বুখারীর হাদীস অস্বীকার করি কি করে?
বুখারীর হাদিসেকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তাহলে পুরো কুরআন মজিদও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। এই কুরআনই যে মুহাম্মদ সঃ এর উপর নাজিল হয়েছিল তার প্রমাণ কি ? কুরআন থেকেই প্রমাণ দিবেন প্লিজ। কোনো হাদিস গ্রহণযোগ্য নয় প্রমাণের ক্ষেত্রে।
আর হাদিসের কথাগুলো আজগুবি বা বাস্তব সম্মত মনে না হলে, কুরআনের কথাগুলো বিশ্বাস করবেন কিভাবে ? ধরুন সুরা কাহাফের যুবকদের ৩০০ বছর এবং আরও ৯ বছর একটা কুকুর সাথে করে ঘুমিয়ে থাকা এবং পরে ঘুম ভাঙিয়ে জাগ্রত হওয়া – এসব কি বর্তমান বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?
আর খিজির আঃ ও মুসা আঃ এর পথ চলা এবং অকারণে বাচ্চা ছেলেকে হত্যা করা বা নৌকা ফুটা করা বা প্রাচীর দিয়ে ধনসম্পদ রক্ষা করা গল্পগুলো কি বাস্তব সম্মত ? এই কাজগুলো খিজির আঃ জানলেন কিন্তু মুসা আঃ কেন জানলেন না ? তিনিতো নবী ছিলেন এবং আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলতেন ! মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলছেন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানেনা। তাহলে খিজির আঃ কিভাবে গায়েব জেনে এইসব কাজ করলেন ? আর অকারণে বা অপরাধ না করলেও কাউকে হত্যা করা কি কুরআনের বা আল্লাহর নীতির সমর্থন করে ?
অবশ্যই করে না ! তাহলে এসব অবাস্তব বা কুরআনের অন্য আয়াত বিরোধী হলেও বিশ্বাস করবেন কি ?
আর এগুলো (সাধারণত খালি চোখে অবাস্তব) যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে অবশ্যই রাসুল সঃ এর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার অবাস্তব গল্প মনে হলেও বিশ্বাস করতে হবে। সাথে আল্লাহ জানতেন না , মুসা নবী জানাইয়া দিলেন – এসব প্রশ্ন করাও মূর্খতা । কাজেই পারলে কুরআনের অবাস্তব গল্পগুলো (সুরা কাহাফের উল্লিখিত ঘটনা – যা খালি চোখে অসম্ভব মনে হয়) কেন বিশ্বাস করবো -তা কুরআন থেকেই আগে প্রমাণ দিন ?
তারপর আত্তাহিয়াতু নিয়ে প্রশ্ন করুন ।
এসব সঠিক না হলে মহান আল্লাহ ১৫০০ বছর ধরে হারাম শরীফ ও মসজিদুল নবাবীতে এসব চালু রাখতেন না । কাজেই হাদীসের বর্নিত তাশহুদের, মিরাজের গল্প অস্বীকার করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক বক্তব্য পেশ করা।