১] আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।
( সূরা বাকারা আয়াত ১৭০)
২] যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়। তারা আরও বলে, এটা মনগড়া মিথ্যা বৈ নয়।( সূরা সাবা আয়াত ৪৩)
৩] তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্যান্য দরবেশ-আউলিয়ার অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (সূরা আরাফ আয়াত ৩)
৪] মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য মিথ্যে হাদীস ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
( সূরা লোকমান আয়াত ৬)
৫] আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম হাদীস সম্বলিত কিতাব যাহা সুসমঞ্জস এবং যাহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। ইহাতে, যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাহাদের দেহমন বিনম্র হইয়া আল্লাহ্র স্মরণে ঝুঁকিয়া পড়ে। ইহাই আল্লাহ্র পথনির্দেশ, তিনি উহা দ্বারা যাহাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। (সূরা যুমার ২৩)
৬] একমাত্র কোরানে আসা আল্লাহর কথা যখন বলা হয় তখন তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়—আর যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কথা বলা শুরু হয় তখন তারা আনন্দে নেচে উঠে। সুরা আল যুমারঃ৪৫