সিয়াম – সাহেরী – ইফতার
আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা হইতে ঊষার শুভ্র রেখা স্পষ্ট রূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর সিয়াম পূর্ণ কর রাত্রী পর্যন্ত । (২:১৮৭ এ)
উক্ত আয়াতে রোজা, সাহেরী ও ইফতারের বর্ণনা করা হয়েছে। সিয়াম পুর্ণ করতে বলেছেন রাত্রি পর্যন্ত। অর্থাৎ রোজা ভঙ্গ বা ইফতার করতে হবে মাগরিবের নামাজের পর রাত্রি হলে।
প্রচলিত প্রথার সাথে মিল না থাকায় অনেকে বলেন কোরআনকে বুঝতে হলে ব্যাখ্যা স্বরুপ হাদীসকে অনুসরন করতে হবে। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদীস কি বলেঃ ~
হাদীস নং ৬২৪ মুয়াত্তা ইবনে মালিক হতে —-
হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনে খাত্তাব (রা) এবং উসমান ইবনে আফফান (রা) দু’জনে মাগরিবের নামায আদায় করতেন, এমন সময় তখন তাঁরা রাত্রির অন্ধকার দেখতে পেতেন। আর এটা হত ইফতার করার পূর্বে। অতঃপর তাঁরা দু’জনে ইফতার করতেন। আর এটা হতো রমযান মাসে।
এই হাদীসের বর্ণনা যখন কোরানের সে আয়াতেরই সমর্থন করে এবং তখনঃ ~
“যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তাহারা বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যদিও তাহাদের পূর্ব পুরুষগণ কিছুই জানিত না এবং সৎপথ প্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি ? ” (৫ঃ১০৪)
তার মানে দীর্ঘ দিনের পালিত অভ্যাস, বাপ-দাদারা যে ভাবে এবাদত করতে দেখে আসতেছে, অধিকাংশ লোকে যে ভাবে ধর্ম কার্যাদি সম্পাদন করতে দেখে আসতেছে তা থেকে সড়ে এসে যত সত্য কথাই উপস্থাপন করা হোক না কেন, মানুষ তা গ্রহন করতে রাজি না, যদিও কোরান থেকে দৃষ্টান্ত দেয়া হয়।
আর এমন হবে তা আল্লাহ জানেন বলেই আল্লাহ বলেনঃ
“যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।” (৬ঃ১১৬)