ভুমিকাঃ–
ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ জন্মগত ভাবে যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না।
মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে তার জানা গুলো ডাহা মিথ্যা হলেও তার জানা গুলোকেই একমাত্র সত্য মনে করে এবং বাকি সব মিথ্যা মনে করে।
একজন ব্যক্তি যখন হঠাৎ জানতে পারে তার ধর্মীয় বিষয়ে জানা গুলো অনেক কিছুই মিথ্যা তখন সে উত্তেজিত হয়। সে মেনে নিতে পারে না।
যুগে যুগে এ সংঘর্ষ সকল নবী রাসুলদের সাথেও হয়ে আসছে।
*** বরং উহারা বলে, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।'(৪৩ঃ২২)
* * যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)
এইভাবে তোমার পূর্বে কোন জনপদে যখনই আমি কোন সতর্ককারী প্রেরণ করিয়াছি তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিরা বলিত, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।'(৪৩ঃ২৩)
***সেই সতর্ককারী বলিত, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ দেরকে যে পথে পাইয়াছ, আমি যদি তোমাদের জন্য তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট পথনির্দেশ আনয়ন করি তবুও কি তোমরা তাহাদের পদাংক অনুসরণ করিবে? তাহারা বলিত, ‘তোমরা যাহা সহ প্রেরিত হইয়াছ আমরা তাহা প্রত্যাখ্যান করি।'(৪৩ঃ২৪)
*** যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তাহারা বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাহাদের পূর্বপুরুষগণ কিছুই জানিত না এবং সৎপথপ্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি ? (৫ঃ১০৪)
**** যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও।( ২ঃ১৭০)
*** উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহবান করে, তবুও কি? (৩১ঃ২১)
দীর্ঘ দিনের পালিত অভ্যাস, বাপদাদার যে ভাবে এবাদত করতে দেখে আসতেছে, অধিকাংশ লোকে যে ভাবে ধর্ম কার্যাদি সম্পাদন করতে দেখে আসতেছে তা থেকে সড়ে এসে যত সত্য কথায় উপস্থাপন করা হোক না কেন, মানুষ তা গ্রহন করতে রাজি না, যদিও কোরান থেকে দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। আর এমন হবে তা আল্লাহ জানেন বলেই আল্লাহ বলেনঃ
*** যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)
*** তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।(৩ঃ১০৫)
*** তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল। ২৩ঃ৫৩)
**** আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদ ভাবে বিবৃত করিতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করিতে এবং তোমাদের ক্ষমা করিতে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। – (সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ২৬)
সমাজের অধিকাংশ মুসলমান হুজুর নিকট শুনে তাদের এবাদত পরিপালন করে থাকে। অথচ সকল এবাদতের নির্দেশ কোরানে থাকলেও তা কখনো যাচাই করে দেখেন না। সে বিষয়েও আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেনঃ
*-* আল্লাহ ঈমানদারগণকে সতর্ক করে বলেনঃ অবশ্যই আলিম ও দরবেশদের অনেকেই ভূয়া কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের সম্পদ গ্রাস করে থাকে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। (৯ঃ৩৪ অংশ)
*** তাহাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যাহাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই, তাহারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে।
(সূরা নম্বরঃ ২, আয়াত নম্বরঃ ৭৮)
** হে ঈমানদারগণ! অধিকাংশ পীর,দরবেশের অবস্থা এই যে, তারা জনগণের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে এবং তাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে! তাদের জন্য পীড়াদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও যারা স্বর্ণ রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না! (সূরা তওবা: আয়াত ৩৪)
আল্লাহ তাদের লক্ষ্য করে বলেন ঃ
তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজদেরকে বিস্মৃত হও ? অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন কর। তবে কি তোমরা বুঝ না ?
আর আপনি তাদের অনেককে দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত হয়। তারা অত্যন্ত মন্দ কাজ করছে। (৫ঃ৬২)
দরবেশ ও আলেমরা কেন তাদেরকে পাপ কথা বলতে এবং হারাম ভক্ষণ করতে নিষেধ করে না? তারা খুবই মন্দ কাজ করছে।(৫ঃ৬৩)
অতঃপর বিচার দিবসে এ সকল আলেমের অনুসরন করে যারা জাহান্নামী হবে তাদেকে সেদিন সত্য কথা প্রকাশ করে দিবেঃ
আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।'(৩৭ঃ৩২)
ফলে কিয়ামত দিবসে উহারা বহন করিবে উহাদের পাপভার পূর্ণ মাত্রায় এবং পাপভার তাহাদেরও যাহাদেরকে উহারা অজ্ঞতাহেতু বিভ্রান্ত করিয়াছে। দেখ, উহারা যাহা বহন করিবে তাহা কত নিকৃষ্ট!(১৬ঃ২৫)
মুসলমানদের সবচেয়ে হাস্যকর আচরণ হলো, তারা দাবী করে যে কোর’আন-ই একমাত্র ধর্ম গ্রহন্থ যা বিশুদ্ধভাবে রক্ষিত আছে, এবং যা সরাসরি আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশনা রূপে এসেছে। কিন্তু মানে হাদীস নামক মানব রচিত গ্রহন্থকে।
** মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার হাদীস গ্রহন করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।( 31:6)
দ্বিতীয়ত কোর’আন দাবী করে এটি সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ। কিন্তু মুসলমানরা নিজেরা তো কোর’আন পড়েই না,এমনকি অন্যদের পড়তে দিতেও নারাজ। এমন কি আলেম সমাজও তা থেকে মানুষকে দূরে রাখতে চায় কারন তার পেশায় ভাটা পড়বে মনে করে। তাই আল্লাহ বলেনঃ
*** সে বিতণ্ডা করে ঘাড় বাঁকাইয়া লোকদেরকে আল্লাহ্র পথ হইতে ভ্রষ্ট করিবার জন্য। তাহার জন্য লাঞ্ছনা আছে ইহলোকে এবং কিয়ামত দিবসে আমি তাহাকে আস্বাদ করাইব দহন-যন্ত্রণা। (২৩ঃ৯)
*** তাদের মধ্যে এমন আহম্মক লোক আছে যাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কেতাব সম্বন্ধে কোনোই জ্ঞান নেই, তারা শুধু অবাস্তব ধারণায় বিশ্বাসী। – [২: বাকারা-৭৮]
মানুষ আল্লাহ একমাত্র কিতাবকে রেখে আনুসাঙ্গি মানব রচিত কিতাব,হাদীস থেকে শরীয়তে বিধান পালন করতে আগ্রহী। যা আল্লাহ বলেন নাই।
*** মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার হাদীস গ্রহন করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।( 31:6)
অথচ আল্লাহ কঠোর ভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেনঃ
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্য কোন ওলী-আউলিয়ার অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (৭ঃ৩)
মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞানতা বশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের(২২ঃ৩)
আরো স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ বলেনঃ
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে; তাহাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথনির্দেশ, না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব।(২২ঃ৮)
অধিকাংশ ঈমান এনে এবাদত করছে ঠিকই কিন্তু উল্টো পথে চলে এবং এবাদত বন্দেগী করে ভাবছে আমরা অনেক ভাল আমল করছি। প্রকৃত সব পন্ডুসার। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেনঃ
****বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮ঃ ১০৩-১০৪)
কারন কি সে কথাও আল্লাহ জানিয়ে দিলেনঃ
**** তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, কিন্তু তারা শির্ককারী। (১২ঃ১০৬)
কেহ শিয়া, কেহ সুন্নী,কেহ জামাত,কেহ পীরের এভাবে আল্লাহর একমাত্র দ্বীনকে খন্ড বিখন্ড করে নিয়েছে একমাত্র কোরান নিজ ভাষায় না পড়ার জন্য। এ জন্য আল্লাহ বলেনঃ
** যাহারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করিয়াছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়াছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ লইয়া উৎফুল্ল। (30:32)
তাই আল্লাহ নবীকে জানিয়ে দিলেনঃ
বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। সুরা জুমার আয়াত ৯ ও ১০
কোরানের অনুসরনে কথা বললে মানুষ বলে আমরা সব লোককে দেখতেছি একভাবে চলতে আর তুমি নতুন করে কি সব বলতে শুরু করেছে। আল্লাহ তখন বলেনঃ
*** যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)
@ তখন বলে তাহলে আমাদের পুর্বপুরুষ যারা মরে গেছে তারা কি সবাই ভুল এবাদত করে মরেছে? এ ধরনের প্রশ্নের সন্মুখীন স্বয়ং নবীও হয়েছিলেন। তাই আল্লাহ জানিয়ে দিলেনঃ
** যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২ঃ১৭০)
১) আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তাহার স্বজাতির ভাষাভাষী করিয়া পাঠাইয়াছি তাহাদের নিকট পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করিবার জন্য, আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (১৪ঃ৪)
২) এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধান সমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগত সমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০ঃ৩৭)
৩) আমি ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায় কুরআন, যাহাতে তোমরা বুঝিতে পার। (৪৩ঃ৩)
৪) ইহারা কুরআনের প্রতি ঈমান আনিবে না এবং অতীতে পূর্ববর্তীদেরও এই আচরণ ছিল। (১৫ঃ১৩)
৫) বল, ‘তোমরা কুরআনে বিশ্বাস কর বা বিশ্বাস না কর, যাহাদেরকে ইহার পূর্বে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহাদের নিকট যখন ইহা পাঠ করা হয় তখনই তাহারা নির্দ্বিধায় মানার জন্য উদগ্রীব হইয়া পড়ে।’ (১৭ঃ১০৭)
৬) আমি ইচ্ছা করিলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎপথে পরিচালিত করিতাম ; কিন্তু আমার এই কথা অবশ্যই সত্য : আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিব। (৩২ঃ ১৩)
৭) যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে।(১৭ঃ৩৬)
৮) যাহারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।
,৯) তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্য কোন আউলিয়াকে অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (৭ঃ৩)
একমাত্র কোরআনকেই অনুসরন করতে হবেঃ
১০) যাহারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।(৫ঃ১৬)
বিচার দিবসে চুড়ান্ত রায় ঘোষনার পর,
‘ ” জাহান্নামীরা বলিবে, ‘আমাদের কী হইল যে, আমরা যে সকল লোককে মন্দ বলিয়া গণ্য করিতাম তাহাদেরকে দেখিতে পাইতেছি না!
‘তবে কি আমরা উহাদেরকে অহেতুক ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র মনে করিতাম, না উহাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভ্রম ঘটিয়াছে ?’ (৩৮ঃ৬২-৬৩)
আল্লাহ্ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ অতিশয় সংকীর্ণ করিয়া দেন ; তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দুঃসাধ্য হইয়া পড়ে। যাহারা বিশ্বাস করে না আল্লাহ্ তাহাদেরকে এইভাবে লাঞ্ছিত করেন। (৬ঃ১২৫)
ইহাই আল্লাহ্র বিধান-প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, তুমি আল্লাহ্র বিধানে কোন পরিবর্তন পাইবে না। (৪৮ঃ২৩)
আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা শিরক করিত না এবং তোমাকে তাহাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করি নাই; আর তুমি তাহাদের অভিভাবকও নও। সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত ১০৭)
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯ঃ৪৯)
***
আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক।(২ঃ২০৪)
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।
(৩ঃ১১০)
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।(৮ঃ২)
আর অবশ্যই আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদ ভাবে বর্ণনা করিয়াছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরীকরা ব্যতীত ক্ষান্ত হইল না।'(১৭ঃ৮৯)
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে।(১৭ঃ৯)
আল্লাহ্র সঙ্গে অপর কোন ইলাহ্ সাব্যস্ত করিওনা; করিলে নিন্দিত ও লাঞ্ছিত হইয়া পড়িবে। (১৭ঃ২২)
যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে।(১৭ঃ৩৬)
নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও।(২ঃ১৫৯)
এইভাবে তোমার পূর্বে কোন জনপদে যখনই আমি কোন সতর্ককারী প্রেরণ করিয়াছি তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিরা বলিত, ‘আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পাইয়াছি এক মতাদর্শের অনুসারী এবং আমরা তাহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিতেছি।’
(৪৩ঃ২৩)
উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহবান করে, তবুও কি?
(৩১ঃ২১)
তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন, তৎপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন এবং উহাকে সপ্তাকাশে বিন্যস্ত করেন; তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত।(২ঃ২৯)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮ঃ১০৩-১০৪)
ইহাদের কি এমন কতকগুলি দেবতা আছে যাহারা ইহাদের জন্য বিধান দিয়াছে এমন দীনের, যাহার অনুমতি আল্লাহ্ দেন নাই? ফয়সালার ঘোষণা না থাকিলে ইহাদের বিষয়ে তো সিদ্ধান্ত হইয়াই যাইত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রহিয়াছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
(৪২ঃ২১)
আল্লাহ্ তাঁহার সকল বান্দাকে জীবনোপকরণে প্রাচুর্য দিলে তাহারা পৃথিবীতে অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টি করিত; কিন্তু তিনি তাঁহার ইচ্ছামত পরিমাণেই নাযিল করিয়া থাকেন। তিনি তাঁহার বান্দাদেরকে সম্যক জানেন ও দেখেন। (৪২ঃ২৭)
আল্লাহ্ জীবনোপকরণে তোমাদের কাহাকেও কাহারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছেন। যাহাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হইয়াছে তাহারা তাহাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে নিজেদের জীবনোপকরণ হইতে এমন কিছু দেয় না যাহাতে উহারা এ বিষয়ে তাহাদের সমান হইয়া যায়। তবে কি উহারা আল্লাহ্র অনুগ্রহ অস্বীকার করে?
(১৬ঃ৭১
ইহারা কি তোমার প্রতিপালকের করুণা বণ্টন করে? আমিই উহাদের মধ্যে উহাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের উপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাহাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করাইয়া লইতে পারে ; এবং উহারা যাহা জমা করে তাহা হইতে তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ উৎকৃষ্টতর।(৪৩ঃ৩২)
আপনি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছেন, যে তার খেয়াল-খুশীকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে? আল্লাহ জেনে শুনে তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার কান ও অন্তরে মহর এঁটে দিয়েছেন এবং তার চোখের উপর রেখেছেন পর্দা। অতএব, আল্লাহর পর কে তাকে পথ প্রদর্শন করবে? তোমরা কি চিন্তাভাবনা কর না?( ৪৫ঃ২৩)
রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।(২ঃ২৮৫)
শেষ নাযিল আয়াতঃ
তোমাদের জন্য হারাম করা হইয়াছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-মাংস, আল্লাহ্ ব্যতীত অপরের নামে যবেহ্কৃত পশু আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু; তবে যাহা তোমরা যবেহ্ করিতে পারিয়াছ তাহা ব্যতীত, আর যাহা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেওয়া হয় তাহা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা এই সব পাপ কাজ। আজ কাফিররা তোমাদের দীনের বিরুদ্ধা চরণে হতাশ হইয়াছে; সুতরাং তাহাদেরকে ভয় করিও না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাংগ করিলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করিলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকিয়া ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হইলে তখন আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫ঃ৩)
তোমাদের জিহবা মিথ্যা আরোপ করে বলিয়া আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা আরোপ করিবার জন্য তোমরা বলিও না, ‘ইহা হালাল এবং উহা হারাম।’ নিশ্চয়ই যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করিবে তাহারা সফলকাম হইবে না।(১৬ঃ১১৬)
তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় নির্দেশে ওহীসহ ফিরিশ্তা প্রেরণ করেন এই বলিয়া যে, তোমরা সতর্ক কর, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; সুতরাং আমাকে ভয় কর।(১৬ঃ২)
সরল পথ আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায়, কিন্তু পথগুলির মধ্যে বক্র পথও আছে। তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদের সকলকেই সৎপথে পরিচালিত করিতেন(১৬ঃ৯)
তাহারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব এবং কখন তাহাদেরকে পুনরুত্থিত করা হইবে সে বিষয়ে তাহাদের কোন চেতনা নাই।(১৬ঃ২১)
#বিচার দিবসে আল্লাহ কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেনঃ
এবং যাহারা মুত্তাকী ছিল তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করিয়াছিলেন?’ তাহারা বলিবে, ‘মহাকল্যাণ’। যাহারা সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে এই দুনিয়ায় মঙ্গল এবং আখিরাতের আবাস আরও উৎকৃষ্ট এবং মুত্তাকীদের আবাসস্থল কত উত্তম!-(১৬ঃ৩০)
তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষই প্রেরণ করিয়াছিলাম, তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞাসা কর-(১৬ঃ৪৩)
উহারা কি লক্ষ্য করে না আল্লাহ্র সৃষ্ট বস্তুর প্রতি, যাহার ছায়া ডানে ও বামে ঢলিয়া পড়িয়া আল্লাহ্র প্রতি সিজদাবনত হয়? (১৬ঃ৪৮)
আল্লাহ্কেই সিজদা করে যাহা কিছু আছে আকাশ মণ্ডলীতে, পৃথিবীতে যত জীবজন্তু আছে সে সমস্ত এবং ফিরিশতাগণও, উহারা অহংকার করে না।
(১৬ঃ৪৯)
আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়া স্বরূপ।(১৬ঃ৬৪)
তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে প্রতি ওহী দ্বারা নির্দেশ দিয়াছেন, গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাহাতে;
وَاَوْحٰى رَبُّكَ اِلَى النَّحْلِ اَنِ اتَّخِذِىْ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوْتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُوْنَۙ
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৬৮
আল্লাহ্ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন; অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাইবেন এবং তোমাদের মধ্যে কাহাকেও কাহাকেও উপনীত করা হইবে নিকৃষ্টতম বয়সে; ফলে উহারা যাহা কিছু জানিত সে সম্বন্ধে উহারা সজ্ঞান থাকিবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
(১৬ঃ৭০)
আল্লাহ্র নিকট তাহারা বিভিন্ন স্তরের; তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (৩ঃ১৬৩)
আল্লাহ্ উপমা দিতেছেন অপরের অধিকারভুক্ত এক দাসের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না এবং এমন এক ব্যক্তির যাহাকে তিনি নিজ হইতে উত্তম রিযিক দান করিয়াছেন এবং সে উহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; উহারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহ্রই প্রাপ্য; অথচ উহাদের অধিকাংশই ইহা জানে না। সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৭৫
আল্লাহ্ আরও উপমা দিতেছেন দুই ব্যক্তিরঃ উহাদের একজন মূক, কোন কিছুরই শক্তি রাখে না এবং সে তাহার প্রভুর ভারস্বরূপ; তাহাকে যেখানেই পাঠান হউক না কেন সে ভাল কিছুই করিয়া আসিতে পারে না ; সে কি সমান হইবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায়ের নির্দেশ দেয় এবং যে আছে সরল পথে?সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৭৬
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্মসমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদ স্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম।
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৮৯
তোমরা সেই নারীর মত হইও না, যে তাহার সূতা মযবুত করিয়া পাকাইবার পর উহার পাক খুলিয়া নষ্ট করিয়া দেয়। তোমাদের শপথ তোমরা পরস্পরকে প্রবঞ্চনা করিবার জন্য ব্যবহার করিয়া থাক, যাহাতে একদল অন্যদল অপেক্ষা অধিক লাভবান হও। আল্লাহ্ তো ইহা দ্বারা কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তাহা নিশ্চয়ই স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করিয়া দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করিতে।
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৯২
যখন কোরআন পাঠ করিবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর স্মরণ লইবে।
فَاِذَا قَرَاْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ৯৮
বল, ‘তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে রুহুল-কুদুস জিব্রাঈল সত্যসহ কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছে, যাহারা মু’মিন তাহাদেরকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য এবং হিদায়াত ও সুসংবাদস্বরূপ মুসলিমদের জন্য।’
قُلْ نَزَّلَهٗ رُوْحُ الْقُدُسِ مِنْ رَّبِّكَ بِالْحَـقِّ لِيُثَبِّتَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَهُدًى وَّبُشْرٰى لِلْمُسْلِمِيْنَ
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১০২
আমি তো জানি, তাহারা বলে, ‘তাহাকে শিক্ষা দেয় এক মানুষ।’ উহারা যাহার প্রতি ইহা আরোপ করে তাহার ভাষা তো আরবী নয়; কিন্তু কুরআনের ভাষা স্পষ্ট আরবী ভাষা।
وَلَـقَدْ نَـعْلَمُ اَنَّهُمْ يَقُوْلُوْنَ اِنَّمَا يُعَلِّمُهٗ بَشَرٌؕ لِسَانُ الَّذِىْ يُلْحِدُوْنَ اِلَيْهِ اَعْجَمِىٌّ وَّهٰذَا لِسَانٌ عَرَبِىٌّ مُّبِيْنٌ
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১০৩
আল্লাহ্ তো কেবল মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-মাংস এবং যাহা যবেহ্কালে আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্যের নাম লওয়া হইয়াছে তাহাই তোমাদের জন্য হারাম করিয়াছেন, কিন্তু কেহ অবাধ্য কিংবা সীমালংঘনকারী না হইয়া অন্য উপায়ে হইলে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَ الدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيْرِ وَمَاۤ اُهِلَّ لِغَيْرِ اللّٰهِ بِهٖۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَّلَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১১৫
এখন আমি তোমাদের প্রতি প্রত্যাদেশ করিলাম, তুমি একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর; এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১২৩
তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং উহাদের সঙ্গে তর্ক করিবে উত্তম পন্থায়। তোমার প্রতিপালক, তাঁহার পথ ছাড়িয়া কে বিপথগামী হয়, সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কাহারা সৎপথে আছে তাহাও তিনি সবিশেষ অবহিত। সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১২৫
+++/////++++++/////+++++//+