- হযরত জাকারিয়া আঃ যখন তিনি কামরার ভেতরে সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে, যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সতকর্মশীল নবী হবেন।
- ৩ সুরা আল-ইমরান আয়াত ৩৯
হযরত মুসা আঃ
আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং সালাত কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর। ১০ সুরা ইউনুস আয়াত ৮৭
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। ২০ সুরা তাহা আয়াত ১৪
হযরত শোয়ায়েব আঃ
তারা বলল-হে শোয়ায়েব (আঃ) আপনার সালাত কি আপনাকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত? অথবা আমাদের ধন-সম্পদে ইচ্ছামত যা কিছু করে থাকি, তা ছেড়ে দেব? আপনি তো একজন খাস মহত ব্যক্তি ও সতপথের পথিক। ১১ সুরা হুদ আয়াত ৮৭
হযরত ইব্রাহীম আঃ
হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা সালাত কায়েম রাখে। অতঃপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদেরকে ফলাদি দ্বারা রুযী দান করুন, সম্ভবতঃ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে । ১৪ সুরা ইব্রাহিম আয়াত ৩৭
হযরত ঈসা আঃ
আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে। ১৯ সুরা মরিয়ম আয়াত ৩১
হযরত ঈসমাইল আঃ
তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে সালাত ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন। ১৯ সুরা মরিয়ম আয়াত ৫৫
হযরত ইসহাক আঃ এবং হযরত ইয়াকুব আঃ
আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম। তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন। আমি তাঁদের প্রতি ওহী নাযিল করলাম সতকর্ম করার, সালাত কায়েম করার এবং যাকাত দান করার। তাঁরা আমার এবাদতে ব্যাপৃত ছিল। ২১ সুরা আম্বিয়া আয়াত ৭৩
হযরত লোকমান আঃ
হে বতস, সালাত কায়েম কর, সতকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। ৩১ সুরা লোকমান আয়াত ১৭
রসুল মুহাম্মদ (শেষ নবীজী):
তুমি (মুহাম্মদ) যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে এবং তাদের নিয়ে সালাত আদায় করবে তখন (মুসলিমদের) একদল তোমার সাথে দাড়ায় আর তারা যেন সশস্ত্র থাকে, এরপর সেজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, অপর দল যারা সালাতে শরিক হয়নি তারা তোমার (নবীজীর) সাথে শরিক হয় এবং তারা যেন সতর্ক, সশস্ত্র থাকে।
(২ সুরা বাকারা আয়াত ১০২) (উক্ত আয়াত অনুযায়ী সিজদা সম্পূর্ণ হলেই সালাত শেষ হয়ে যায় ‘‘ধৈর্য ধরো ফলাফল পাওয়া যাবে” ইনশাআল্লাহ, সময়ের ব্যাপার মাত্র সত্যের বিজয় হবেই হবে)