প্রতিটি মানুষ-ই বিশ্বাস করে, তার নিজের বিশ্বাস-ই একমাত্র সত্য।
নিজ সত্যের দাবীর খেসারত দিতে গিয়ে খুন হয় বা খুন করতেও দ্বিধাহীন থাকে।
কিন্তু যে সত্যের বিশ্বাসের জন্য আমরা এমন জীবন বাজি রাখছি, সেই সত্যে বিশ্বাস কতটা সত্য, তা-কি আমরা কখনো পরখ করে দেখি?
সামান্য স্বর্ণকারও পরখ না করে স্বর্ণের দেয় না স্বীকৃতি।
আজ মানুষের বিশ্বাসের ভিত এমন অবস্থানে যে,
মসজিদগুলো এখন মোল্লাতন্ত্রের মোকাম বা বাণিজ্য-বিতানে পরিণত হয়েছে। “মসজিদে তাকওয়ার” পরিবর্তে সেগুলো “মসজিদে দেরার”-এ রূপান্তরিত হয়েছে।
সেখানে সালাতের নামে যা কিছুর মঞ্চায়ন হয়, তার সিংহভাগই মহান ও মহাপরাক্রশালী স্রষ্টার সাথে মস্করা আর তামাশার নামান্তর। সালাতের ওয়াক্ত, রাকাত, তরিকা – এসবই বহু পরের আলাপ। কুরআন বর্জনের কারণে আমাদের মধ্যে ঈমানই প্রবেশ করেনি (وَلَمَّا يَدْخُلِ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِكُمْ), শুধু মুখে উচ্চারণ করেছি মাত্র।
সংকট সেখানেই সীমাবদ্ধ নয় – যারা আমজনতাকে দীন-ধর্ম শেখায় তাদের অধিকাংশই দীন-কারবারী মুনাফিক আর সেই কপট-কর্মে তারা সিদ্ধহস্ত (مَرَدُوا عَلَى النِّفَاقِ)।
সর্বোপরি, কুরআন বহির্ভূত ভয়ানক ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণা, অপ-বিশ্বাসের কারণে আমাদের সকল আমল বরবাদ হয়ে যায়, যার কোন খবরই আমাদের নেই।
অতএব আমরা যদি স্রষ্টা-বিশ্বাসে সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হই, তবে কুরআনের শিক্ষা অর্জনের অতি মৌলিক কাজে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে – এখনই এবং আমৃত্যু। ইনশাআল্লাহ, সালাতের প্রকৃত স্বরূপ, ব্যাপ্তি ও গাম্ভীর্য তখন আমরা উপলব্ধি করব।
——-