১) ভাসান সর্দার ( ১৭৬২-১৮৪৮) – ৮৬ বছর।
২) রুপা সর্দার (১৭৮৩ – ১৮৫৫) – ৭২ বছর।
৩) কেবরাতুল্লাহ (১৮২৮-১৯০৮) – ৮০ বছর।
৪) হামিদুর রহমান ( ১৮৫৫-১৯৩৮)- ৭৮ বছর।
৫) সাইদুর রহমান (১৮৮৮-১৯৬৩)- ৭৫ বছর।
৬) মজিবুর রহমান (১৯১৮-১৯৯৩)- ৭৩ বছর।
৭) একরামুল হক (১৯৬০- ) চলমান।
১৭৫৭ সনে পলাশীর প্রান্তে ষড়ন্ত্রের শিকার হয়ে নবাব সিরাজদৌলা ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন। অখন্ড ভারত বর্ষের শাসন ভার চলে যায় ইংরেজদের হাতে। তারা (১৭৫৭-১৯৪৭) প্রায় দুশ বছর শোসন শাসন এর বেড়ি পড়িয়ে রাখেন ভারত বর্ষের জন গোষ্টির উপর।
ভারত বর্ষের কলকাতার জোড়া সাকোতে ১৮৬১ সনে জন্ম নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অন্য দিকে ১৮৯৯ সনে পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলে জন্ম নেন কাজী নজরুল ইসলাম।বয়সের পার্থক্য প্রায় ৪০ বৎসর। তখন অখন্ড ভারতে চলছে বৃটিশ শাসন।
ঠিক এমনি সময়ে ইয়েমেন থেকে যুবক রুপা সর্দার স্বস্ত্রীক ফারাহ ইয়েমেনী সহ ১৮৬৭ সনে ভারতের বীরভুমে আসেন রুপা সরদার। ধর্মীয় ও শোসনমুক্ত সমাজ কায়েমে অংশ নিতে।
একটি গান শুনা যাক। যে গান এ ইতিহাসকে আরো প্রানবন্ত করে তুলবে।
সত্যিই তো সেই সাত সাগর তের নদী পারি দিয়ে ইয়েমেন থকে এসেছেন এক যুবক। কি তার মোহ! যে ভুমিতে মুসলিম শাসকগন দাপটের সাথে ৬০০ বছর শাসন করে গেছেন, সে ভুমির অধিবাসী আজ ইংরেজ পুর্তগীজদের করাধীন। নিজ মাতৃভুমির সকল বাধন ছিন্ন করে এক অদম্য পণ নিয়ে ইংরেজ শাসিত ভারত বর্ষের বীরভুম এসে আস্তানা ফেললেন এক ইয়েমেনী যুবক যুগল। ১৮২৮ সন।
১৭৫৭ সনে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাবকে পরাজিত ব্রিটিশরা বাংলার উপর আধিপত্য লাভ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন চলছিল ভারত বর্ষে। কোম্পানীর শাসকগন জমিদারী প্রথা চালু করে জনগনকে জমিদারের মাধ্যমে শোসন করত। হিন্দু জমিদার গন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসকদের অনুগত ছিল। ফলে মুসলমান জমিদার খুবই কম ছিল। ১৮৫৭ সন পর্যন্ত এ কোম্পানী শাসন ব্যবস্থা টিকে ছিল। ১৮৫৭ সনে সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে কোম্পানী শাসন ইংরজদের নিকট হস্তান্তরিত হয়। ঠিক এমনি তুপের মুখে ১৮২৮ সনে ইয়েমেন থেকে নিজ মাতৃ ভুমির সকল মায়া ত্যাগ করে বিষেশ এক মিশন বুকে বেঁধে ভারত বর্ষের বীরভুম এসে আস্তানা ফেলেন এই ইয়েমেনী যুবক যুগল। তখনো রবি ঠাকুর জন্ম নেননি ভারতে, নজরুলের কথা তো আরো দূরে।
কেবরাতুল্লাহ রবি ঠাকুরের ১০ বছরের বড়। হামিদূর রহমান কাজী নজরুলের ২৯ বছরের ছোট।
Aouther: Ekramul hoq