ইবরাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাঃ কোন মাসে সিয়াম সাধনা করতেন?
কুরআনে বর্ণনা করে, ‘এখন আমি তোমার প্রতি ওহী করলাম, ‘তুমি একনিষ্ঠ ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর … (১৬:১২৩)।
তাহলে ইবরাহীম আঃ এর রমযান মাস পেলেই আমার জন্য যথেষ্ট।
এবার কুরআনে দেখুন, ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন নূহকে, আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং মতভেদ করো না ……. (৪২:১৩)।
‘তোমাদের এই যে উম্মত (জাতি) এ তো একই উম্মত (জাতি) এবং আমিই তোমাদের রব; অতএব আমাকে ভয় কর (২৩:৫২)।
নুহু আঃ এর কথা বাদই দিলাম।
ইবরাহীম আঃ এর অনেক পরে মূসা আঃ, এবং মূসা আঃ এর অনেক অনেক পরে ঈসা আঃ।
ঈসায়ী সাল গণনা অনুসারে মুহাম্মাদ সাঃ এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে।
রাসূল মুহাম্মাদ হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে।
রাসূল মুহাম্মাদ ইনতেকাল করেন ৬৩২ খৃঃ।
মুহাম্মাদ সাঃ এর মৃত্যুর ৭ বছর পর খলিফা ওমর মুহাম্মাদ সাঃ এর হিজরতকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য হিজরি সন চালু করেন। হঠাৎ সৌর মাসটা চন্দ্র মাস হলো কিভাবে?
কুরআনে বলে, — ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় মাস বারটি, (৯:৩৬)
উপরোক্ত আয়াত অনুসারে নূহু আঃ এর সময়ের রমযান মাস কোনটি? ইবরাহীম আঃ এর সময়ের রমযান মাস কোনটি? মূসা আঃ এর সময়ের রমযান মাস কোনটি? ঈসা আঃ সময়ের রমযান মাস কোনটি? মুহাম্মাদ সাঃ সময়ের রমযান মাস কোনটি?
কুরআন বলছে, “হে মু‘মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে দেওয়া হয়ে ছিল … … … … … … … রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসের সাক্ষ্য দিবে তারা যেন এতে সিয়াম সাধনা করে … … (২:১৮৩, ১৮৫)।
কোরআন অন্যত্র বলে — ‘এই যে মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কেবল কুফরি বৃদ্ধি করা—– (৯:৩৭)।
প্রতি বছর হিজরীতে ১১ দিন পিছানো হয় কেন?
মুহাম্মাদ সাঃ এর সময় ও তাঁর মৃত্যুর পরে (৬:২২ খ্রি:-৬৩৯খ্রি:) মুসলিমরা কোন মাসকে রমযান মাস ধরে সিয়াম সাধনা করত?