সুরা ইমরান (99-110)
قُلْ يٰۤـاَهْلَ الْكِتٰبِ لِمَ تَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ تَبْغُوْنَهَا عِوَجًا وَّاَنْتُمْ شُهَدَآءُ ؕ وَمَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تُطِيْعُوْا فَرِيْقًا مِّنَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ يَرُدُّوْكُمْ بَعْدَ اِيْمَانِكُمْ كٰفِرِيْنَ
وَكَيْفَ تَكْفُرُوْنَ وَاَنْـتُمْ تُتْلٰى عَلَيْكُمْ اٰيٰتُ اللّٰهِ وَفِيْكُمْ رَسُوْلُهٗ ؕ وَمَنْ يَّعْتَصِمْ بِاللّٰهِ فَقَدْ هُدِىَ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَاَنْـتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
وَلْتَكُنْ مِّنْكُمْ اُمَّةٌ يَّدْعُوْنَ اِلَى الْخَيْرِ وَيَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِؕ وَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ
وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ تَفَرَّقُوْا وَاخْتَلَفُوْا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْبَيِّنٰتُؕ وَاُولٰٓٮِٕكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌۙ
يَّوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَّتَسْوَدُّ وُجُوْهٌ ؕ فَاَمَّا الَّذِيْنَ اسْوَدَّتْ وُجُوْهُهُمْ اَكَفَرْتُمْ بَعْدَ اِيْمَانِكُمْ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ
وَاَمَّا الَّذِيْنَ ابْيَـضَّتْ وُجُوْهُهُمْ فَفِىْ رَحْمَةِ اللّٰهِ ؕ هُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ
تِلْكَ اٰيٰتُ اللّٰهِ نَـتْلُوْهَا عَلَيْكَ بِالْحَـقِّؕ وَمَا اللّٰهُ يُرِيْدُ ظُلْمًا لِّلْعٰلَمِيْنَ
وَلِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِؕ وَاِلَى اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ
كُنْتُمْ خَيْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِؕ وَلَوْ اٰمَنَ اَهْلُ الْكِتٰبِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْؕ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ وَاَكْثَرُهُمُ الْفٰسِقُوْنَ
বল, হে কিতাবীগণ! যে ব্যক্তি ঈমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহ্র পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষণ করিয়া ? অথচ তোমরা সাক্ষী। তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন।’ 99
হে মু’মিনগণ ! যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে, তোমরা যদি তাহাদের দল বিশেষের আনুগত্য কর, তবে তাহারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার কাফির বানাইয়া ছাড়িবে। 100
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।( ৩৬ঃ২১)
اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا يَسْـــَٔلُكُمْ اَجْرًا وَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ
ইত্তাবিউ মান– অনুসরন কর তাদের
লা ইয়াছ আলুকুম আজরাও — যারা তোমাদের নিকট প্রতিদান চায় না
ওয়া হুম মুহতাদুন — এবং তাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।
কিরূপে তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যান করিবে যখন আল্লাহ্র আয়াত সমূহ তোমাদের নিকট পঠিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে তাঁহার রাসূল রহিয়াছে ? কেহ আল্লাহ্কে দৃঢ় ভাবে অবলম্বন করিলে সে অবশ্যই সরল পথে পরিচালিত হইবে।101
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে যথার্থ ভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী না হইয়া কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিও না। 102
তোমাদের মধ্যে এমন একদল হউক যাহারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করিবে এবং সৎকর্মের নির্দেশ দিবে ও অসৎকর্মে নিষেধ করিবে; ইহারাই সফলকাম।104
তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।105
সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হইবে এবং কতক মুখ কাল হইবে; যাহাদের মুখ কাল হইবে তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা কুফরী করিয়াছিলে ? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর, যেহেতু তোমরা কুফরী করিতে।’106
এই একই কথা ৮০ঃ৩৮ এও বলেছেন।
আর যাহাদের মুখ উজ্জল হইবে তাহারা আল্লাহ্র অনুগ্রহে থাকিবে, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। 107
এইগুলি আল্লাহ্র আয়াত, তোমার নিকট যথাযথ ভাবে তিলাওয়াত করিতেছি। আল্লাহ্ বিশ্বজগতের প্রতি জুলুম করিতে চান না।108
আসমানে যাহা কিছু আছে ও যমীনে যাহা কিছু আছে সব আল্লাহ্রই; আল্লাহ্র নিকটই সব কিছু প্রত্যানীত হইবে।109
তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগণ যদি ঈমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। তাহাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মু’মিন আছে; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ সত্য ত্যাগী।110
অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।( ৩৬ঃ২১)