোনো ব্যাক্তী যখন কিতাব থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, তখন তিনি হয়ে যান কিতাব এর ওহীর রছূল,ওহী শব্দের অর্থ জ্ঞান,
এজন্যই কিতাব হলো আল্লাহর বানীর রছূল, আর কোনো ব্যাক্তী যদি কিতাব এর জ্ঞান বহন করে, নিজের জীবনে তা কায়েম করে, অন্যের কাছে তা পৌঁছে দেয় তাহলে সে হলো ওহীর রছূল, অর্থাৎ তার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বানী বহন করিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়,
তাই কিতাব রছূল নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত স্হায়ী এবং জিন্দা,আর ব্যাক্তী রছূল ক্ষনস্থায়ী, পরিবর্তনশীল।
ব্যাক্তী রছূল তার জীবদ্দশায় কিতাব এর বাস্তবায়ন অন্যদের জন্য অনুকরণীয় অনুসরণীয়, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ব্যাক্তী রছূল হওয়া যাবে না পূজনীয়,,,,
আমাদের সমস্যা হচ্ছে ছোটো বেলা থেকে মিথ্যার গযব শুনতে শুনতে এখন সত্য শোনলে ও মনে হয় মিথ্যা শুনছি,
মহা দিবসের বিচারের পর মানুষ কে ফাইনালি যে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেটা সম্পুর্ন রক্ষিত, আলাদা একটা ইউনিভার্সাল,
সেটাতো এখনো খোলাই হয়নি, আদমকে সেখান থেকে বহিষ্কার করার প্রশ্নই আসে না
‘অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।
اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا يَسْـــَٔلُكُمْ اَجْرًا وَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ
সূরা নম্বরঃ ৩৬, আয়াত নম্বরঃ ২১