মাসজিদুল হারামের কালো পাথর হাজরে আসওয়াদ একজন মুসলিমের জন্য কতটুকু গুরুত্ব বহন করে
ইসলামের ১৯ জন নবীদের সাথে মক্কার সম্পর্ক সর্বদা।
কালো পাথরের চারিদিকে ৭পাক তাওয়াফ কুরআন মতে রবের মুসলিমদের আমল।
পাথরে চুমু খাওয়া নয় এখন থেকে তাওয়াফ স্টার্ট করতে হয়।
১৫/৮৭
হিন্দু ও প্যাগানিজমদের সাথে মাসজিদুল হারামের কোনো সম্পর্ক নেই
৩/৯৬,৯৭
লাত মানাত উজ্জা কোনো দেব দেবীদের নামও নয়
৫৩/১৯-২০
প্যাগান ধর্মীয় পালনকারীদের মতে বর্তমানের মক্কায় নিশি দিন মানুষ কিউব আকৃতির একটি পাথুরে ঘরের (ক্বাবা) চারিদিকে ৭ বার পাক দিচ্ছে।
এই ঘরটি একটি কালো কাপড়ে (কিসওয়াহ) আচ্ছাদিত।
এই ঘরের পূর্ব-দক্ষিন কোনে শীত কালীন সূর্যোদয়ের দিকে মুখ করে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কালো পাথর গাঁথা আছে, যাকে সকলে ‘হাজরে আসওয়াদ’ নামে জানে।
‘হাজরে আসওয়াদের’ মানে হলো- কালো পাথর।
এই কালো পাথরে চুমু দেয়ার জন্য হাজিরা ঠেলাঠেলি করছেন বা অত্যাধিক ভিড়ের কারনে দুর থেকে হাত উচু করে ছালাম দিচ্ছেন।
আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞসা করেন কেন পাথরে চুমু খাচ্ছেন
তাহলে উত্তর পাবেন
চুমু দিলে সকল গোনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে।
শীত কালীন সূর্যোদয়ের দিকে মুখ করে কালো পাথরটি যে নির্ভুল ভাবে বসানো আছে।
কালো পাথরের চারিদিকে ৭ পাক ঘোরার এই প্রথাও অনেক প্রাচীন।
সারা বিশ্বে ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে পুজিত হতো।
গ্রীসে- আফ্রোদিত,
রোমে- ভেনাস,
মেসোপটেমিয়ায়- ইশতার,
ভারতে- মা কালী,
আনাতোলিয়ায় – সিবেল এবং নর্স রুপকথায়- ফ্রিগা।
এই দেবীর সাথে কালো পাথরের কোনো যোগ নেই।
আজও সাইপ্রাসের পাফোসের নিকটে আফ্রোদিতের মন্দিরে একটি পবিত্র কালো পাথর সযতনে রাখা আছে।
মজার ব্যাপার হলো গ্রীক রুপকথা অনুযায়ী আফ্রোদিতের সৌন্দর্য এক কালো কিউবে রাখা আছে।
এই সাইপ্রাসে ‘হালা সুলতান টেক্কে’ নামে মুসলমানদের একটি পবিত্র তীর্থ স্থান আছে। এটি একটি মসজিদ মাজার কমপ্লেক্স এবং এটি এক নারীর সাথে জড়িত। কথিত আছে এই নারীর নাম উম্ম হারাম , যিনি ছিলেন আরব ইতিহাসের মুহম্মদ সাহেবের দুধ মা ও উবাদা বিন আল-সামিতের স্ত্রী।
এখানে ও একটি পবিত্র কালো পাথর আছে এবং অনেক ভক্তরা একে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মনে করে।
১২/১০৬
শয়তান বোকাও নয় বা চুপচাপ বসেও নেই। নিষ্পাপ হওয়ার ভালই টোপ ফেলেছে। সময় এসেছে ভাবার
৭/১১-১৮
(১১) আমিই তো তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। তোমাদের আকার আকৃতি গঠন করেছি। তারপরে আমি মালায়িকাহদেরকে (সকল কাজে খাটার সামগ্রীগুলোকে) বলে দিয়েছি, যেন তারা মানুষের (আদমের) কাজে লেগে থাকে (সিজদা করে)। তবে অভিশপ্ত ইবলীশ মানুষ মাথা-নতকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে চায় না।
(১২) আল্লহ্ জিজ্ঞাসা করলেন, কে তোমাকে বারণ করলো ? যখন আমি তোমাকে হুকুম দিলাম। তবুও যে তুমি মাথা-নতকারীদের মধ্যে গণ্য হইলে না। ইবলীশ বলে, আমি যে তার থেকে শ্রেষ্ঠ। আপনিই তো আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দিয়ে।
(১৩) আল্লহ্ বললেন, এখান থেকে নেমে যাও। এখানে বসে অহংকার করা তোমার পক্ষে শোভা পায় না। এক্ষুনি বেরিয়ে যাও। তুমি জঘন্যদের দলে সামিল হয়ে গেছো।
(১৪) সে (ইবলীশ) বলে, সে দিন পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন, যে দিন সবাইকে আবার বাঁচিয়ে তুলবেন।
(১৫) আল্লহ্ ইরশাদ করলেন, আচ্ছা ! তোমাকে অবকাশ দেওয়া হলো।
(১৬) সে (ইবলীশ) বলে, আপনি আমাকে অভিশপ্ত করলেন। আমিও মানুষকে সরল সহজ সত্য সনাতন পথ হতে গোমরাহ করার জন্য ওৎ পেতে বসে থাকবো।
(১৭) তাইতো আমি মানুষের সামনে, পিছনে, ডান ও বাম দিক থেকে তাদের কাছে আসবো। তাদের মধ্যে আপনি অধিকাংশদেরকেই কৃতজ্ঞ-রূপে পাবেন না।
(১৮) আল্লহ্ বলেন, এখান থেকে বেরিয়ে যাও ধিক্কৃত ও বিতাড়িত অবস্থায়। মানুষের মধ্যে যারা তোমার অনুগত হবে, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সবাইকে দিয়ে জাহান্নাম ভরে ফেলবো।
Categories