আর প্রত্যেকের রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে চেহারা ফিরায়। সুতরাং তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ২:১৪৮
আল্লাহ বলেন-
১. ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারও মৃত্যূ আসার পূর্বে। অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে, ‘আমার রব! আমাকে আরও কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সদকা দিতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভূক্ত হতাম (৬৩:১০); সূরা-৬৩, মুনাফিকুন, আয়াত-১০।
২. শাস্তি প্রত্যক্ষ করলে যেন কাউকেও বলতে না হয়, ‘আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হতাম (৩৯:৫৮); সূরা-৩৯, যুমার, আয়াত-৫৮।
৩. ‘যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, ‘আমার রব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি যা আমি পূর্বে করি নি (২৩:৯৯-১০০); সূরা-২৩, মু‘মিনুন, আয়াতঃ ৯৯-১০০।
৪. হায়, তুমি যদি দেখতে! যখন অপরাধীরা তাদের রবের সম্মুখে অধোবদন হয়ে বলবে, ‘আমাদের রব! আমরা প্রত্যক্ষ করলাম ও শ্রবণ করলাম, এখন আপনি আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ করুন, আমরা সৎকর্ম করব, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী (৩২:১২); সূরা-৩২, সাজদা, আয়াত-১২।
৫. সেথায় তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘আমাদের রব! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দিন, আমরা সৎকর্ম করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না।’ আল্লাহ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নি যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর (৩৫:৩৭); সূরা-৩৫, ফাতির, আয়াত-৩৭।
Categories