ইসলামের মুল জীবন ব্যবস্থাকে কিছু আনুষ্ঠানিক এবাদদ কাঠামোতে রুপ দিয়ে পারসিয়ানরা দ্বীন ব্যবস্থাকে গৃহবন্দী করে রেখেছে এবং মোল্লাতন্ত্রকে ইসলামের মডেল বানিয়ে রেখেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
আর তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য কোরান নিজ ভাষায় বুঝে সঠিক উপলব্ধির জন্য অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছেন একদল আল্লাহর মনোনীত বান্দা।
ঠিক এ সুযোগই কিছু নাস্তিক কোরানের আয়াত দিয়েই খুব সূক্ষ্ম ভাবে ঈমান হরন করে তাদের দল ভারী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা কোরানের আয়াতের উদ্বৃতি দিয়েই প্রথমে এমন একটি পরিমন্ডল গড়ে তুলে যেন তাকে উলিল আমর মনে করে মানুষ। তারপর তারা বিভিন্ন আয়াতের বিতর্কিত ব্যাখা দিয়ে মগজ ধুলাই করতে থাকে।
সঠিক কোরানের জ্ঞান, ইতিহাস, হাদীসের অভিজ্ঞতা না থাকা মানুষ গুলো এদের ফাঁদে সহজে পড়ে যায়। এরা নিজ ছবি ও ঠিকানা বিহীন আইডি থেকে এসব প্রচারনা করে প্রকৃত কোরান অনুসারীদের মাঝে ছদ্মবেশে ঢুকে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তার পরিমন্ডল বৃদ্ধি করে। এমন কি কোরান অনুসারীর কিছু সরল মানুষও এদের ফাঁদে ধরা পড়ে যায়।
এদের উদ্দেশেই আল্লাহ মুমিনদের সতর্ক করে বলেছেনঃ
হে মু’মিনগণ ! যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে, তোমরা যদি তাহাদের দল বিশেষের আনুগত্য কর, তবে তাহারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার কাফির বানাইয়া ছাড়িবে। সূরা নম্বরঃ ৩, আয়াত নম্বরঃ ১০০
#উক্ত আয়াতে আল্লাহ মানুষকে লক্ষ্য করে বলেন নাই। বরং যারা ঈমান এনেছে এবং তদনুযায়ী আমল করে মুমিন হয়েছে তাদেরকেই সতর্ক করে বলেছেন।
হেদায়েত প্রাপ্তীর পর, পুনরায় কাফির বানাবে সেই দলটি। এখানে শয়তানের কথাও বলেন নাই, একটি দলের কথা বলেছেন। এর পর এ দলটি কি করবে সে কথাও আল্লাহ বলেনঃ
তারপর তারা লোকেরা মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেবে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল। (২৩ঃ৫৩)
তখন মানুষ সত্যিকারেরর কোরানের প্রতি আহ্বান কারিকে চিনতে না পেরে এ পথ ভ্রষ্ট দলটির অনুসরন করে বসবে। তার কারন আল্লাহ জানিয়ে বলেনঃ
মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞানতা বশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের (২২ঃ৩)
ঐ পথ ভ্রষ্ট দলটি নিজেকে সঠিক দাবী করে, সে বিষয়েও আল্লাহ বলেনঃ
তাদের মধ্যে এমন আহম্মক লোক আছে যাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কেতাব সম্বন্ধে কোনোই জ্ঞান নেই, তারা শুধু অবাস্তব ধারণায় বিশ্বাসী। – [২: বাকারা-৭৮]
তাহাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যাহাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই, তাহারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে।(২ঃ৭৮)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮ঃ ১০৩-১০৪)
তারা মুমিনদের মধ্যে বিতর্ক করে, ফ্যাসাদ ও ফারাক তৈরী করে, বিভিন্ন দল উপদল সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাদের উদ্দ্যেশে বলেনঃ
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা
আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯ঃ৪৯)
আর এরাই মোল্লাতন্ত্রের আলেমদের মত বিচার দিবসে বলতে বাধ্য হবেঃ
আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত।’ (৩৭ঃ৩২)
এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের উপদেশ দিয়ে বলেনঃ ‘তুমি একনিষ্ঠ ভাবে দীনে প্রতিষ্ঠিত হও এবং কখনই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না, (১০ঃ১০৫)
এ ফ্যাসাদ সৃষ্টিকার দলটি কোরানের অনুসারীদের ছায়াতলে অবস্থান করেই তাদের কার্যক্রম মিশন পরিচালনা করে। তাদের কোরানের আয়াত উপস্থাপন করে ভুল শোধরীয়ে দিতে চাইলে পাল্টা আক্রমানাত্মক কথা বার্তা বলে এবং তাদের অনুরাগীদের লেলিয়ে দিয়ে ট্যাগ করে উদ্ভট বিতর্কে লিপ্ত হয়।
তারা নামাজ,রোযা,হজ্জ,যাকাত,কোরবানীকে ইসলামের আনুষ্ঠানিক এবাদত অস্বীকার করে।
প্রচলিত সালাত, কোরবানী,যাকাত কোরান মোতাবেক সঠিক ভাবে হচ্ছে না। এটা কোরান পড়ে অনস্বীকার্য বটে। তার মানে এই নয় সব উড়িয়ে দেয়ার মত। তারা আনুষ্ঠানিক সালাতকে পুর্ণ অস্বীকার করে।
যদি তাই হয় তবে এ আয়াতের ব্যাখ্যা কি —
হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথা মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষ ভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও
অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আসে, অথবা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা দ্বারা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না ; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করিতে চান ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চান; যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ৬
তোমরা যখন সালাতের জন্য আহ্বান কর তখন তাহারা উহাকে হাসি-তামাশা ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করে-ইহা এইহেতু যে, তাহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদের বোধ শক্তি নাই সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ৫৮
সেই বিতর্কিত ব্যক্তি ও তার অনুসারীরার উক্ত আয়াতের রেফারেন্সে যে সব উদ্ভট শয়তানের বানী পেশ করেছে যা শুনলে শয়তানও হাসবে।
পরিশেষে তাই বলবো যারা কোরান অনুযায়ী নিজেদের জীবন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে চান, তারা হেদায়েত প্রাপ্তীর পর যেন ঐ দলের অনুসারী হয়ে কাফের না হয়ে যান।
বরং আল্লাহর নিন্মোক্ত আয়াতের নীতি অনুসরন করে চললে দ্বীনের উপর সঠিক থাকার আশা করা যেতে পারে।
১) যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে।(১৭ঃ৩৬)
২) এক দলকে পথ প্রদর্শন করেছেন এবং একদলের জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়েৃ শয়তানদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে এবং ধারণাো করে যে, তারা হেদায়েতের উপর রয়েছে। -৭:৩০
৩) তুমি কি তাদের দিকে চেয়ে দেখো নি যারা নিজেদের প্রতি বিশুদ্ধতা আরোপ করে? না, আল্লাহ পবিত্র করেন যাদের তিনি পছন্দ করেন। বস্তুতঃ তাদের উপর সুতা পরিমাণ অন্যায়ও হবে না। -৪:৪৯
৪) উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে, (১৮ঃ১০৪)
৫) আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত ঈমান আনা কাহারও সাধ্য নয় এবং যাহারা অনুধাবন করে না আল্লাহ্ তাহাদেরকে কুলষ লিপ্ত করেন। সূরা নম্বরঃ ১০, আয়াত নম্বরঃ ১০০
৬) নিঃসন্দেহে তোমার প্রভু- তিনি ভালোই জানেন কে তাঁর পথ থেকে বিপথে যায়, আর তিনি ভালো জানেন যারা সুপথে চালিত তাদের। -৬:১১৭
৭) উহাদের পরে আসিল অপদার্থ পরবর্তীরা, তাহারা সালাত নষ্ট করিল ও লালসা-পরবশ হইল। সুতরাং উহারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, (১৯ঃ৫৯)
৮) এই পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা ইহারই অনুসরণ করিবে এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করিবে না, করিলে উহা তোমাদেরকে তাঁহার পথ হইতে বিচ্ছিন্ন করিবে। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা সাবধান হও।সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াতঃ ১৫৩
৯) তোমার প্রভুর রাস্তায় আহ্বান করো জ্ঞান ও সুষ্ঠু উপদেশের দ্বারা, আর তাদের সাথে পর্যালোচনা কর এমনভাবে যা শ্রেষ্ঠ। নিঃসন্দেহে তোমার প্রভু স্বয়ং ভাল জানেন তাকে যে তাঁর পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে, আর তিনি ভাল জানেন হেদায়েতপ্রাপ্তদের। -১৬:১২৫, ৬৮:৭
১০) বল, ‘আমার সালাত, আমার ‘ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই উদ্দেশ্য। সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত নম্বরঃ ১৬২
আর Abdur rob likhon আপনি যাকে উলিল আমর নির্বাচন করেছেন শেষ বিচারের দিন যেন এ কথা না বলেনঃ
আর তারা বলবে- হে আমাদের রব! আমাদের নেতা ও আমাদের উলিল আমর আমাদেরকে গুমরাহ করেছিল। আমাদের প্রভু! তুমি তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দাও, আর তাদের লা’নত করো গুরুতর লা’নত। {৩৩:৬৭, ৬৮}
জাহান্নামীরা বলিবে, ‘আমাদের কী হইল যে, আমরা যে সকল লোককে মন্দ বলিয়া গণ্য করিতাম তাহাদেরকে দেখিতে পাইতেছি না!
‘তবে কি আমরা উহাদেরকে অহেতুক ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র মনে করিতাম, না উহাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটিয়াছে ?’ (৩৮ঃ৬২-৬৩
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
সূরা নম্বরঃ ৩১, আয়াত নম্বরঃ ৬
যেদিন উহাদের মুখমণ্ডল অগ্নিতে উলটপালট করা হইবে সেদিন উহারা বলিবে, ‘হায়, আমরা যদি আল্লাহ্কে মানিতাম ও রাসূলকে মানিতাম!’৩৩:৬৬
তাহারা আরও বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা আমাদের নেতা ও উলিল আমরের আনুগত্য করিয়াছিলাম এবং উহারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করিয়াছিল ; সূরা নম্বরঃ ৩৩, আয়াত নম্বরঃ ৬৭
‘হে আমাদের প্রতিপালক! উহাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দাও এবং উহাদেরকে দাও মহাঅভিসম্পাত।’ সূরা নম্বরঃ ৩৩, আয়াত নম্বরঃ ৬৮
তুমি যখন দেখ, তাহারা আমার আয়াত সমূহ সম্বন্ধে উপহাস মূলক আলোচনায় মগ্ন হয় তখন তুমি তাহাদের হইতে সরিয়া পড়িবে, যে পর্যন্ত না তাহারা অন্য প্রসঙ্গে প্রবৃত্ত হয় এবং শয়তান যদি তোমাকে ভ্রমে ফেলে তবে স্মরণ হওয়ার পরে জালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসিবে না।
সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত নম্বরঃ ৬৮
যারা আল্লাহর প্রতি ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তুমি তাদের কাউকেও এমন পাবেনা, যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের বিরোধিতাকারীর সাথে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রাখে; বিরোধিতাকারীরা তাদের বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন হলেও। এদের অন্তরে আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেন ঈমান এবং তাদের সাহায্য করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রূহ (অহির জ্ঞান, কুর’আন) দিয়ে। তিনি তাদের দাখিল করবেন জান্নাতে, যার নিচে দিয়ে বহমান থাকবে নদ নদী নহর, চিরকাল থাকবে তারা সেখানে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি রাজি হয়েছে। এরাই আল্লাহর দল। আর জেনে রাখো, আল্লাহর দলই হবে সফল। {৫৮:২২}
এটি এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহ বিশদ বিবরণ সম্বলিত। এটি আরবি ভাষায় (অবতীর্ণ) কুর’আন, যেসব লোক জানে/জ্ঞান চর্চা করে তাদের জন্যে। {৪১:০৩}
এই কল্যাণময় কিতাব (আল কুর’আন) আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যেন মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান লোকেরা গ্রহণ করে উপদেশ। {৩৮:২৯}
যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে এবং তাতে যা উত্তম তা গ্রহণ করে। এরাই সেসব লোক, যাদের আল্লাহ্ হিদায়াত করেছেন এবং তারাই বুদ্ধিমান লোক। {৩৯:১৮}
যারা বিবেক বুদ্ধি খাটায় না, আল্লাহ তাদের উপর গুমরাহী চাপিয়ে দেন/ অপবিত্রতা স্থাপন করে দেন/ আযাব চাপিয়ে দেন। সূরা ইউনুস
আর যদি পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের অনুসরণ করো তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে; তারা অনুমান ছাড়া কিছু অনুসরণ করে না এবং তারা শুধুমাত্র ধারণা করে।{৬:১১৬}