Categories
My text

প্রচলিত সালাতে নয়,কোরান বুঝে পড়ায় কল্যানঃ

প্রচলিত সালাত নয়,কোরান বুঝে পড়াঃ

১) যাহারা নিজেদের নিকট কোন দলীল না থাকিলেও আল্লাহ্‌র নিদর্শন সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়, উহাদের অন্তরে আছে কেবল অহংকার, যাহারা এই ব্যাপারে সফলকাম হইবে না। অতএব আল্লাহ্‌র শরণাপন্ন হও; তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (৪০ঃ৫৬)

২) আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও রহিয়াছে যাহারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনিয়াছি’, কিন্তু তাহারা মু’মিন নয়; (২ঃ৮)

৩)যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে। (১৭ঃ৩৬)

৪)আল্লাহ ঈমানদারগণকে সতর্ক করে বলেনঃ অবশ্যই আলিম ও দরবেশদের অনেকেই ভূয়া কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের সম্পদ গ্রাস করে থাকে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। (৯ঃ৩৪ অংশ)

৫) কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ বলবেনঃ
তোমাদের নিকট কি আমার আয়াত সমূহ আবৃত্তি করা হইত না? অথচ তোমরা সেই সকল অস্বীকার করিতে।(২৩ঃ১০৫)

৬) যাহারা দাঁড়াইয়া, বসিয়া ও শুইয়া আল্লাহ্‌কে স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্ত করে ও বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি ইহা নিরর্থক সৃষ্টি কর নাই, তুমি পবিত্র, তুমি আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা কর। সূরা নম্বরঃ ৩, আয়াত নম্বরঃ ১৯১

৭)আল্লাহ বলেন, তোমার প্রভুর নাম স্মরণ কর সকালে এবং সন্ধ্যায় ও রাত্রির অংশবিশেষ। – (আদ দাহর- ৭৬:২৫)

যারা উঠতে, বসতে ও শয়ন করতে সকল অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে। – (আলে ইমরান -৩:১৯১)

৮) তোমাদের জিহবা মিথ্যা আরোপ করে বলিয়া আল্লাহ্‌র প্রতি মিথ্যা আরোপ করিবার জন্য তোমরা বলিও না, ‘ইহা হালাল এবং উহা হারাম।’ নিশ্চয়ই যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করিবে তাহারা সফলকাম হইবে না। (১৬ঃ১১৬)

৯)
আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর ঠিক সে ভাবে যে ভাবে তোমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা বাক্বরহঃ (২:১৯৮)

১০)তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্য কোন আউলিয়াকে অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (৭ঃ৩)

১১) যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (৯৮ঃ৭)

12)সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’

وَهُمْ يَصْطَرِخُوْنَ فِيْهَا ‌ۚ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا نَـعْمَلْ صَالِحًـا غَيْرَ الَّذِىْ كُـنَّا نَـعْمَلُؕ اَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيْهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيْرُؕ فَذُوْقُوْا فَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ نَّصِيْرٍ

সূরা নম্বরঃ ৩৫, আয়াত নম্বরঃ ৩৭

13) আমি উহাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করিব, বিশ্বজগতে এবং উহাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে উহাদের নিকট সুস্পষ্ট হইয়া উঠিবে যে, উহাই সত্য। ইহা কি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সর্ববিষয়ে অবহিত?

سَنُرِيْهِمْ اٰيٰتِنَا فِى الْاٰفَاقِ وَفِىْۤ اَنْفُسِهِمْ حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ اَنَّهُ الْحَـقُّ‌ ؕ اَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ اَنَّهٗ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ شَهِيْدٌ

সূরা নম্বরঃ ৪১, আয়াত নম্বরঃ ৫৩

তোমার আমার বিশ্বাসের পার্থক্যটাঃ
——————-****——————–
১)আমি বিধান দাতা এক আল্লাহতে বিশ্বাসী,

** তুমি আল্লাহর পাশাপাশি — আরো কাউকে মেনে নাও,

২)আমি কোরআনকে শুধু শরীয়তের বিধান জানি,

** তুমি কোরআনের পাশ হাদীস, কিয়াস, ইজমাকে বিধান মান।

৩) আমি আমানু ওয়া আমিলুস সালেহাতকে জান্নাতের চাবী বিশ্বাস করি।

** তুমি নামাজ কে বেহেস্তের চাবী বলে বিশ্বাস কর,

৪) আমি নিজে পড়ে বুঝে ধর্ম পরিপালন করি,

** তুমি হুজুরের কাছে শুনে ধর্মের অনুষ্ঠান পালন কর,

৫) আমি রাসুলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না,

** তুমি রাসুলদের পার্থক্যের রাসুলদের মাঝে পার্থক্য কর,

৬) আমি আমার সলাতকে একমাত্র আল্লাহর জন্য ফরজ বলে জানি

** তুমি সলাতকে বিভিন্ন নামে আদায় কর ফরজ,সুন্নত,নফল।

৭) আমি দাড়ি,টুপি,পাগরি ইসলামের মানদন্ড মনে কর,

** তুমি দাড়ি,টুপি,জোব্বাকে জোব্বায় ইসলামের মান দন্ড মনে করি না,

৮) আমি প্রচলিত সলাতের জামাতকে পুর্নাঙ্গ জামাত মেনে নেই না

** তুমি প্রচলিত জামাতের সলাত আদায় করে তৃপ্ত

৯) আমি টাকার বিনিময়ে ইমামের সাথে সলাত
আদায় করি না,এবং তাকে বৈধ বলে মানে করি না।
** তুমি তৃপ্তির সাথে ইমামের সাথে সলাত আদায় কর এবং তৃপ্তি অনুভব কর।

১০) আমি রাসুলের হাদীস মানি কিন্তু যাচাই করে নেই,কোরানের সাথে।

** তুমি যাচাই না করে রাসুলের হাদীসের নামে চালিয়ে দেয়া মিথ্যাকেও মেনে নাও।

১১) আমি প্রতিদিন নিজ ভাষায় কোরান পড়ি।

** তুমি কোরআন নিজ ভাষায় পড় না,পড় থাক সোয়াবের আশায়,

১২) আনুষ্ঠানিক সলাতের পাশে সর্বক্ষন সালাতে বিশ্বাসী

** তুমি সলাতকে আনুষ্ঠানিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে তৃপ্ত।

১৩) আমার সলাত আমাকে অশ্লীলতা ও মুনকার হতে দূরে রাখতে সক্ষম।

** তোমার সলাত ফাহায়েশ ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখতে সক্ষম নয়,

১৪) নির্জন সংগোপন সালাত আদায় আমার প্রিয়,

** প্রকাশ্য ও লোক দেখানো সলাত তোমার প্রিয়।

১৫) আমি জুম্মার সলাত এলে কাঁদি, জুম্মা হচ্ছে না বলে, ছটফট হৃদয়,

** তুমি জুম্মার সলাত আদায় করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে জুম্ম মুবারক বলে থাক,

১৬) আমি কোন মাযহাব এর অনুসারী নই, |

** তুমি কোন না কোন মাযহাব অবশ্যই অনুসরন কর।

আমার আর তোমার মাঝে পার্থক্য এটাই,যদিও তুমিও মুসলিম আমিও মুসলিম দাবীদার।

—————-*——-
৫৪:১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

‘আমিই আল্লাহ্, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। অতএব আমার ‘ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর।

اِنَّنِىْۤ اَنَا اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدْنِىْ ۙ وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ لِذِكْرِىْ

সূরা নম্বরঃ ২০, আয়াত নম্বরঃ ১৪

আর নিশ্চয় তারাই (শয়তান) মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়। অথচ মানুষ মনে করে তারা সঠিক পথে রহিয়াছে ৪৩;৩৭

উহারা বলিবে, ‘হায় ! দুর্ভোগ আমাদের ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল হইতে উঠাইল? দয়াময় আল্লাহ্ ইহারই প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন এবং রসূলগণ সত্যই বলিয়াছিলেন।’
সূরা নম্বরঃ ৩৬, আয়াত নম্বরঃ ৫২

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Also innovator of history of Islam. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Verified by MonsterInsights