মুসলমানদের সবচেয়ে হাস্যকর আচরণ হলো, তারা দাবী করে যে তারা বিশ্বাস করে জমিনে কোর’আন-ই একমাত্র ঐশী-কিতাব যা বিশুদ্ধভাবে রক্ষিত আছে, এবং যা সরাসরি আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশনা রূপে এসেছে।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে খুব মুসলমান-ই আছে যারা শুধু সূরা ফাতিহার অর্থ বুঝে। যারা পাঁচওয়াক্ত নামাজ মাসজিদে জামাতে পড়ে, তাদের মধ্যেও সূরা ফাতিহা বুঝে পড়ে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। মুসল্লী তো মুসল্লী, স্বয়ং ইমাম সাহেব নিজেও বুঝে পড়েন না।
দ্বিতীয়ত কোর’আন দাবী করে এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ। কিন্তু মুসলমানরা নিজেরা তো কোর’আন পড়েই না,এমনকি অন্যদের পড়তে দিতেও নারাজ। তাদের দাবী, তাদের মোল্লারাই শুধু কোর’আন পড়তে এবং এর ব্যাখ্যা করতে পারবে, আর কেউ পারবে না। আবার সেই মোল্লাদের দৌড় এতো দূর যে, তারা কিছু হারাম হালালের বাইরে যে মানুষের বিস্তৃত জীবন ও জগতে রয়েছে, সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা-ই নাই।