Categories
My text

শব্দ বিশ্লেষন

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَاْكُلُوْنَ اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ‌ؕ وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِىْ سَبِيْلِ اللّٰهِۙ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍۙ
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ৩৪

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ( ইয়া আয়ূহাল্লাযিনা) — ওহে মুমিনগণ

كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ
( কাছিরাম মানাল আহাবারী ওয়ার রুহবানী)
-পন্ডিত ও সন্যাসীর মধ্যে অনেকেই
لَيَاْكُلُوْنَ ( লা ইয়া কুলুনা) – ভক্ষণ করিয়া থাকে

اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ ( আমওয়া লান নাস বিল বাতিলা)
মানুষের ধন সম্পদ অবৈধ ভাবে।

وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ‌ؕ ( ওয়া ইয়াসুদ্দূনা আন সাবিলিল্লাহ)
এবং আল্লাহর পথ হতে বাধা প্রদান করে
وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ ( ওয়াল্লাযিনা ইয়াকনিঝুনা)
এবং যারা মজুদ করে রাখে
الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ( ওয়াজ্জাহাবা ওয়াল ফিদ্দাতা)
স্বর্ণ ও রৌপ্য
وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا ( ওয়া লা ইয়ানফিকুনাহুম) এবং ব্যায় করে না।
فِىْ سَبِيْلِ اللّٰهِۙ ( ফী সাবিলিল্লাহে) আল্লাহর পথে
فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍۙ (ফাবাস্সারহুম বি আজাবিন আলীম)
তাদেরকে কঠিন শাস্তির সুসংবাদ দাও।

اِشْتَرَوْا بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ( ইয়াশতারাও বি আয়াতাল্লাহি)

হে মু’মিনগণ! পণ্ডিত এবং সংসার বিরাগীদের মধ্যে অনেকেই লোকের ধন-সম্পদ অন্যায় ভাবে ভোগ করিয়া থাকে এবং লোককে আল্লাহ্‌র পথ হইতে নিবৃত্ত করে। আর যাহারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে না উহাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও।
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ৩৪

اِشْتَرَوْا بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ثَمَنًا قَلِيْلًا فَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِهٖ‌ ؕ اِنَّهُمْ سَآءَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

اِشْتَرَوْا (ইশতারাও) যা তারা বিক্রয় করে
بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ( বি আয়য়াতুল্লাহি) আল্লাহর আয়াতের বিনিময়ে
ثَمَنًا قَلِيْلًا ( ছামানান কালিলান) সামান্য মূল্যে
فَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِهٖ‌ ( ফাসাদ্দু আন ছাবীলিহি)
এছাড়া তারা বাধা দেয় তাঁর পথে
ؕ اِنَّهُمْ سَآءَ (ইন্নাহু সাআ) নিশ্চয় তারা অতি নিকৃষ্ট
مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ( মা কানু ইয়ামালুনা)
যা তারা করে আসছিল

তাহারা আল্লাহ্‌র আয়াত সমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে এবং তাহারা লোকদেরকে তাঁহার পথ হইতে নিবৃত্ত করে; নিশ্চয়ই তাহারা যাহা করিয়া থাকে তাহা অতি নিকৃষ্ট!
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ৯

সুতরাং উহাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাকে যেন বিমুগ্ধ না করে ; আল্লাহ্ তো উহার দ্বারাই উহাদেরকে পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান ; উহারা কাফির থাকা অবস্থায় উহাদের আত্মা দেহত্যাগ করিবে।
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ৮৫

হে মু’মিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভ্রাতা যদি ঈমানের মুকাবিলায় কুফরীকে শ্রেয় জ্ঞান করে, তবে উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করিও না। তোমাদের মধ্যে যাহারা উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তাহারাই জালিম।
সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ২৩

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্যান্য অভিভাবকের অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।
সূরা নম্বরঃ ৭, আয়াত নম্বরঃ ৩

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার হাদীস ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
সূরা নম্বরঃ ৩১, আয়াত নম্বরঃ ৬

সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’ সূরা নম্বরঃ ৩৫, আয়াত নম্বরঃ ৩৭

হায়, তুমি যদি দেখিতে ! যখন অপরাধীরা তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে অধোবদন হইয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা প্রত্যক্ষ করিলাম ও শ্রবণ করিলাম, এখন তুমি আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ কর, আমরা সৎকর্ম করিব, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী।’
সূরা নম্বরঃ ৩২, আয়াত নম্বরঃ ১২

সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’ সূরা নম্বরঃ ৩৫, আয়াত নম্বরঃ ৩৭

আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তোমরা তাহা হইতে ব্যয় করিবে তোমাদের কাহারও মৃত্যু আসিবার পূর্বে। অন্যথায় মৃত্যু আসিলে সে বলিবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরও কিছুকালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকা দিতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম!’
সূরা নম্বরঃ ৬৩, আয়াত নম্বরঃ ১০

অথবা শাস্তি প্রত্যক্ষ করিলে যেন কাহাকেও বলিতে না হয়, ‘আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হইতাম!’
সূরা নম্বরঃ ৩৯, আয়াত নম্বরঃ ৫৮

যখন উহাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, ‘হায়’যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা আমি পূর্বে করি নাই।’ না, ইহা হইবার নয়। ইহা তো উহার একটি উক্তি মাত্র। উহাদের সম্মুখে বারযাখ থাকিবে উত্থান দিবস পর্যন্ত। সূরা নম্বরঃ ২৩, আয়াত নম্বরঃ ৯৯- ১০০

হায়, তুমি যদি দেখিতে ! যখন অপরাধীরা তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে অধোবদন হইয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা প্রত্যক্ষ করিলাম ও শ্রবণ করিলাম, এখন তুমি আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ কর, আমরা সৎকর্ম করিব, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী।’
সূরা নম্বরঃ ৩২, আয়াত নম্বরঃ ১২

সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’ সূরা নম্বরঃ ৩৫, আয়াত নম্বরঃ ৩৭

 

এইগুলি আল্লাহ্‌র আয়াত, যাহা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করিতেছি যথাযথ ভাবে। সুতরাং আল্লাহ্‌র এবং তাহাঁর আয়তের পরিবর্তে উহারা আর কোন বাণীতে বিশ্বাস করিবে? সূরা নম্বরঃ ৪৫, আয়াত নম্বরঃ ৬

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
সূরা নম্বরঃ ৩১, আয়াত নম্বরঃ ৬

যখন উহার নিকট আমার আয়াত অবৃত্তি করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরাইয়া নেয় যেন সে ইহা শুনিতে পায় নাই, যেন উহার কর্ণ দুইটি বধির ; অতএব উহাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। সূরা নম্বরঃ ৩১, আয়াতঃ ৭

ফিরিশতারা যখন উহাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিতে করিতে প্রাণ হরণ করিবে, তখন উহাদের দশা কেমন হইবে। সূরা নম্বরঃ ৪৭, আয়াত নম্বরঃ ২৭

তুমি যদি দেখিতে পাইতে ফিরিশ্তাগণ কাফিরদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিয়া তাহাদের প্রাণ হরণ করিতেছে এবং বলিতেছে, ‘তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কর।’
সূরা নম্বরঃ ৮, আয়াত নম্বরঃ ৫০

যাহারা নিজেদের উপর জুলুম করে তাহাদের প্রাণ গ্রহণের সময় ফিরিশ্তাগণ বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে ?’ তাহারা বলে, ‘দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম।’ তাহারা বলে, ‘আল্লাহ্‌র যমীন কি এমন প্রশস্ত ছিল না যেখানে তোমরা হিজরত করিতে ?’ ইহাদেরই আবাসস্থল জাহান্নাম, আর উহা কত মন্দ আবাস! সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াতঃ ৯৭

যে ব্যক্তি তাহার গৃহের ভিত্তি আল্লাহ্ভীতি ও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির উপর স্থাপন করে সে উত্তম, না ঐ ব্যক্তি উত্তম যে তাহার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে এক খাদের ধসোন্মুখ কিনারায়, ফলে যাহা উহাকেসহ জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হয়? আল্লাহ্ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ১০৯।

উহাদের গৃহ যাহা উহারা নির্মাণ করিয়াছে তাহা উহাদের অন্তরে সন্দেহের কারণ হইয়া থাকিবে যে পর্যন্ত না উহাদের অন্তর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা নম্বরঃ ৯, আয়াত নম্বরঃ ১১০।

১) সেদিন নামাজের জন্য ২৩ঃ৯৯-১০০ মুমিনুন
২) পূর্ব পশ্চিমে ২ঃ১৭৭ বাকারা
৩) দুনিয়ায় অন্ধ ১৭ঃ৭২ বনী ইসরাইল
৪) বিনিময় চায় না ৩৬ঃ২১ ইয়াসিন
৫) কষ্ট করতে হবে ৮৪ঃ৬ ( ইনশিকাক) আত্মীয় দেখা হবে

****** ঈমান ও সৎকর্ম
১) ২ঃ (২৫,৬২ [ ৮২]৷৷ ৷৷৷৷৷ [২৭৭]
২) ৩ঃ[৫৭]
৩) ৪ঃ[৫৭] [১২২] [,১২৪] [,১৭৩]
৪) ৫ঃ[৯] ,[৬৯]
৫) ৭ঃ[৪২] , ১৩ঃ[২৯] ১৪ঃ[২৩] , ১৮ঃ[৩০,৮৮,১০৭]
৬) ১৯ঃ[৯৬] ২২ঃ[১৪,২৩,৫০,৫৬] ২৪ঃ৫৫
৭) ২৫ঃ[৭০] ২৮ঃ[৬৭] ২৯ঃ[ ৯,৫৮ ] ৩০ঃ[১৫,৪৫]
৮) ৩১ঃ[৮] ৩৪ঃ[৩৭] ,৩৫ঃ[৭] ৩৮ঃ[২৮] ৪১ঃ[৮]
৯) ৪২ঃ[২২,২৩] ৪৫ঃ[৩০] ৬৪ঃ[৯] ৬৫ঃ[১১] ৮৪ঃ[২৫ ]
১০) ৮৫ঃ[১১] ১০৩ঃ[৩]

উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্‌র’। বল, ‘তবুও কি তোমরা কেমন করিয়া মোহগ্রস্ত হইতেছ? সূরা ২৩ঃ ৮৯
********
আনুষ্ঠানিক সালাত বা প্রার্থনা হচ্ছে প্রাকটিক্যাল আর অন্যান্য নবীগন ও সালাত আদায় করতেন তারা কি মানব রচিত কিতাব দেখে সালাত পড়তেন ? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্য কিছু পড়লে হয় নামাজ আর শুধু কোরআন পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াই আসল ২ সুরা বাকারা আয়াত ৪৫।

হযরত জাকারিয়া আঃ
যখন তিনি কামরার ভেতরে সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে, যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সতকর্মশীল নবী হবেন।
৩ সুরা আল-ইমরান আয়াত ৩৯

হযরত মুসা আঃ
আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং সালাত কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর। ১০ সুরা ইউনুস আয়াত ৮৭
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। ২০ সুরা তাহা আয়াত ১৪

হযরত শোয়ায়েব আঃ
তারা বলল-হে শোয়ায়েব (আঃ) আপনার সালাত কি আপনাকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত? অথবা আমাদের ধন-সম্পদে ইচ্ছামত যা কিছু করে থাকি, তা ছেড়ে দেব? আপনি তো একজন খাস মহত ব্যক্তি ও সতপথের পথিক। ১১ সুরা হুদ আয়াত ৮৭

হযরত ইব্রাহীম আঃ
হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা সালাত কায়েম রাখে। অতঃপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদেরকে ফলাদি দ্বারা রুযী দান করুন, সম্ভবতঃ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে । ১৪ সুরা ইব্রাহিম আয়াত ৩৭

হযরত ঈসা আঃ
আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে। ১৯ সুরা মরিয়ম আয়াত ৩১

হযরত ঈসমাইল আঃ
তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে সালাত ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন। ১৯ সুরা মরিয়ম আয়াত ৫৫

হযরত ইসহাক আঃ এবং হযরত ইয়াকুব আঃ
আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম। তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন। আমি তাঁদের প্রতি ওহী নাযিল করলাম সতকর্ম করার, সালাত কায়েম করার এবং যাকাত দান করার। তাঁরা আমার এবাদতে ব্যাপৃত ছিল। ২১ সুরা আম্বিয়া আয়াত ৭৩

হযরত লোকমান আঃ
হে বতস, সালাত কায়েম কর, সতকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। ৩১ সুরা লোকমান আয়াত ১৭

রসুল মুহাম্মদ (শেষ নবীজী):
তুমি (মুহাম্মদ) যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে এবং তাদের নিয়ে সালাত আদায় করবে তখন (মুসলিমদের) একদল তোমার সাথে দাড়ায় আর তারা যেন সশস্ত্র থাকে, এরপর সেজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, অপর দল যারা সালাতে শরিক হয়নি তারা তোমার (নবীজীর) সাথে শরিক হয় এবং তারা যেন সতর্ক, সশস্ত্র থাকে।
(২ সুরা বাকারা আয়াত ১০২) (উক্ত আয়াত অনুযায়ী সিজদা সম্পূর্ণ হলেই সালাত শেষ হয়ে যায় ‘‘
ধৈর্য ধরো ফলাফল পাওয়া যাবে” ইনশাআল্লাহ, সময়ের ব্যাপার মাত্র সত্যের বিজয় হবেই হবে আবার শেষ স্থরে সম্পূর্ণ কোরআনটাই সালাত আর অন্য কিছু পড়লে হবে নামাজ

*********
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا – হে বিশ্বাসী গন

لَا تَقْرَبُوا الصَّلٰوةَ ( লা তাকরাবু সালাতা)
তোমরা সালাতের কাছেও যেওনা
وَاَنْـتُمْ سُكَارٰى ( ওয়া আনতুম সুকারা)
যখন তোমরা মোহগ্রস্থ থাক।

حَتّٰى (হাত্তা) যতক্ষন পর্যন্ত না
تَعْلَمُوْا (তা’আলামু) তোমরা বুঝতে পার
مَا تَقُوْلُوْنَ ( ‘মা তাকূলুন) তোমরা যা বলছো
وَلَا جُنُبًا ( ওয়া লা জুনুবান) এবং না অপবিত্র অবস্থায়
اِلَّا عَابِرِىْ سَبِيْلٍ حَتّٰى تَغْتَسِلُوْا‌ ؕ وَاِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآٮِٕطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَاَيْدِيْكُمْ‌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُوْرًا

হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হইও না, যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার, এবং যদি তোমরা মুসাফির না হও তবে অপবিত্র অবস্থাতেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা গোসল কর। আর যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আসে অথবা তোমরা নারী-সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং মাসেহ্ করিবে মুখমণ্ডল ও হাত, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল। সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ৪৩

আমি উহাদেরকে বলিব, হে জিন ও মানব সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্য হইতে কি রাসূলগণ তোমাদের নিকট আসে নাই-যাহারা আমার নিদর্শন তোমাদের নিকট বিবৃত করিত এবং তোমাদেরকে এই দিনের সম্মুখীন হওয়া সম্বন্ধে সতর্ক করিত ?’ উহারা বলিবে, আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম।’ বস্তুত পার্থিব জীবন উহাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল, আর উহারা নিজেদের বিরুদ্ধে এ সাক্ষ্যও দিবে যে, তাহারা কাফির ছিল। (৬ঃ১৩০)

يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اَلَمْ يَاْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ يَقُصُّوْنَ عَلَيْكُمْ اٰيٰتِىْ وَيُنْذِرُوْنَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا‌ ؕ قَالُوْا شَهِدْنَا عَلٰٓى اَنْفُسِنَا‌ وَغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا وَشَهِدُوْا عَلٰٓى اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوْا كٰفِرِيْنَ

সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত নম্বরঃ ১৩০

হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাহাদের, যাহারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিলে উহা উপস্থাপন কর আল্লাহ্ ও রাসূলের নিকট। ইহাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। (৪ঃ৫৯)
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا ওহে যারা ঈমান এনেছ

أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُوا الرَّسولَ
তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসুলের
وَأُولِى الأَمرِ (ওয়া উলিল আমরে)
এবং আদেশ প্রদান করার মত অভিভাবকের
مِنكُم ۖ ( মিনকুম) তোমাদের মধ্য হতে
সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ৫৯

 

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Powered by TranslatePress
Verified by MonsterInsights