জীন জাতীর সালাত, ইবাদত কেমন?
জীন এবং ইনসান একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি।
আমি সৃষ্টি করিয়াছি জিন এবং মানুষকে এইজন্য যে, তাহারা আমারই ‘ইবাদত করিবে। ৫১:৫৬)
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ
وَمَا خَلَقْتُ — আর আমি সৃষ্টি করিনি
الْجِنَّ وَالْإِنسَ — জিন ও ইনসানকে
إِلَّا — অপেক্ষা ব্যতিক্রম
لِيَعْبُدُونِ — আমারই ইবাদত করুক এই জন্য (لِ = উদ্দেশ্য, يَعْبُدُونِ = তারা ইবাদত করে)
এই আয়াতের মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, জিন ও মানুষ — উভয়েরই সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত বা বন্দেগি। জিন কীভাবে আল্লাহর ইবাদত করে?
৫১:৫৬ আয়াতে আল্লাহ ইবাদতের উদ্দেশ্যে জিন ও মানুষ—উভয়কে সৃষ্টি করার কথা বলেছেন। সুতরাং, জিনদেরও ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।
তবে, তাদের ইবাদতের রূপ কি মানুষের মতো?
মানুষের ইবাদত নির্দিষ্ট শরিয়াহর অধীন—নামায, রোযা, হজ, যাকাত ইত্যাদি। কিন্তু জিনদের জন্য শরিয়াহ কি এক?
নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে জিনদের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
“বলুন, আমার প্রতি ওহি করা হয়েছে যে, কিছু জিন কুরআন শ্রবণ করেছে ও বলেছে, আমরা এক আশ্চর্য কুরআন শুনেছি, যা সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে—আমরা তাতে ঈমান এনেছি।” (৭১:১-২)
এই আয়াত প্রমাণ করে যে কুরআনের হিদায়াত জিনদের প্রতিও প্রযোজ্য। তারা ঈমান এনেছে, অর্থাৎ ইসলামের অনুসারী হয়েছে।
তাহলে, ইবাদতের রূপ কেমন?
নবী ﷺ-কে যখন জিনদের মাঝে পাঠানো হয়, তখন তাদেরকে দাওয়াত ও শরিয়াহ শিক্ষা দেওয়া হয়।
তবে মানুষের মতো সরাসরি কাবা শরীফে গিয়ে হজ করা কিংবা মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেনের মতো যাকাত আদায় তাদের ক্ষেত্রে একরূপ নয়।
তারা সমাজে বিচরণ করে, পরিবার গঠন করে, মারা যায়, ইত্যাদি।
অনেক জিন মানুষের মতো ন্যায়-অন্যায়, হালাল-হারাম বুঝে।
তাদের ওপরও কুরআনের দাওয়াত ও শরিয়াহ প্রযোজ্য। তবে তাদের ইবাদতের ধরন ও রূপ মানুষের থেকে ভিন্ন হতে পারে, কারণ তাদের সৃষ্টি প্রকৃতি ভিন্ন।
মানুষ ও জিন — উভয়কেই আল্লাহ ﷻ ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন (সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৬)। তবে তাদের ইবাদতের পদ্ধতি, পরিবেশ ও বাস্তবতা কিছু দিক থেকে এক হলেও, কিছু দিক থেকে আলাদা। নিচে মিল ও পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:
মানুষ ও জিনের ইবাদতের মিল: দুই শ্রেণিরই একমাত্র উদ্দেশ্য — এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করা।
“আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমারই ইবাদত করার জন্য।” (৫১:৫৬)
জীনদের আল্লাহর প্রতি ঈমান, রিসালাত, কুরআন গ্রহণ :
“আমি আপনার দিকে জিনদের একটি দলকে পাঠালাম যারা কুরআন শ্রবণ করছিল…”
জিনরাও কুরআন শ্রবণ করে ঈমান এনেছে।
স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করিয়াছিলাম একদল জিনকে, যাহারা কুরআন পাঠ শুনিতেছিল। যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইল, উহারা বলিল, ‘চুপ করিয়া শ্রবণ কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হইল উহারা উহাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরিয়া গেল সতর্ককারীরূপে।(৪৬:২৯)
জিনরাও সালাত আদায় করে।
তারা রাসূল ﷺ-এর সালাত শুনে বলেছিল:
إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا
“আমরা এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি।” — সূরা আল-জিন (৭২:১)
এ থেকে বুঝা যায় কোরান পাঠ ও সে অনুযায়ী আল্লাহর দিকে মুখ ফরাইয়া মেনে নেয়ায় তাদের সালাতের রিতী।
মানুষের মত তারা মসজিদ নির্মান করে তাতে সালাত আদায় করে না। তারাও জামাত বদ্ধ হয়ে সালাত আদায় করে তবে মানুষের মত শাররীক রুকু সিজদাহ এর মাধ্যমে নয়। তারা দলবদ্ধ ভাবে কোরআন পাঠের অনুষ্ঠান করে। সবাই গভীর মনযোগের সাথে কুঁকে ( রুকু) পড়ে। অতপর তাহা পরিপালনের জন্য কায় মনোবাক্যে মেনে নেয় অর্থাৎ সিজদায় লুটাইয়া পড়ে।
তাদের মাদ্রাসা নেই তবে তাবলীগ জামাতের মত ভ্রাম্যমান পাঠ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে একে অপরের নিকট শিক্ষা ও জ্ঞান বিনীময় করে বিনিময় বিহীন ভাবে।
“তোমরা অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চায় না এবং তারা সঠিক পথে রয়েছে।” ( ৩৬:২১)
আসল দাঈ বা পথপ্রদর্শক সেই যিনি দাওয়াতের বিনিময়ে কিছু চান না — না সম্পদ, না খ্যাতি, না নেতৃত্ব।
এরাই সত্যিকারের মুহতাদুন (সৎপথে থাকা লোক), যাদের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ।
তাদেরও মানুষের মত কিয়ামতের দিন ইবাদত সালাত নিয়ে বিচার হবে। তারা ক্বাবার মত কোন নির্দিষ্ট গৃহে তওয়াফের মাধ্যমে হজ্জ ব্রত পালন করে না।
তারা দীর্ঘ সময় ব্যবধানে সম্মেলনের লক্ষ্যে তাদের সৎকর্মশীল দলের নিকট গমন করে এবং দীর্ঘ সময় ব্যাপী হিদায়তের আলোচনা শুনার জন্য অংশ গ্রহন ও অবস্থান করাকে হজ্জ ব্রত পালন মনে করে। অতঃপর বহু যোজন যোজন দুরুত্তে যার যার কওমের নিকট চলে যায় এবং তা প্রচার করে। মানুষের মত তাদের মাঝেও ভাল ও মন্দ স্বভাবে ( শয়তান) জীন রয়েছে।
অপর দিকে সালাত এমন একটি প্রধান ও গুরুত্তপুর্ণ ইবাদত যা শুধু মানুষ ও জীনরাই আদায় করে না। বরং নক্ষত্র রাজী থেকে শুরু করে বৃক্ষাদী এমন কি পক্ষীকুল ও সালাত আদায় করে।
সুতরাং আল্লাহ সালাত কাকে বলেছেন কি ভাবে আদায় করতে হবে তা বুঝতে ব্যার্থ হলে সকল ইবাদই পন্ডু সার।
কোরআনে আল্লাহ জানান, উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে, (১৮:১০৪)
এই আয়াতে এমন এক শ্রেণির মানুষের কথা বলা হয়েছে যারা দুনিয়াতে অনেক পরিশ্রম ও আমল করেছে, কিন্তু তা আল্লাহর নির্দেশ ও ঈমানের ভিত্তিতে ছিল না — তাই সেগুলো কেয়ামতের দিনে মূল্যহীন হয়ে যাবে। তাদের ভুল ধারণা ছিল, তারা সৎ ও ভালো কাজ করছে, অথচ বাস্তবে তারা পথভ্রষ্ট।
এই যদি হয় জীনের সালাত বলে বিষয়ে ইবাদত পধতি তাহলে মানুষের সালাত পদ্ধতিতে এত শাররীক আনুষ্ঠানিকতা কে যুক্ত করতে উপূলদেশ দিল সেই মন্দীরে পুজোর মত।
অথচ আল্লাহ সমগ্র জমিনকে ইবাদতের জন্য পবিগ্র ঘোষনা করেছেন মুসলিমের জন্য।
পেশা ও জীবিকার জন্য এ সিষ্টেম চালু রেখেছে এক শ্রেনীর ধর্মীয় পাদ্রী ও আলেম। তাই আল্লাহ বলেনঃ
“হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই অধিকাংশ আলেম ও ধর্মগুরু মানুষদের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করে থাকে এবং আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে ।” (৯:৩৪)
এ আয়াতে বলা হয়েছে, “অনেক (كثيرا)” আহবার ও রুহবান — অর্থাৎ ধর্মীয় জ্ঞানী ও সাধু ব্যক্তিরা অর্থ ও প্রভাবের লোভে পথভ্রষ্ট হয়।
ইতিপুর্বেও এমন হয়েছে মর্মে কোরানে উল্লেখিত হয়েছেঃ
“তাদের পরে এমন এক প্রজন্ম এসেছে, যারা সালাতকে নষ্ট করেছে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে; অচিরেই তারা গোমরাহিতে পতিত হবে।” ( ১৯:৫৯)
তারও পুর্বের সম্প্রদায় এই সালাতকে নিজেদের মত করে আদায় করত বলে আল্লাহ তিরস্কার করে জানানঃ
কা‘বাগৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাহাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর। (৮:৩৫)
যদি ওহী চলমান থাকতো তবে রাসুলের রেখে যাওয়া সালাতের এহেন স্ট্রাকচারাল পরিবর্তন দেখে অবশ্যই ধিক্কার দিয়ে আয়াত নাযিল করতেন মহান রব।
প্রচলিত সালাতের আমি বিরোধিতা করি না। কারন সালাত মানে প্রার্থনা। মানুষ তার দুঃখ বেদনা তার স্রষ্টার নিকট নিবীরে নিবেদন করবে অশ্রু ঝড়ায়ে বুকে প্রশান্তি লাভ করবে এরাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমার বাধ সাধে যখন বলে এ সালাত না পড়লে জাহান্নাম, এটিই নবীর দেখানো সালাত। তখন প্রশ্ন আসে তাহলে সুরা মা’আরিজের ২৩ নং আয়াতে বর্নিত সালাত কোনটি,?
ٱلَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَآئِمُونَ
( আল্লাযিনা হুম আলা সালাতিহিম দাইয়িমুন)
যারা সর্বক্ষন তাদের সালাতে রত। (স্থায়ীভাবে সালাত আদায়কারী)।”
এখানে “দাঈমূন” শব্দটি এসেছে, যার অর্থ নিয়মিত, অবিচল ও ধারাবাহিকভাবে পালনকারী।
মানুষের মত আল্লাহর পক্ষ থেকে জিনদের মধ্যেও হালাল-হারামের বিধান কার্যকর হয়, এবং তারাও কিয়ামতে জবাবদিহি করবে।
মানুষ ও জিন এর পার্থক্যঃ
মানুষ দৃষ্টিগোচরতা বা দৃশ্যমান। আর জীন অদৃশ্য। মানুষের শরীর স্থূল শরীর, ও মাটিতে বসবাস। জীনের অদৃশ্য শরীর, আগুন থেকে সৃষ্টি; বাতাসে ও নির্জনে বসবাস। মানুষের ইবাদতের স্থান মসজিদ, জনসমাজ। আর জীনের ইবাদত নির্জন স্থান, জঙ্গলে ইবাদত করে। মানুষের ইবাদতের নিয়ম শরীয়ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট নিয়ম। জীনেরাও শরীয়ত অনুসরণ করে, কিন্তু তাদের ইবাদত প্রক্রিয়ায় কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। মানুষ সরাসরি রাসূল হতে শরিয়তের বিধান পেয়েছে। জিনরা গোপনে কুরআন শ্রবণ করে, নিজের সম্প্রদায়ে পৌঁছায়।
জিনদের ইবাদত সম্পর্কে কুরআনের কিছু ইঙ্গিত:
১) “বল, আমাকে ওহী দ্বারা জানানো হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কুরআন শুনেছে এবং বলেছে: ‘আমরা এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি, যা সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে। অতএব আমরা ঈমান এনেছি।’” ৭২:১
২) জিনদের দল কুরআন শুনে নিজ সম্প্রদায়ে ফিরে গিয়ে দাওয়াত দেয় — “হে আমাদের সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো।” (৪৬:২৬-৩১)
এই থেকে বোঝা যায়, তারা ঈমান, তাওহীদ, দাওয়াহ এবং ইবাদত সচেতন।
উভয়ের ইবাদতের উদ্দেশ্য এক। ইবাদতের পদ্ধতিতে আংশিক ভিন্নতা। উভয়ের কিয়ামতের হিসাব একই রুপ হবে।
মানুষ ও জিন — উভয়ের জন্যই ইবাদত আবশ্যক এবং তারা একে অপরের মতোই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৃষ্টি। তবে তাদের ইবাদতের বাস্তবতা আলাদা হলেও উদ্দেশ্য ও মৌলিক শিক্ষা এক — তাওহীদ, অনুসরণ, আনুগত্য। উভয়ে সালাত আদায় করে। উভয়ের কিয়ামতের হিসাব একই রুপ হবে।
“আর জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখার লেলিহান অংশ থেকে।সূরা রহমান (৫৫:১৫)
“আর জিনকে আমি সৃষ্টি করেছি আগেই, বিষাক্ত আগুন থেকে।” (১৫:২৭)
পৃথিবীতেই জিনদের বসবাস:
وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدَىٰ آمَنَّا بِهِ
“আমরা যখন হিদায়াত (কুরআন) শুনলাম, তখন তাতে ঈমান আনলাম।” সূরা আল-জিন (৭২:১৩)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, তারা মানুষের মতোই দুনিয়ায় বসবাস করে, কুরআন শ্রবণ করে।
তারা আকাশে যাওয়ার চেষ্টা করত:
وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ
“আমরা তো আকাশে শ্রবণের জন্য আসন গ্রহণ করতাম।” সূরা আল-জিন (৭২:৯)
এই আয়াত আকাশ ও পৃথিবীর সংযোগে তাদের বিচরণ বুঝায়, কিন্তু আজ তারা রোধক মুখোমুখি হয়।
হাদীসের আলোকে জিনদের বাসস্থান:
إِنَّ هذِهِ الحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ
“নিশ্চয় এসব টয়লেট/নির্জন স্থান জিনদের আস্তানা।” (সহীহ মুসলিম)
“নির্জন বন, পাহাড়, মরুভূমি, জঙ্গল — এসব জায়গায় জিনদের বাস।”
তারা বসতিও গড়ে তোলে, এমনকি কোরআন শুনে ফিরে গিয়ে জাতিকে দাওয়াত দেয় — (সূরা আহকাফ ৪৬:২৯–৩১)।
জিনদের বংশবিস্তার হয়ঃ
“তোমরা কি তাকে (শয়তানকে) এবং তার বংশধরদের আমাকে ছেড়ে বন্ধু বানাও?” সূরা কাহফ (১৮:৫০)
এখানে ذُرِّيَّة (সন্তান-সন্ততি, বংশধর) শব্দটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, জিনদেরও বংশবিস্তার হয়।
তারা বিয়ে করে, সন্তান জন্ম দেয়, গোত্রে বিভক্ত হয়।
শয়তানেরও সন্তান রয়েছে — সেও জিনদের মধ্যকার।
জিনদের জাতি ও শ্রেণিবিভাগ:
কুরআনে থেকেঃ “আমাদের মধ্যে কেউ সৎ, আবার কেউ এর বিপরীত।” সূরা আল-জিন (৭২:১১)
জিনদের মৃত্যু হয়, তারা চিরঞ্জীব নয়। কোরান বলেঃ “পৃথিবীর সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।” (৫৫:২৬) এর মধ্যে জিনও অন্তর্ভুক্ত।
জীনদের রূপান্তর ক্ষমতা সূরা নামল ২৭:৩৯ (জিন ইফরীত)। তারা বিশাল শক্তিধর ও দ্রুত।
বংশ বিস্তারের বিষয় সূরা কাহফ ১৮:৫০। সন্তান-সন্ততির অস্তিত্ব। ভাল-মন্দ শ্রেণি বিষয়ে সূরা জিন ৭২:১১
সৎ ও অসৎ জিন উভয়ই আছে। মৃত্যুর বিষয়ে সূরা রহমান ৫৫:২৬। কারন ধ্বংস অনিবার্য
2 replies on “জিন জাতীর সালাত”
পাঠ করলাম
Thank you.