শ্যামপুর মিয়াবাড়ীর জমিদার হামিদুর রহমান মিয়ার নাতনী জেবুননেসা জোসনা। তারই বড় মেয়ে আফরোজা সুলতানা রত্না কি ভাবে চিত্র জগতে এসে হয়ে গেলেন শাবানা ?
( প্রতিবেদন সহায়ক ইভা আক্তার।)
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপটে অভিনেত্রী ছিলেন শাবানা। তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় সাড়ে তিনশ’র মতো সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।
কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করে হঠাৎ করেই তিনি অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ান। অভিনয় ছেড়ে শাবানা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবসর জীবন’ কাটাচ্ছেন।
তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক। বলেন, শৈশব থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাবানা। নিজেকে দেয়ার মতো সময় পাননি। তাই নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য অভিনয় ছেড়ে দেয়।
শাবানা স্বামী-সন্তান-সংসার নিয়ে মার্কিন মুলুকের নিউ জার্সি শহরে স্থায়ী হয়ে বসবাস করছেন। পারিবারিক কিছু কাজে শাবানা এবার দেশে এসেছেন। তিন সপ্তাহ থেকে আবার ফিরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিলেন শাবানা।
শাবানার বড় মেয়ে ফারহানা সাদিক সুমি এমবিএ, সিপিএ পাস করে কিছুদিন চাকরি করতেন। পরে তার দুই বাচ্চাকে দেখাশোনার জন্য তিনি চাকরি ছাড়েন।
ছোট মেয়ে সাবরিনা সাদিক বিশ্বখ্যাত ইয়েল ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে শিকাগোর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন। একমাত্র ছেলে নাঈম সাদিক নিউজার্সির রাদগার্স ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে এখন সেখানকার স্বনামধন্য ব্লুমবার্ড কোম্পানিতে কর্মরত।
ঢাকাই সিনেমার সোনালি ইতিহাসের সাক্ষী চিত্রনায়িকা শাবানা। তিন দশকেরর ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই ১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের সমাপ্তি জানান। এরপর তাকে আর কোনও চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যৎ ও উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে ওই বছরই স্বামী চিত্রপ্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি।
উল্লেখ্য, ষাটের দশকের শুরুতে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি আফরোজা সুলতানা রত্নার; ১৯৬৭ সালে নাদিমের বিপরীতে ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় চিত্রপরিচালক এহতেশাম তার নাম দেন ‘শাবানা’। এরপর ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘মাটির ঘরসহ অসংখ্য দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দেন বাংলা চলচিত্রে।
গীতিময় সেই দিন চিরদিন রবে না —–