Categories
My text

হাদীসের নামাজ

নামাজ আমাদের প্রধান ইবাদত। অথচ নামাজের বিস্তারিত কোন দিক নির্দেশনা কোরানে থেকে পাওয়া যায় না। এর জন্য নির্ভর করতে হয় হাদীসের উপর। হাদীস সৃষ্টি না হলে নামাজের রাকাত, ফরজ, সুন্নত, নফল নির্ধারন করাই সম্ভব হতো না। ইমাম বুখারী আমাদের নামাজের মত গুরুত্ত পুর্ণ এবাদত পালনের নিয়ম কানুন সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য জাতী এবাদত পরিপালনের দিক থেকে তার নিকট চির কৃতজ্ঞ। অথচ তার নামে দরুদ পড়া হয় না।

প্রশ্ন আসে হাদীস আবিষ্কার হওয়ার আগের মুসলিমরা কিভাবে সালাত আদায় করতেন? সে সময়ে সব মানুষ হাদীস অনুসরন না করে নামাজ পড়ায় না জানি কত ভুল ভাল নামাজ পড়েছেন ।

কিন্ত বর্তমানে সমস্যা টা হলো, হাদীস অনুযায়ী নামাজ পড়তে গিয়ে একেক জনের নামাজ একেক রকম হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে পরস্পর বিরোধীতা। কেউ এক নিয়ম মানে কেউ আবার অন্য নিয়ম মানে। এই ভিন্নতা থেকে মাজহাবের সৃষ্টি হতে থাকে। আর মাজহাব দিয়ে মুসলমান পরস্পরের বিরোধী, বিভক্ত ও দূর্বল হতে থাকলো।
দূর্বল এই জাতিকে নিয়ে বিশ্ব আজ হাসছে……

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *