আয়াত দুটি থেকে কি বুঝা যায়:
১) “অবশ্যই আল্লাহ কোন কিছুর মাসালা দিতে লজ্জাবোধ করেন না, তা কোন মশা হোক কিংবা তার চেয়ে অনেক বড় কিছু (অথবা অনেক ছোট কিছু) হোক; এরূপ ক্ষেত্রে যারা বিশ্বাসী তারা জানে যে, এটাই তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে সঠিক; আর যারা অবিশ্বাসী তারা বলে, “এই জিনিসের মাসালা দিয়ে আল্লাহ কি বুঝাতে চেয়েছেন?” (বস্তুত) এর দ্বারা তিনি অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে পথের সন্ধান দেন; তবে এর দ্বারা তিনি ফাসেক (পাপাচারী) ব্যতীত কাউকে বিপথগামী করেন না। (সূরা বাকারা আয়াত ২৬)
২) অন্যত্র সূরা কাহাফ আয়াত ৫৪ আল্লাহ বলেন: “অবশ্যই আমি এই কোরআনে মানুষের জন্য সবরকম মাসালা বর্ণনা করেছি। কিন্তু এই মানুষই অধিকতর তর্ক প্রিয়।” (কাহাফ ৫৪)
প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন তিনি কোন কিছুর মাসআলা বর্ণনা করতে লজ্জাবোধ করেন না, দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন এই কুরআনের সব রকমের মাসালা তিনি বর্ণনা করেছেন।
আমার প্রশ্ন তাহলে মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যে পড়তেই হবে তা পরিষ্কারভাবে কেন বর্ণনা করেননি কেনইবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নাম বলে দেননি, আর কেনই বা তিনি পরিষ্কার করে বলেননি কোন নিয়মে নামাজ পড়তে হবে, তাহলে কি ধরে নেব উপরে উল্লেখিত আয়াত দুটি আল্লাহ ভুল বলেছেন, মাশাআল্লাহ, আল্লাহ ক্ষমা করুক, অথচ قُلْ কুরআনে কুল শব্দটি এসেছে ২৬৬ বার, যার অর্থ বল, বলে দাও,
অর্থাৎ সালামুন আলা মোহাম্মদ কে মহান আল্লাহ বলতে বলেছেন বলে দিতে বলেছেন, তিনি কোথাও বলেননি তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো ফজর যোহর আসর মাগরিব এশা এবং নামাজের কোন নিয়ম কানুন তিনি বলে দেন নাই, ইহা ছাড়া মহান আল্লাহ কুরআনে ২১৩ বার বলেছেন হে মানুষ, হে মুমিনগণ, হে নবী,সেখানেও তিনি বলেন নাই হে নবী, হে মানুষ, হে মুমিনগণ তোমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো এই এই নিয়মে,
ইমাম বুখারী ও তার সহচরদের অভিমত মহান আল্লাহ উক্ত দুটি আয়াত ভুল বলেছেন যে কারণে তারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং তার নিয়ম কানুন তাদের হাদিসের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন,
এমনকি কোরআনের কোথাও উল্লেখ নেই,যে বিচার দিবসে মহান আল্লাহ প্রশ্ন করবেন, হে মানুষ তোমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বুখারী ও তার সহচরদের নিয়ম অনুযায়ী কেন করনি, মহান আল্লাহ এও বলেন নাই যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে তারাই সফলকাম, যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে তারাই জান্নাতি, যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে তারাই মুত্তাকী ,তারাই মুসলিম, তারাই মুমিন, তাহলে প্রচলিত নিয়মে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে কেন এত বাড়াবাড়ি? কেন এত মারামারি?