মসজিদ সংক্রান্ত বিষয়ঃ
মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর স্বরেনে স্থানঃ
তার চাইতে আর অধিক যালেম কে, যে আল্লাহর মাসজিদসমূহে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে বাধা প্রদান করে এবং তা ধ্বংস করতে চেষ্টা করে? (২ঃ১১৪)
মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না (৭২ঃ১৮)
মসজিদে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয় (২২ঃ৪০)
সেসব ঘরে যাকে সমুন্নত করতে এবং যেখানে আল্লাহর নাম যিক্র করতে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করে- (২৪ঃ৩৬)
অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে তা বেশী হকদার যে, তুমি সেখানে (সালাতের জন্য) দাঁড়াবে। (৯ঃ১০৮)
প্রতিবার মসজিদে যেতে তোমরা উওম বেশ-ভূষা গ্রহণ কর (৭ঃ৩১)
ভালো কাজের নিদর্শন হিসেবে মসজিদ নির্মাণঃ
‘আমরা অবশ্যই তাদের উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করব’ (১৮ঃ২১)
মসজিদে ইহতেকাফ অবস্থায় যা করা নিষেধঃ
তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না (২ঃ১৮৭)
মুনাফিকদের মসজিদ বানানোর উদ্দেশ্যঃ
যারা মসজিদ বানিয়েছে ক্ষতিসাধন, কুফরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতঃপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছে তার ঘাঁটি হিসেবে। (৯ঃ১০৭)
আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা দমন না করতেন, তবে খৃস্টান সন্ন্যাসীদের আশ্রম, গির্জা, ইয়াহূদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ বিধস্ত হয়ে যেত (২২ঃ৪০)
♦️মাসজিদুল আকসা সংক্রান্ত বিষয়ঃ
(ইহুদীরা) মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন ঢুকে পড়েছিল প্রথমবার এবং যাতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় যা ওদের কর্তৃত্বে ছিল (১৭ঃ৭)
পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি (১৭ঃ১)
♦️মাসজিদুল হারাম/ক্বাবা সংক্রান্ত বিষয়ঃ
আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’ (২ঃ১২৫/ ২২ঃ২৫-২৬)
আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন। তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুন্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে (৪৮ঃ২৭)
মাসজিদুল হারাম বা কাবা ঘরের অভিভাবক কারা?
উওরঃ মসজিদুল হারামে যেতে বাধা প্রদান করে তারা এর অভিভাবকও নয়। তার অভিভাবক তো শুধু মুত্তাকীগণ (৮ঃ৩৪)
মুশরিকদের অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (৯ঃ১৭-১৮)
হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় মুশরিকরা নাপাক, সুতরাং তারা যেন মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয় (৯ঃ২৮)
মাসজিদুল হারামে (প্রবেশে) বাধা দেয়া বা পাপকাজ করতে চায় এবং তার অধিবাসীদেরকে তা থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর নিকট অধিক বড় পাপ (২ঃ২১৭, ৫ঃ২, ২২ঃ২৫, ৪৮ঃ২৫)
মাসজিদুল হারামের নিকট তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো না (২ঃ১৯১)
(২ঃ১৯৬) এই হল পূর্ণ দশ (কাফফারাকৃত সিয়াম)। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়।
সুতরাং মাসজিদুল হারাম বা ক্বাবা হচ্ছে সূরা ফিল এ উল্লেখিত ঘর কে বুঝায়।
তুমি কি দেখনি তোমার রব (ক্বাবা ঘর ধ্বংসের জন্য আগত) হাতীওয়ালাদের সাথে কী করেছিলেন? (১০৫ঃ১)
অতএব তারা (কুরাইশরা) যেন এ গৃহের রবের ‘ইবাদাত করে (১০৬ঃ৩)