Categories
My text

অধিকাংশ মানুষ আর ধর্মীয় অনুভুতিঃ

অধিকাংশ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির জাহেলিয়াতঃ
**********

অধিকাংশের খায়েশ, সংস্কৃতি, অন্ধ-বিশ্বাস, কুসংস্কার, নৈতিকতা ইসলামের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরবের জাহেল অধিকাংশরা যেমন নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থ, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামী দ্বারা ইব্রাহিমী একেশ্বরবাদী চেতনাকে গিলে ফেলেছিলো। অথচ তারা মনে করত তারাই ইব্রাহিমী মিল্লাতের অনুসারী।

কোন আইডিয়া যখন অধিকাংশ ধারণ করতে শুরু করে তখন তার সরলীকরণ হতে হতে মূল স্পিরিট থেকেই সরে আসে।

অধিকাংশ মানুষ কোন রকম চিন্তা ভাবনা না করে নিজেদের জন্য ধর্মের যে অংশ যতটা স্যুট করে, যতটা স্বার্থে আঘাত করে না, নিজস্ব খায়েশি জীবনের জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু ধর্ম হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করে।

এই জন্যই যুগে যুগে নবী-রসুলগণ আসেন পূর্বের নবী-রসুলদের তাওহীদের চেতনাকে অধিকাংশ মানুষ অনুসরণ করার ফলে তার মূল চেতনা বিকৃত হওয়ার কারণে।

শেষ রসুল মুহাম্মাদ স. এর অনুসারীদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটে নি। গত ১৪০০ বছরে নিজেদের মধ্যে শত শত ধর্মীয় শ্রেণির উদ্ভব ঘটেছে। যারা একে অপরকে পথভ্রষ্ট বলেছে, রক্তপাত করেছে। এসবগুলো ঘটেছে অধিকাংশ মানুষের জনপ্রিয় ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বিরোধ থাকার জন্যে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কোরান পাঠের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু যারা অধিকাংশের ধর্মীয় বোধের জাহিলিয়াতকে কাজে লাগিয়ে সমাজে নিজেদের ক্ষমতা চর্চা করতে চায় তারা কখনও চায় না অধিকাংশ মানুষ কোরান পড়ুক। বুঝুক। ফলে তারা কোরান পড়তে/বুঝতে বিভিন্ন বাঁধা নিষেধ আরোপ করে।

এখন যখনই কেউ এই অধিকাংশের ধর্মীয় বিশ্বাসের জাহেলিয়াত, আচার-অনুষ্ঠানের ভণ্ডামি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাকেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। আমরা ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাবো অনেক ইসলামি চিন্তাশীল মানুষকে মরতে হয়েছে, কারাবরণ ও দেশত্যাগ করতে হয়েছে এই জাহিলিয়াতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কারণে।

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Powered by TranslatePress